বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
প্রতিষ্ঠার ৬৯ বছরের মাথায় সর্বোচ্চ ১০০টি জাহাজ আগমনের রেকর্ড করেছে মোংলা বন্দর । বিগত সকল বছরের তুলনায় চলতি অর্থ বছরেই পরপর দুইবার এ রেকর্ডের সৃষ্টি হয়েছে। ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরের নভেম্বরে এ বন্দরে ৯১টি জাহাজ আসায় বিগত ৬৮ বছরের রেকর্ড ভঙ্গ করে। এরপর একই অর্থ বছরের ফেব্রুয়ারিতে মোংলা বন্দরে জাহাজ ভিড়েছে ১০০টি। এর আগে ডিসেম্বরে ৮২টি ও জানুয়ারিতে ৮৭টি জাহাজের আগমন ঘটেছে। দেশে আমদানি-রফতানি বৃদ্ধি, বন্দর ব্যবহারকারিদের সদিচ্ছা এবং সরকারের বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণের ফলে এ সাফল্য অর্জিত হয়েছে বলে মনে করেন বন্দর কর্তৃপক্ষ।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের বোর্ড ও জন সংযোগ কর্মকর্তা মো. মাকরুজ্জামান জানান, ফেব্রুয়ারিতে মোংলা বন্দরে একমাসে সর্বোচ্চ ১০০টি জাহাজ আগনের রেকর্ড ছুঁয়েছে। যা বন্দর সৃষ্টির সাত দশকের মধ্যে এক মাসে সবচেয়ে বেশি জাহাজ আগমনের রেকর্ড। ২০০১ হতে ২০০৮ অর্থ বছর পর্যন্ত এ বন্দর নানামুখী প্রতিক‚লতার কারণে লোকসানে ছিল। ২০০৯ সালের পর থেকে বন্দর উন্নয়নের জন্য সরকার অগ্রাধিকার ও বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করে। ফলে ক্রমান্বয়ে মোংলা বন্দরে সর্বোচ্চ বিদেশী জাহাজ আগমনের রেকর্ড সৃষ্টি হচ্ছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক ( ট্রাফিক ) মোস্তফা কামাল বলেন, একশোটি জাহাজ বন্দরের ব্যবস্থাপনার দক্ষতা প্রমাণিত করে। পদ্মা সেতু নির্মাণ শেষে যে বাড়তি চাপ পড়বে তার জন্য এখনই উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলি দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করা উচিত।
বন্দর ব্যবহারকারী মেসার্স নুরু এন্ড সন্সের মালিক এইচ এম দুলাল বলেন, বন্দর ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা এবং স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্দর ব্যবহার বেড়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বন্দর চেয়ারম্যান কমোডর ফারুক হাসান বলেন, দেশে আমদানি-রফতানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বন্দর সচল করতে নাব্য সঙ্কট দূর করার চেষ্টা চলছে। তিনি আরো জানান, বন্দরের জন্য গত বুধবার একনেক’র সভায় ৭৫টি কার্গো এবং কনটেইনার হ্যান্ডলিং যন্ত্রপাতি ক্রয় করার প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। এছাড়া সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৪৫৪ কোটি ৪৭ লক্ষ ২০ হাজার টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ২০০৯ হতে ২০১৭ পর্যন্ত মোট ৯টি উন্নয়ন প্রকল্প এবং ৪টি উন্নয়ন কর্মসূচি সমাপ্ত হয়েছে। বর্তমানে ১০টি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন আছে ৫ টি প্রকল্প অনুমোদন প্রক্রিয়াধীন এবং ৪টি প্রকল্প ডিপিপি প্রক্রিয়ানাধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, বিএনপি সরকারের আমলের মৃত ঘোষিত বন্দরটি আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় মোংলা বন্দরের ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। অচিরেই মোংলা বন্দর সিঙ্গাপুরে পরিণত হবে।
এ বিষয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের উপমন্ত্রী (মোংলা -রামপালের সংসদ সদস্য) বেগম হাবিবুন নাহার বলেন বন্দরের কর্মচাঞ্চল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। পদ্মাসেতুর বাস্তবায়নের সাথে সাথে মোংলা বন্দরের ব্যবহার কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।