রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
জামালপুরের ইসলামপুরে যমুনা নদীর দূর্গম চরাঞ্চলের ৫টি ইউনিয়নে সোলার সেচ পাম্প স্থাপনে অনাবাধি জমিগুলো আবাদি জমিতে পরিণত হওয়ায় কৃষকদের মুখে ফুটে উঠেছে হাসির ঝিলিক।
প্রত্যন্ত যমুনার দূর্গম চরাঞ্চলে বিদ্যুৎ যাওয়ার সম্ভাবনা না থাকায় সোলার প্যানেলের মাধ্যমে শতভাগ আলোকিত উপজেলা ইতোমধ্য প্রধানমন্ত্রী ঘোষনা দিয়েছেন। প্রত্যন্ত এই দূর্গম অঞ্চলের প্রতিটি বাড়িতে সোলার প্যানেল স্থাপন চলমান রয়েছে।
অন্যদিকে, ইঞ্জিন চালিত শেলো মেশিন দিয়ে ফসল ফলাতে অনেক খরচ সহ প্রতি নিয়তই বিড়াম্বনার শিকার কৃষকরা সোলার সেচ পাম্প স্থাপনে খরচ বিহীন তাদের মুখে হাসি ফুটেছে।
ত্রান অফিস সুত্রে জানাযায়, দূর্যোগ ব্যবস্থপনা ও ত্রান মন্ত্রনালয়ের বরাদ্ধকৃত গ্রামীন অবকাঠামো সংস্কার ও গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষনাবেক্ষন কর্মসূচীর আওতায় ২৬টি সোলার সেচ পাম্প দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি সোলার সেচ পাম্প ৭হাজার২শত ওয়াট এবং মটর ৩.৭৫ কিলো ওয়াট রয়েছে। এতে প্রায় ২কোটি টাকা খরচ হয়েছে।
বেলগাছা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আ. মালেক জানান-এমপি সাহেবের বরাদ্ধকৃত টাকায় আমাদের দূর্গম অঞ্চলে সোলার সেচ পাম্প আশার আলো দেখা দিয়েছে। এক সময় দূর্গম এই অঞ্চলগুলোতে কৃষকদের ফসল ফলাতে অনেক কাট খড় পুড়তে হতো। সোনার বাংলায় সোনার ফসল ফলাতে প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষকের কষ্টের কথা চিন্তা করে বর্তমান সরকার তথা ইসলামপুরের গণ মানুষের আস্থাভাজন এমপি আলহাজ্ব ফরিদুল হক খান দুলাল নিজে উদ্যোগ গ্রহন করেন। নিজ বরাদ্ধের১৭/১৮অর্থ বছরের আওতায় সোলার সেচ পাম্প স্থাপন করেন। এতে করে একদিনে যেমন অনাবাদী জমি আবাদে পরিনত হয়েছে, অন্যদিকে কৃষকরা তেল, মবিল ছাড়া খরচ বিহীন আবাদে কৃষকরা ফসল ফলাতে আগ্রহী হয়ে পড়েছে।
বেলগাছা মন্নিয়া গ্রামের কৃষক আজমল শেখ জানান-আমরা ইরি ধান লাগাতে পানির জন্য সমস্যা হতো। খরচ বেশী হতো, এখন এমন সুযোগ পেলাম কোন খরচ নাই। তাই পতিত জমিগুলো এবার চাষ করছি।
এমনি ভাবে ওই এলাকার, জব্বার সেক, খালেক শেখ, রহিমা বেওয়া সহ অনেকেই এভাবেই খরচ বিহীন আবাদে স্বস্থির কথা জানান।
ইসলামপুর প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান টিটু জানান, উপজেলার, কুলকান্দি, বেলগাছা, চিনাডুলী, সাপধরী ও নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের যমুনা নদীর দূর্গম ওপার এলাকাগুলোতে গ্রামীন অবকাঠামো সংস্কার ও গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষনাবেক্ষন কর্মসূচীর আওতায় ২৬টি সোলার সেচ পাম্প স্থাপন করা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন জানান- সোলার সেচ প্রতিটি পাম্পে ১শত বিঘা জমি আবাদ করা যাবে। দূর্গম চরাঞ্চলে কৃষকরা খরচ বিহীন আবাদে স্বস্থি পাবে উপকৃত হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান- যমুনা নদীর দূর্গম অঞ্চলে কৃষকদের উন্নয়নের কথা ভেবেই গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষনাবেক্ষন কর্মসূচীর আওতায় সোলার সেচ পাম্প স্থাপন করা হয়েছে। এটি উদ্ভাবনী মূলক কাজ, এতে কৃষক উপকৃত হবে।
সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ফরিদুল হক খান দুলাল জানান- যমুনার দূর্গম চরাঞ্চলের কৃষকদের চিন্তা সব সময় ছিল। তাদের দূর্ভোগ লাঘবে সোলার সেচ পাম্ব স্থাপন করছি। এতে বিনা খরচে আবাদ করা সহ ফসল বৃদ্ধি হবে। পর্যায়ক্রমে সরকারী অর্থ বরাদ্ধে কৃষকের উন্নয়নে কাজ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।