পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মাটির উপরেই বসানো হচ্ছে টাইলস। অরক্ষিত ওই টাইলসের উপর চলছে যানবাহন। আর তাতে টাইলস ভেঙ্গে টুকরো টুকরো। এভাবে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে ‘আধুনিক’ পর্যটনকেন্দ্র নির্মাণ করছে সিডিএ। এমন বেহাল অবস্থা দেখে পর্যটকরা বলছেন, জনগণের টাকা এভাবেই লুটপাট আর অপচয় হচ্ছে। তা দেখারও কেউ নেই। এতে পুরো প্রকল্পের গুণগত মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। তবে প্রকল্পের পরিচালক বলছেন, কিছু মানুষের অসচেতনতার কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে।
চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা সৈকতকে ঘিরে ১৬ কিলোমিটার দীর্ঘ আউটার রিং রোড নির্মাণ করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। এ প্রকল্পের আওতায় পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের আধুনিকায়নের কাজ হাতে নেয়া হয়। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রথমে আউটার রিং রোড প্রকল্পের মূল বাজেট ছিল ১৫শ’ কোটি টাকা। পরে এর সাথে সৈকতের আধুনিকায়ন যোগ হওয়ায় প্রকল্প ব্যয় বাড়িয়ে ২ হাজার ৪২৬ কোটি টাকা করা হয়। মূল প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে এবং আগামী মার্চের শেষের দিকে আউটার রিং রোডটি যানবাহনের জন্য খুলে দেয়া হবে বলে জানান প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। একই সময়ে মূল সৈকতের একটি জোনের আধুনিকায়নের কাজও শেষ হবে।
ইতোমধ্যে সৈকতের মূল পয়েন্টে ওয়াকওয়ে এবং সৈকতে ওঠা-নামার সিঁড়িতে বসানো হচ্ছে দামি টাইলস। মূল সৈকতে গত রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্ণফুলীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজের উদ্বোধনের পর সুধী সমাবেশে ভাষণ দেন। এ উপলক্ষে সৈকতের মূল পয়েন্টে বিশাল এলাকায় টাইলস বসানোর কাজ শেষ করা হয়। কিন্তু টাইলস বসানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এসব টাইলস ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে যায়। স্থানীয়রা বলছেন, মাটির উপর টাইলস বসিয়ে দেয়া হয়েছে। ভাঙ্গা টাইলসের নিচে সিমেন্ট, ইট-বালির বদলে মাটি দেখা যাচ্ছে। কাজ নিম্নমানের হওয়ায় বসানো মাত্রই ভেঙ্গে যাচ্ছে টাইলস। টাইলস বসানোর পর অরক্ষিত অবস্থায় তা রেখে দেয়া হচ্ছে। টাইলস না শুকাতেই উপর দিয়েই চলছে গাড়ি।
তবে ভিন্নকথা বলেন প্রকল্পের পরিচালক ও সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস। গতকাল তিনি দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, কিছু মানুষের কান্ডজ্ঞানহীন আচরণের কারণেই সৈকতে বসানো টাইলস ভেঙ্গে গেছে। টাইলস বসানোর কিছুক্ষণের মধ্যই কিছু লোক তার উপর দিয়ে মোটর সাইকেল ও গাড়ি চালিয়ে দেয় জানিয়ে তিনি বলেন, এ কারণে টাইলস উঠে গেছে। তবে নিম্নমানের কাজ করার বিষয়টি সত্য নয় বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, শুরুতে আমরা বুঝতে পারিনি এমন ঘটনা ঘটবে। তাই কোন পাহারা ছিল না। এখন থেকে পুরো এলাকা ঘেরাও করে টাইলস বসানোর কাজ হচ্ছে। টাইলস শুকানোর পর তা পর্যটকদের হাঁটার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হচ্ছে। ফলে আর এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটনার সম্ভাবনা নেই বলে জানান তিনি।
প্রকল্প পরিচালক বলেন, পতেঙ্গা সৈকতে ঝুপড়ি ঘর আর দোকানপাটের দখলে ছিল। এখন সেখানে বিশ্বমানের সব আধুনিক পর্যটন সুবিধা এবং দৃষ্টিনন্দন নির্মাণ শৈলীতে গড়ে তোলা হচ্ছে। পর্যটকদের হাঁটার জন্য নির্মাণ করা হচ্ছে প্রায় সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে। বিচে শিশুদের বিনোদনের জন্য থাকবে আলাদাভাবে কিডস জোন। বড়দের জন্য থাকবে বিভিন্ন রাইড। ৩০ ফিট ব্যাসে সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার ওয়াকওয়ে এবং একটি বিশাল প্লাজা নির্মিত হচ্ছে পতেঙ্গা বিচে। প্রায় ৭০০ গাড়ি পার্কিংয়ের সুবিধা নিয়ে গড়ে তোলা হচ্ছে বিশেষায়িত পর্যটন প্লাজা। পতেঙ্গা সৈকতে প্রবেশের সড়কটি ৮০ ফুট প্রশস্ত করা হচ্ছে। খুব শিগগির পতেঙ্গা সৈকতে আধুনিকায়নের একটি জোনের কাজ শেষ করা হবে বলে জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।