পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বৃষ্টির কারণে শেষের দিনগুলোতে আশানুরুপ বিক্রি না হওয়ায় অমর একুশে গ্রন্থমেলার দুদিন সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৯-এর সদস্য-সচিব ড. জালাল আহমেদ বিষয়টি ইনকিলাবকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মহাপরিচালক নির্দেশ দেয়ায় বইমেলার সময় দুদিন বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মেলা সমাপ্ত হওয়ার ব্যাপারে তথ্য দিয়ে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে তথ্য প্রেরণ করা হয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে। আয়োজিত হয় সমাপনী অনুষ্ঠানও। সূত্রে জানা যায়, রাতে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে মেলার সময় দু’দিন বৃদ্ধি করা হয়। তবে এবিষয়ে জানতে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজীকে কল দিয়ে তার সাড়া পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার মেলা চলে বেলা আড়াইটা থেকে রাত রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত। মেলায় এদিন নতুন বই আসে ১৫৩টি। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় গ্রন্থমেলার মূল মঞ্চে সমাপনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী। প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৯’-এর সদস্য-সচিব ড. জালাল আহমেদ। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি। বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. মোঃ আবু হেনা মোস্তফা কামাল এনডিসি। অন্যানের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন নিরাপদ মিডিয়ার চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, একুশে গ্রন্থমেলা আমাদের প্রাণের মেলা। এই মেলা সারাদেশের জ্ঞান জগতে যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে তা অবিস্মরণীয়। এটি শুধু বেচাকেনার মেলা নয় বরং একটি জাতীয় সাংস্কৃতিক উৎসবে রূপ নিয়েছে। অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, একুশে গ্রন্থমেলায় মানুষের মাঝে বই নিয়ে যে আগ্রহ দেখা গেছে তাতে প্রমাণ হয় প্রযুক্তির ব্যাপক বিকাশেও মুদ্রিত বইয়ের গুরুত্ব কিছুমাত্র হ্রাস পায়নি। গতকাল অনুষ্ঠানে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের যে কোনো শাখায় সার্বিক অবদানের জন্য কবি নির্মলেন্দু গুণকে কবি জসীমউদ্দীন সাহিত্য পুরস্কার ২০১৯ প্রদান করা হয়। পুরস্কারের অর্থমূল্য ২ লক্ষ টাকা। ২০১৮ সালে প্রকাশিত বিষয় ও গুণমানসম্মত সর্বাধিক সংখ্যক গ্রন্থ প্রকাশের জন্য কথাপ্রকাশ-কে চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার-২০১৯, ২০১৮ সালে প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে গুণমান ও শৈল্পিক বিচারে সেরা গ্রন্থ বিভাগে গোলাম মুরশিদের বিদ্রোহী রণক্লান্ত: নজরুল-জীবনী গ্রন্থের জন্য প্রথমা প্রকাশনকে, মইনুদ্দীন খালেদের মনোরথে শিল্পের পথে গ্রন্থের জন্য জার্নিম্যান বুক্সকে এবং মারুফুল ইসলামের মুঠোর ভেতর রোদ গ্রন্থের জন্য চন্দ্রাবতী একাডেমিকে মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার ২০১৯ প্রদান করা হয়। ২০১৮ সালে প্রকাশিত শিশুতোষ গ্রন্থের মধ্য থেকে গুণমান বিচারে সর্বাধিক গ্রন্থ প্রকাশের জন্য পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেডকে রোকনুুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার-২০১৯ এবং ২০১৯ সালের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্য থেকে নান্দনিক অঙ্গসজ্জায় সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে মধ্যমা (এক ইউনিট), বাতিঘর (বহু ইউনিট), পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লি.-(প্যাভেলিয়ন)-কে শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার ২০১৯ প্রদান করা হয়। পুরস্কারপ্রাপ্ত সকল প্রকাশককে ২৫হাজার টাকার চেক, সনদ ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। গতকাল লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন প্রকাশিত গ্রন্থ বিষয়ে আলোচনায় অংশ নেন সলিমুল্লাহ খান, সাগুফতা শারমিন তানিয়া, সুমন রহমান, মিছিল খন্দকার ও নাহিদা আশরাফী। মেলার মূল মঞ্চে সাংস্কৃতিক আয়োজনে সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী ফরিদা পারভীন, আকরামুল ইসলাম, মহিউজ্জামান চৌধুরী এবং ইয়াসমিন মুশতারী। মাসব্যাপী অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৯-এর সমাপনী আয়োজনের অংশ হিসেবে রাতে স্বাধীনতাস্তম্ভ সংলগ্ন মঞ্চে সাংস্কৃতিক আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে কবিতাপাঠ করেন প্রখ্যাত কবি নির্মলেন্দু গুণ। সাংস্কৃতিক পর্বে শিল্পী লিলি ইসলামের পরিচালনায় ‘উত্তরায়ন’-এর পরিবেশনা করেন। সবশেষে গ্রন্থমেলা ২০১৯-এর মূল প্রতিপাদ্য বিজয় : ১৯৫২ থেকে ১৯৭১, নবপর্যায়-কে ভিত্তি করে লেজার শো প্রদর্শন করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।