Inqilab Logo

সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

যমুনার চরাঞ্চলে চলছে তামাক চাষ

ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদাতা | প্রকাশের সময় : ১ মার্চ, ২০১৯, ১২:১১ এএম

ভূঞাপুরে যমুনার চরাঞ্চলে দিনদিন বাড়ছে তামাক চাষ। দেশি-বিদেশি সিগারেট কোম্পানিগুলো বেশি মুনাফার লোভ দেখিয়ে তামাক চাষে আগ্রহী করছে চাষিদের। চাষে অগ্রিম টাকা দেয়ায় কৃষকরাও তামাক চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। আর এই চাষে বেশি ঝুঁকছে শিশু ও নারীরা।
জানা গেছে, যমুনা নদীর চরাঞ্চলে ভূঞাপুর উপজেলার গাবসারা, রায়েরপাড়া, বাসালিয়া, গোবিন্দপুর, রুলীপাড়া, রামপুর, বামনহাটা, জংলীপুর পাথাইলকান্দি,পলশিয়াসহ চরের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে শত শত হেক্টর জমিতে বিষাক্ত এই তামাক চাষ হচ্ছে। দেশি-বিদেশি তামাকজাত দ্রব্য কোম্পানি বেশি লাভের প্রলোভন দেখিয়ে স্থানীয় কৃষকদের মাধ্যমে প্রজেক্ট তৈরি করছে।
গাবসারা ইউনিয়নের রায়ের বাসালিয়ার তামাক শ্রমিক রজিনা বেগম (৪৮) জানান, অন্যের জমিতে কাজ করে তিনি দিন শেষে মজুরি হিসেবে দেড় শত টাকা পান। স্বামীর সংসারে সহযোগিতা করতে তিনি তামাক চাষের কাজ করছেন। নারী-পুরুষদের পাশাপাশি শিশুরাও তামাক চাষে জড়িয়ে পড়ছে। শিক্ষার্থীরাও খন্ডকালীন তামাক শ্রমিকের কাজ করছে। তারা কেউ তামাকের আইলচা বাঁধছে, গাছ থেকে পাতা ভাঙছে, পাতা শুকাচ্ছে, গাছের আগাছা পরিষ্কার করছে আবার কেউবা শুকানো তামাকগুলো বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছে। শিশুদের দিন শেষে মজুরি দেয়া হয় ২০/৫০টাকা হারে।

তামাক চাষিরা জানান, ভুট্টা চাষের তুলনায় তামাক চাষে লাভ বেশি। সিগারেট কোম্পানিগুলোর খরচে ও সহযোগিতায় জেগে ওঠা চরে তামাক চাষ করেছি। পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর জানি। তারপরও লাভ বেশি ও অগ্রীম টাকা পাওয়ায় আমরা তামাক চাষ করছি।
ভূঞাপুর উপজেলা কৃষি অফিসার জিয়াউর রহমান জানান, তামাক চাষ না করার জন্য চরাঞ্চলে মাঠ পর্যায়ের কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তামাকের বিভিন্ন ক্ষতিকর দিক নিয়ে প্রান্তিক চাষীদের সাথে কথা হয়েছে। তবুও কিছু কৃষকরা প্রলোভনে পড়ে তামাকের চাষ করছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ