Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রতিদ্বন্ধ্বিতাহীন নির্বাচন

বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার আনার দায় ইসির নয় : সিইসি

পঞ্চায়েত হাবিব | প্রকাশের সময় : ১ মার্চ, ২০১৯, ১২:১০ এএম | আপডেট : ১২:৪৩ এএম, ১ মার্চ, ২০১৯

দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের বর্জনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপ-নির্বাচন শেষ হয়েছে নিরুত্তাপ ভাবে। গতকাল বৃহস্পতিবার উত্তরের মেয়র পদে উপ-নির্বাচনের পাশাপাশি ঢাকার দুই সিটির ১৮টি করে মোট ৩৬টি নতুন ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ভোট হয়েছে। পাশাপাশি ঢাকা উত্তরের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে হয়েছে উপ-নির্বাচন। সকাল ৮টায় যখন ভোট শুরু হয়, পুরো ঢাকায় তখন বৃষ্টি চলছে,অধিকাংশ কেন্দ্র ছিল একেবারেই ফাঁকা। ঘণ্টা দুই পর বৃষ্টি থামলেও ভোটারদের উপস্থিতি আর সেভাবে বাড়েনি। প্রচার পর্বের মত ভোটের দিনও ছিল না ভোটের আমেজ। দুই সিটি মিলিয়ে ১ হাজার ৭০০ এর বেশি কেন্দ্রে হয়েছে। সব মিলিয়ে ভোটার ছিলেন ৪০ লাখের মত। তাদের ৫০ শতাংশ এ নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন বলে দাবি করছে নির্বাচন কমিশন। বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা শেষে কেন্দ্রে কেন্দ্রে শুরু হয় গণণা। কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফল পাওয়ার পর উত্তরের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম এবং দক্ষিণের রকিব উদ্দিন মন্ডল চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেন।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে স্থাপন করা হয় উত্তর সিটি করপোরেশনের উপ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা ও পরিবেশন কেন্দ্র। আর দক্ষিণের ১৮ ওয়ার্ডের ফলাফল ঘোষণা করা হয় মহানগর নাট্যমঞ্চ থেকে। গতকাল রাত সাড়ে ১১টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আতিকুল ইসলাম ৯০২ ভোটকেন্দ্রের ফলে বিপুল ভোটে এগিয়ে রয়েছেন। তিনি এসব কেন্দ্রে নৌকা মার্কা নিয়ে পেয়েছেন ৫ লাখ ৫৭ হাজার ৭৪২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী জাতীয় পার্টির মো. শাফিন আহমেদ লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ২৭ হাজার ৯০ ভোট। এছাড়া, অপর তিন প্রার্থী ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. আনিসুর রহমান দেওয়ান আম প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭৪২ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আব্দুর রহিম টেবিল ঘড়ি নিয়ে পেয়েছেন ৭২১ ভোট এবং পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির (পিডিপি) শাহীন খান বাঘ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭৬২ ভোট। এ নির্বাচনে মোট ভোটারের সংখ্যা ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৬২১ জন এবং মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১ হাজার ২৯৫টি।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৮টি নবগঠিত ওয়ার্ডের নির্বাচনের ফলাফল আজ সকাল ১১টায় ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সম্প্রসারিত ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডের (মেরাদিয়া) একটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণের দায়িত্ব পালনের সময় মোবারক হোসেন (৫৬) নামে একজন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মারা গেছেন।
এ নির্বাচনে যারা জয়ী হয়েছেন তারা ২০২০ সালের মে মাসে সিটি করপোরেশনের মেয়াদপূর্তি পর্যন্ত দায়িত্ব পালনের সুযোগ পাবেন। বিএনপি বর্জন করলেও এই ভোটে অংশ নিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। উত্তরের মেয়র পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থী করেছে আনিসুল হকের মতোই আরেক ব্যবসায়ী নেতা আতিকুল ইসলামকে। জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে প্রার্থী হয়েছেন ব্যান্ডতারকা শাফিন আহমেদ। এই দুজন ছাড়াও এনপিপির আনিসুর রহমান দেওয়ান (আম), পিডিপির শাহীন খান (বাঘ) ও স্বতন্ত্র আব্দুর রহিম (টেবিল ঘড়ি) প্রার্থী ছিলেন।
এছাড়া উত্তরের ১৮ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১১৬ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৪৫ জন প্রার্থী ছিলেন এবার। আর দক্ষিণের ১৮ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১২৫ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে মোট ২৪ জন প্রার্থী ছিলেন। ঢাকা উত্তরের ২১ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ভোটের লাড়াইয়ে ছিলেন ৭ জন।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে মেয়র পদে উপ-নির্বাচন এবং দুই সিটির সম্প্রসারিত ৩৬টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদের ভোট উৎসবমূখর ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়েছে বলে দাবি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কমিশন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নির্বাচনে বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ না করা এবং কেন্দ্রগুলোতে ভোটার না আসলেও এই ভোট শতভাগ শান্তিপূর্ণ হয়েছে। যদিও এটিকে একটি অপূর্ণাঙ্গ নির্বাচন বলেই অভিহিত করেছেন ইসির আলোচিত কমিশনার মাহবুব তালুকদার। তবে তার এই মন্তব্য আমলে নিচ্ছেন না নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটির প্রধান কেএম নূরুল হুদা। কেন্দ্রে ভোটার না আসার দায় কমিশনের নয় জানিয়ে এই পরিস্থিতির জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর উপরই দায় চাপিয়েছেন তিনি। এদিকে অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি তুলেছেন নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদও। কেন্দ্রগুলো পরিদর্শনে গিয়ে ইসি কমিশনাররা ভোটার উপস্থিতি দেখতে না পেলেও এই নির্বাচনে ৫০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।
ভোটগ্রহণ শেষে বিকেলে ইসির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ইসি সচিব বলেন, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৫০ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে। তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র পদের উপনির্বাচন হওয়ার কারণে এবং মেয়র ও কাউন্সিলর পদের মেয়াদ এক বছর বাকি থাকায় এ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম। হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, তারপরেও আমি ধারণা করছিলাম, ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি এবং স¤প্রসারিত ওয়ার্ডে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে পঞ্চাশ শতাংশের মতো ভোট পড়তে পারে। তবে ঢাকার বাইরে পটুয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনে ৭০ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে।
উৎসবমুখর ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে, বিশেষ করে কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তিনি বলেন, আজ ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন ছাড়াও দুইটি পৌরসভা এবং বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সবগুলো নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে এসব নির্বাচনগুলো ছিল উৎসবমুখর।
নির্বাচন কমিশনের আলোচিত কমিশনার মাহবুব তালুকদারের বিশ্লেষণ অবশ্য ভিন্ন রকম। কেন্দ্রগুলোতে সরকারদলীয় প্রার্থী ছাড়া অন্য প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট ছিলো না জানিয়ে তিনি বলেন, আমি মগবাজারে ইস্পাহানী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের কেন্দ্র পরিদর্শন করেছি। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের উপ-নির্বাচনে এই কেন্দ্রেই নিজের ভোট দিয়েছি। এসময় আমি সরকারদলীয় মেয়র পদের পোলিং এজেন্ট ছাড়া আর কোনো প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট সেখানে দেখিনি।
তিনি বলেন, সকাল আটটা থেকে দশটা পর্যন্ত এখানকার পাঁচটি ভোটকেন্দ্রে ১৫টি বুথে মাত্র ৩৮৫ জন ভোট দিয়েছেন। অথচ এই পাঁচটি কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ৯ হাজার ৪১৩ জন। তিনি অভিযোগের সঙ্গে বলেন, ঢাকা সিটি করপোরেশনের এই নির্বাচন অপূর্ণাঙ্গ নির্বাচন। এই নির্বাচন ৫ বছর পর পর হবে। কিন্তু এখন যারা নির্বাচিত হবেন, তারা মাত্র এক বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করবেন। এই জন্যই আমি এটা অপূর্ণাঙ্গ নির্বাচন বলছি। ইসি কমিশনার বলেন, রাজনৈতিক পরিচয়ে মেয়র পদে নির্বাচন হচ্ছে। কিন্তু প্রধান বিরোধী দলগুলো এতে অংশগ্রহণ না করায় এটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নয়। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হলে তাতে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে উৎসাহ দেখা যায় না।
রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেয়ার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ভোটাররা ভোট দেয়ার উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছেন, এটা ঠিক নয়। সুন্দরভাবে ভোট হচ্ছে। সকালের দিকে বৃষ্টি হয়েছিল। আবহাওয়া ভালো হলে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়বে। অনেক জায়গায় লম্বা লাইনও দেখা যাচ্ছে। ভোটারদের প্রচন্ড ভিড় এবং কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলা হয়নি। ঢাকা মহানগরীর উত্তরে শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে। ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জনগণ ভোটের মাধ্যমে তারা তাদের কাক্সিক্ষত ব্যক্তিকে জয়যুক্ত করবেন। নির্বাচন কমিশনের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের দায়িত্ব পালন করছে। তারা জাতীয় নির্বাচন সুন্দরভাবে করেছেন। সামনে উপজেলা নির্বাচন আসছে, সবগুলো নির্বাচনই সুন্দরভাবে করতে পারবে কমিশন। তিনি বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল উদ্ধুদ্ধ করে ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে আসবেন। এটাই স্বাভাবিক। এখন কে এলো, আর কে এলো না সেটা তো নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব নয়। আমাদের ভোটাররা ভোট দিতে আসছেন সেটাই হচ্ছে বাস্তবতা। এখানে বেশ কয়েকজন প্রার্থী রয়েছেন। কোনও কোনও জায়গায় কাউন্সিলর প্রার্থী রয়েছেন। তাদের ওখানেও দেখুন প্রচণ্ড ভিড় হচ্ছে। এখানেও দেখুন সুন্দর ভোট হয়েছে।
ব্যালট বাক্স খালি, কর্মকর্তা বললেন ভোট পড়ছে
রাজধানীর বনশ্রীতে হলি ক্রিসেন্ট ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে নারী ভোটারদের তিনটি কেন্দ্র। উত্তর সিটি করপোরেশনের বনশ্রী ও পূর্ব রামপুরা এলাকার নারী ভোটাররা সেখানে ভোট দেন। তবে সকাল ৮টায় ভোট শুরুর পর বেলা সাড়ে ১০টা পর্যন্ত এই তিন কেন্দ্রে কোনো ভোট পড়েনি। টেবিলের ওপর শূন্য ব্যালট বাক্স থাকার পরও ৩ নম্বর কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার হাসানুজ্জামান বলেন, ভোট পড়ছে। কয়টা ভোট পড়েছে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ‘এটা এখনই বলা যাবে না। অপর একটি কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার তায়েবুর রহমান জানান, এই কেন্দ্রে বেলা সাড়ে ১০টা পর্যন্ত একটাও ভোট পড়েনি।
টেলিভিশনে দেখাতে ভোট কেন্দ্রে সাজানো লাইন
ভোটার না থাকলেও টেলিভিশন লাইভে দেখাতে স্থানীয় লোকজনকে ডেকে এনে দাঁড় করিয়ে দেখানো হয় ভোটারের দীর্ঘলাইন। উপস্থিত অন্যান্য সাংবাদিকদের সামনেই চলতে থাকে সাজানো লাইনকে ভোটার বানিয়ে ভিডিও করা। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা উত্তর সিটি মেয়র নির্বাচন শুরুর পর গুলশানে মানারাত স্কুল ভোটকেন্দ্রে ঘটে এ ঘটনা।
সকাল থেকেই ওই কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ছিল না বললেই চলে। বেলা সাড়ে ১০টার কিছু পরে হঠাৎই একটি লাইনের আয়োজন করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে ছিলেন ফটো সাংবাদিক জীবন আহমেদ। তিনি বলেন, ভোটকেন্দ্র সকাল থেকেই ফাঁকা। হঠাৎ জনা পঞ্চাশেক মানুষ একসঙ্গে কেন্দ্রে প্রবেশ করে। প্রথমে আমরা মনে করেছি কোনও প্রার্থী কেন্দ্রে আসছেন। এর পরপরই দেখি তারা একটি লাইনে দাঁড়ালো। তিনি বলেন, এক টেলিভিশন সাংবাদিক তাদের সামনে দাঁড়িয়ে লাইভ দিতে থাকেন, এটি ভোটারদের লাইন-এই বলে।
ওই ফটোসাংবাদিক আরও বলেন, সেসময় আমি পাশে থেকে শুনেছি রিপোর্টার বলছে, এখানে সবাই দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করছে ভোট দেওয়ার জন্য। এসময় সাজানো ভোটারদের অনুভূতিও রেকর্ড করা হয়। লাইনে দাঁড়ানো লোকজন সাক্ষাৎকার দিয়ে লাইন ভেঙে দ্রুত বেরিয়ে যায় কেন্দ্র থেকে।
লাইভ প্রচার শেষ হলে সঙ্গে সঙ্গে লাইনে দাঁড়ানো লোকজন এবং সাংবাদিক সেখান থেকে সরে যান। কেন এমন করলেন জানতে চাইলে সেই টেলিভিশন রিপোর্টার বলেন, আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি।



 

Show all comments
  • MD.ABDUR RAHMAN ১ মার্চ, ২০১৯, ১:০৮ এএম says : 0
    এমন ভোটইতো আওমীলীগের জন্য ভাল, ভোটারও নাই, ঝূঁকিও নাই আবার পরিবেশও শান্ত।
    Total Reply(0) Reply
  • নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১ মার্চ, ২০১৯, ১:০৮ এএম says : 0
    নির্বাচনতো এমনই চাই। ভোটার আসুক না আসুক কী এসে যায় তাতে!
    Total Reply(0) Reply
  • রাজিব ১ মার্চ, ২০১৯, ১:০৮ এএম says : 0
    আওয়ামী লীগের বুদ্ধিজীবীরা ভোটের এই চিত্র দেখে লজ্জিত কিনা ?
    Total Reply(0) Reply
  • নাফিজ খান রেজা ১ মার্চ, ২০১৯, ১:১০ এএম says : 0
    পাগলিটা মা হয়েছে বাবা হয়নি কেউ, আতিকুল ইসলাম মেয়র হয়েছে ভোট দেয়নি কেউ
    Total Reply(0) Reply
  • Abdul Aual Dider ১ মার্চ, ২০১৯, ১:১০ এএম says : 0
    সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ঢাকার মানুষ থুতু মেরেছে,তার পরও এই সিইসি এর শিক্ষা হবে বলে মনে হয়না!!
    Total Reply(0) Reply
  • Mamun Abdullah ১ মার্চ, ২০১৯, ১:১০ এএম says : 0
    যেহেতু জনগণ ভোটদিতে ভোট কেন্দ্র আসেনা, সেহেতু নির্বাচন ব্যবস্থা বিলুপ্ত করা হোক৷ এমন একটা বিল এই সংসদে দেখতে চাই!
    Total Reply(0) Reply
  • Salim Ibn Abdul Aziz ১ মার্চ, ২০১৯, ১:১০ এএম says : 0
    নির্লজ্জ মানুষ কোথাকার
    Total Reply(0) Reply
  • Japor Anam ১ মার্চ, ২০১৯, ১:১১ এএম says : 0
    ভোটের মুল্যনেই জনগন বুজে গেছে।দেশটাই যেনো একটা কমেডি সিরিজ হয়ে গেচে
    Total Reply(0) Reply
  • আমার বাংলা ১ মার্চ, ২০১৯, ১:১১ এএম says : 0
    সারাদিন খবরগুলোতে দেখলাম, সাংবাদিক ও এজেন্টরা বসে আছেন ভোটাররা কখন আসবেন! আর তারা নিজ দায়িত্ব পালন করবেন সে আসায়। আর এখন দেখি কেও একজন নির্বাচনে বিপুল ভোটে
    Total Reply(0) Reply
  • Roushan Begum ১ মার্চ, ২০১৯, ১:১১ এএম says : 0
    আমি হাঁসব না কাঁদব ওরে ও জনগন.
    Total Reply(0) Reply
  • রবিন বিডি ১ মার্চ, ২০১৯, ১:১১ এএম says : 0
    ভোটার ভোটার ডাকপাড়ি/ ভোটার গেল কার বাড়ি? আয়রে ভোটার কেন্দ্রে আয়/ ভোটের বাক্স খালি যায়’
    Total Reply(0) Reply
  • Jewel Plowen ১ মার্চ, ২০১৯, ১:১২ এএম says : 0
    ভোট দিতে না আশায় ভোটারদের শাস্তি হওয়া উচিত!
    Total Reply(0) Reply
  • Nadim ahmed ১ মার্চ, ২০১৯, ৩:১৮ এএম says : 0
    There is no need of vote anymore in Bangladesh. Sk. Hasina Wajed should be declared lifetime PM & after Sk. Hasina Joy should take over.
    Total Reply(0) Reply
  • আজিজুর রহমান ১ মার্চ, ২০১৯, ৭:৪২ এএম says : 0
    পন্ডিত মশায়ের পরিবারের লোকসংখ্যা ৮জন মাসিক বেতন ২৫.০০ টাকা।অন্যদিকে লাটসাহেবের কুত্তার মাসিক খরচ ৭৫.০০ টাকা।কুকুরের ঠ্যাংক ৩ টি। লাট সাহেবের কুকুরের এক ঠাং সমান পন্ডিত মশায়ের পরিবারের ৮ সদস্য। ৩০ লক্ষ ভোটারের ৫ লক্ষ ভোটারের ভোট দান। এক মাস আগে ৯৭% এক মাস পরে এ করুণ দশা! আমাদের সততা, লজ্জা ও রুচিবোধ অর্থের কাছে বারবার চপেটাঘাত খাইতেছে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সিটি করপোরেশন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ