বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি বলেছেন, রাশিয়া বাংলাদেশের ঘনিষ্ট বন্ধু রাষ্ট্র। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে রাশিয়ার সহযোগিতা ভুলে যাবার নয়। বাংলাদেশের সাথে রাশিয়ার অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। কিছু জটিলতার কারনে বাংলাদেশের সাথে রাশিয়ার বাণিজ্য আশানরুপ বৃদ্ধি পায়নি। পাঁচটি দেশ মিলে রাশিয়ায় ইউরেশিয়ান ইকোনমিক ইউনিয়ন রয়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাণিজ্য লেনদেন একক ভাবে কোন দেশ করতে পারে না। সে কারনেই রাশিয়ার সাথে বাংলাদেশ একটি এমওইউ স্বাক্ষরের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
আগামী মার্চ মাসের শেষে বাণিজ্য ক্ষেত্রে জটিলতা দূর করতে এ এমওইউ স্বাক্ষর করা হবে। এর মাধ্যমে ব্যাংকিং চ্যানেল চালু হবে। বাণিজ্যের জন্য বাজার উন্মুক্ত হবে। তখন আর কোন বাণিজ্য জটিলতা থাকবে না।
রাশিয়ার বাজারে বাংলাদেশের তৈরী পোশাক, সি-ফুড, আলু, ঔষধ প্রভৃতি পণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে। বাণিজ্যের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং রাশিয়ার সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে। রাশিয়ার বাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্য বাড়ছে। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি গতকাল বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত এর সাথে মতবিনিময় করে সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন।
ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ রাশিয়ার বন্ধু রাষ্ট্র। বাংলাদেশে রাশিয়ার অনেক বিনিয়োগ আছে। আগামী মার্চ মাসে উভয় দেশের মধ্যে এমওইউ স্বাক্ষরিত হলে সকল বাণিজ্য জটিলতা দূর হবে। রাশিয়া বাংলাদেশের জন্য বড় রপ্তানি বাজার। রাশিয়ায় বাংলাদেশের তৈরী পোশাক, সি-ফুড, আলু, ঔষধসহ অনেক পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। রাশিয়া এগুলো বাংলাদেশ থেকে আমদানি করতে আগ্রহী। এমওইউ স্বাক্ষর হলে বাংলাদেশের সাথে রাশিয়ার অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক অনেক বৃদ্ধি পাবে। উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা পারস্পরিক দেশ সফর করলে বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে। রাশিয়া বাংলাদেশের সাথে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সর্ম্পক বৃদ্ধি করতে আগ্রহী।
এর পর বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত এর সাথে মতবিনিময় করেন। এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, নেদারল্যান্ড বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ তৈরী পোশাকের রফতানি বাজার। গত অর্থ বছরে নেদারল্যান্ডে বাংলাদেশের পণ্য রফতানি ছিল ১২০৫.৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, একই সময়ে আমদানি হয়েছে ২৩১.৪৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে এখন বড় বড় তৈরী পোশাক কারখানা গড়ে উঠেছে। এ সকল কারখানায় শ্রমিকরা নিরাপদ ও কর্মবান্ধব পরিবেশে কাজ করছে। কারখানাগুলো আধুনিক করতে বিনিয়োগ অনেক বেড়েছে, শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছে। কিন্তু সে তুলনার তৈরী পোশাকের মূল্য বৃদ্ধি পায়নি। তৈরী পোশাকের উপযুক্তমূল্য নির্ধারন করা প্রয়োজন।
এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিজুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব তপন কান্তি ঘোষ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।