Inqilab Logo

বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১, ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

চবির হলগুলোতে ঢিলেঢালা নিরাপত্তা ব্যবস্থা

মীর রাসেল, চবি: | প্রকাশের সময় : ১ মার্চ, ২০১৯, ১২:১১ এএম

 চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো থেকে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, বাই- সাইকেলসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র চুরি হওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায় প্রায়ই। রয়েছে হলে অবৈধ এবং বহিরাগত লোকজন অবস্থানের অভিযোগ। এসবের কারণে হলগুলোর নিরাপত্তা ব্যাবস্থা বিভিন্ন সময়ে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। তবে গত রোববার রাতে ছেলেদের হল থেকে রাত ২ টার সময় এক বহিরাগত তরুণীকে আটকের ঘটনায় হলগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার ঢিলেঢালা অবস্থা স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই। এ বিষয়ে হল কতৃপক্ষের উদাসীনতাকে দায়ী করছেন শিক্ষার্থীরা। তবে এ তুলনায় অনেকটাই শক্ত নিরাপত্তা ব্যাবস্থা লক্ষ করা যায় মেয়েদের হলগুলোতে।
ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের জেরে রোববার গভীর রাতে হলে তল্লাশি চলাকালে সোহরাওয়ার্দী হলের অতিথি কক্ষে তালাবদ্ধ অবস্থায় বহিরাগত এক তরুণীসহ বিশ^বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ। তবে গেটে নিরাপত্তা রক্ষী থাকা সত্তে¡ও কিভাবে একজন বহিরাগত তরুণীকে হলের ভিতরে নিয়ে যাওয়া হল এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন ওই দিন দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তরক্ষীরা।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে ওই হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী জানান, বহিরাগত তরুণী আনার ঘটনা এর আগে একাধিক বার ঘটেছে। তবে হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে তেমন খোঁজ খবর না করার ফলে যে কেউ এটার সাথে জড়িয়ে যাচ্ছে। আর এসব ঘটনার সাথে প্রভাবশালী ছাত্র সংগঠনের নেতারা জড়িত থাকেন বলে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস দেখান না। এমনি কি নিরাপত্তা প্রহরীরা ওই সব নেতাদের বাধা দিতে সাহস পান না।
এছাড়া হলগুলোতে তল্লাশি চলাকালে অনেক সাধারণ শিক্ষার্থীরা হয়রানির শিকার হয়ে থাকেন।
একটি হলের সব আবাসিক শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব সে হলের কতৃপক্ষের। আর হলে তল্লাশি চালাকালে হল কতৃপক্ষের উপস্থিতির কথা থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কেউ উপস্থিত থাকেন না। যার ফলে নিরপরাধ অনেকেই হয়রানির শিকার হয়ে থাকেন। তাই হলের যে কোন নিরাপত্তা ব্যবস্থার অবনতি কিংবা সাধরণ শিক্ষার্থী হয়রানি হওয়ার ঘটনা সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলা ছাড়া আর কিছু নয় বলে মনে করেন অনেকেই। এ বিষয়ে কথা বলতে সোহরাওয়ার্দী হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মোহাম্মদ বশির আহাম্মদের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে ব্যস্ততা দেখিয়ে তিনি ফোন কেটে দেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ