বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারের জন্য ফ্ল্যাট-চাকরির পাশাপাশি বিশেষ ভাতারও দাবি তুলেছেন চট্টগ্রামের দুই শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা। এসব পরিবার ‘রাষ্ট্রীয় বঞ্চনার’ শিকার হচ্ছে বলে মনে করছেন তারা। গতকাল শুক্রবার পুলিশ মেমোরিয়াল ডে-২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান এই দাবি করেন।
ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, পুলিশ ছাড়া অন্য কোন সরকারি প্রতিষ্ঠানে একজন কর্মচারীও যদি কর্তব্যরত অবস্থায় মারা যান, তাহলে তার পরিবার পায় ৮ লাখ টাকা। আর পুলিশ যদি মারা যায়, তাহলে পায় ৫ লাখ টাকা। এটা আমাদের প্রতি এক ধরনের অবিচার করা হচ্ছে। এটা অত্যন্ত কষ্টের, অত্যন্ত দুঃখের। আইজিপি’র মাধ্যমে বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা বলেছি- অন্যান্যরা যদি ৮ লাখ টাকা পায়, আমাদের পাওয়া উচিৎ ১০ লাখ টাকা।
একজন বেসামরিকের মৃত্যু এবং কর্তব্যরত অবস্থায় একজন পুলিশ সদস্যের মৃত্যুকে ‘এক করে’ না দেখার আহ্বান জানিয়ে সিএমপি কমিশনার মাহাবুবর রহমান বলেন, কর্তব্যরত অবস্থায় মারা গেলে বেসামরিকরা যে সুবিধা পায়, আমরাও তা-ই, এটা হয় না। অন্যান্য সংস্থায়, তারা ফ্ল্যাট-বাড়ি পায়, অনেক অনুদান পায়, বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংক তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসে। তাহলে কেন আমাদের পুলিশ সদস্যের মৃত্যুর পরে সরকার এগিয়ে আসবে না।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা জানান, মৃত্যুর পর পুলিশ সদস্যদের জন্য সরকারি অনুদানের পাশাপাশি পুলিশ সুপারের তহবিল থেকেও ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। নগরীর হালিশহরে জেলা পুলিশ লাইনে পুলিশ সিভিক সেন্টারে ‘পুলিশ মেমোরিয়াল ডে-২০১৯’ উপলক্ষে সম্মাননা প্রদান ও স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়। এতে বিভিন্ন জেলায় কর্তব্যরত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী চট্টগ্রামের বাসিন্দাদের পরিবারের সদস্যদের হাতে সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক পুলিশ সুপার আল্লাহ বক্স, ব্যবসায়ী অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন। এছাড়া সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার কুসুম দেওয়ান, ট্যুরিস্ট পুলিশের চট্টগ্রামের ডিআইজি মোহাম্মদ মুসলিম, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ সভামঞ্চে ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।