রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে এক নারীর শ্লীলতাহানির শালিসে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে ৭ জন আহত হয়েছে। পুলিশের লাঠিচার্জে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের ফারাকপুর ভাঙ্গাপাড়া গ্রামের জুব্বার হাজীর বাড়ির সামনে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ফারাকপুর ভাঙ্গাপাড়া গ্রামের মৃত মহিদুল ইসলামের স্ত্রী মাসুয়ারা (৩৫) বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বাড়ির পাশবর্তী মাঠে ঘাট কাটতে গেলে একই এলাকার মৃত আকরাম হোসেনের ছেলে মিজান (৩৬) তাকে মাঠে একা পেয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এসময় নিজেকে বাঁচাতে গিয়ে ওই নারী চিৎকার ও কান্নাকাটি শুরু করলে লম্পট মিজান পালিয়ে যায়। ঘটনাটি বাড়ির লোকজনকে জানানো হলে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শালিস বসিয়ে মিমাংসার চেষ্টা করা হয়। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে এনিয়ে বাকবিতন্ডা শুরু হলে ফিলিপনগর এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী বক্কর (৩৫) লম্পট মিজানের পক্ষ নিয়ে শালিসস্থলে সশস্ত্র হামলা চালালে তখন তা সংঘর্ষে রুপ নেয়। সংঘর্ষে দুই পক্ষের লোকজন ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও একে অপরের ওপর হামলা চালালে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। সংঘর্ষে মিজান (৩৬), কালু (৬০), হামিদা খাতুন (৪৫), সাদেক (৪০)সহ ৭জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে কালু ও হামিদা খাতুনকে দৌলতপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে অবস্থার অবনতি হওয়ায় কালুকে রাতেই কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
সংঘর্ষের বিষয়ে সেসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত দৌলতপুর থানার উপ-পরিদর্শক শরিফ জানান, শ্লীলতাহানির চেষ্টার ঘটনায় স্থানীয়ভাবে মিমাংসার করতে গিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ও সংঘর্ষ হলে পুলিশ গিয়ে তা নিয়ন্ত্রন করে। এঘটনায় ২জনকে আটক করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।