পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
থানায় মামলা না নেয়ার অভিযোগে শিশুর লাশ নিয়ে রাজধানীর উত্তরা-এয়ারপোর্ট সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী। এতে করে গতকাল সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উত্তরার রাজলক্ষী, এয়ারপোর্ট ও আযমপুরসহ আশপাশের এলাকায় যান চলাচল স্থবির হয়ে পড়ে। তীব্র যানজটের কারণে ভোগান্তিতে পড়েন হ্জাার হাজার সাধারণ মানুষ। পরে মামলা নেয়া হলে ও আসামিদের গ্রেফতারের আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
স্থানীয়রা জানান, দক্ষিণখান এলাকায় মুনসী মার্কেট এলাকায় রিফাতের বাসা। তার বাবার নাম আবদুর রশিদ। গত সোমবার বিকেলে পাশের বাড়ির ছাদে শিশুটি ঘুড়ি উড়াচ্ছিল। এ সময় ঘুড়িটি ছিঁড়ে রনজিৎ নামে অন্য আরেকটি বাড়ির মালিকের গায়ের ওপর পড়ে যায়। কিছু সময় পর ঘুড়ি ফেরত দেয়ার কথা বলে রিফাতকে ডেকে নেয় ওই বাড়ির মালিক। এর পর রিফাতকে বাড়ির ভেতর গলাটিপে হত্যা করে লাশ পানির ট্যাংকে ফেলে দেয় সে। রিফাতের খোঁজ না পেয়ে দক্ষিণখান থানায় অভিযোগ করতে যায় এলাকাবাসী। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে শিশুটিকে উদ্ধারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। পরে বুধবার সকালে বাড়িটির তত্ত্বাবধায়ক ট্যাংক থেকে পানি তুলতে গিয়ে রিফাতের লাশ দেখতে পান। পরে এলাকাবাসী ও পুলিশের সহায়তায় লাশ উদ্ধার করা হয়। কিন্তু মামলা করতে গেলে থানা-পুলিশ মামলা নেয়নি। মামলা না নেয়া প্রতিবাদে সকাল ১০টা বিমানবন্দর-টঙ্গী মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে এলাকাবাসী। এর আগে মঙ্গলবার রাতে কয়েক দফা বিক্ষোভ করেন এলাকাবাসী। পরে গতকাল সকাল ১০টার পর থেকে শত শত স্থানীয় লোকজন শিশুটির লাশ নিয়ে পুলিশ ও হত্যাকান্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে পুলিশ মামলা নেয়ার পর আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় সড়ক অবরোধ করেও বিক্ষোভ করেন তারা। সকাল থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ওই বিক্ষোভ চলে।
দক্ষিণখান থানার এসআই মো. সুজন ও স্থানীয় বাসিন্দা হামিদুর রহমান দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, উত্তরার আজমপুরের বাসিন্দা আবদুর রশিদের সাত বছরের ছেলে রিফাতকে খুঁজে পাচ্ছিল না তারা। পরে তাদের প্রতিবেশী অজিত কুমার বসাকের বাড়ির ভেতরে একটি নর্দমায় রিফাতের লাশ পাওয়া যায় গত মঙ্গলবার। এর পর রিফাতের বাবা দক্ষিণখান থানায় যান অজিত কুমারের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য। কিন্তু থানার ওসি তপন চন্দ্র সাহা উপযুক্ত প্রমাণ না থাকার কারণ দেখিয়ে হত্যা তার মামলা নেননি।
তারা বলেন, ওসির সঙ্গে অপরাধীর যোগসাজশ রয়েছে-এই সন্দেহে এলাকাবাসীকে নিয়ে রিফাতের বাবা উত্তরা মহাসড়ক অবরোধ করেন। পরে ওসি গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তার মামলা গ্রহণ করেন। মামলা গ্রহণের পর অপরাধীর শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করা হয়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, দীর্ঘ সময় বিক্ষোভের কারণে ঢাকা-ময়মনসিংহ রোডে যান চলাচল কয়েক ঘন্টা বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে উত্তরা থেকে ঢাকার দিকে এবং অন্যদিকে উত্তরা থেকে গাজীপুর পর্যন্ত দীর্ঘ কয়েক কিলোমিটার তীব্র যানজটে পুরো এলাকা স্থবির হয়ে পড়ে।
দক্ষিণখান থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শফিকুল গনি বলেন, শিশু মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে ভুল বোঝাবোঝির কারণে সড়কে অবস্থান নিয়ে স্থানীয়রা বিক্ষোভ করেন। শিশুটির লাশ উদ্ধারের পর এর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মঙ্গলবার একটি মামলা নিয়েছে পুলিশ। তারপরও তারা না বুঝে গার্মেন্টস শ্রমিকদের জড়ো করে সড়ক অবরোধ করে রাখে। বিকেল ৩টা পর্যন্ত সড়ক অবরুদ্ধ থাকার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উত্তরা দক্ষিণখান থানার এসআই গোলাম রব্বানী দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, শিশু হত্যাকান্ডের ঘটনায় ২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিরা পলাতক রয়েছে, তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।