পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাজারে থাকা প্রচলিত বোতল ও জারের পানি কতটুকু নিরাপদ -তা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পানির মান কেমন? -তা জানতে চেয়ে করা রিটের পরিপ্রেক্ষিত জারি করা রুল এবং পানি পরীক্ষা করে দেয়া প্রতিবেদনের উপর শুনানিতে গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এদিন পানি মানসম্মত না হওয়ায় ৩টির কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল ৭টির লাইসেন্স স্থগিত করেছে পণ্যের মান নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন-বিএসটিআই। একইসঙ্গে ৭টি কোম্পানির বিভিন্ন মেয়াদে স্থগিত করা হয়েছে। বাতিল হওয়া কোম্পানিগুলো হল- আনন্দ ফুড অ্যান্ড বেভারেজের আনন্দ প্লাস ব্র্যান্ড, রিয়েল ফুড অ্যান্ড বেভারেজের রিয়েল ফার্স্ট ব্র্যান্ড এবং বেস্টওয়ান ড্রিংকিংয়ের বেস্ট ওয়ান।
বিভিন্ন মেয়াদে লাইসেন্স স্থগিত হওয়া কোম্পানিগুলো হল-সেফ ইন্টারন্যাশনালের ক্যানি ব্র্যান্ড, সিনহা বাংলাদেশ ট্রেড লিমিটেডের এ্যাকুয়া মিনারেল, এএসটি বেভারেজ লিমিটেডের আলমা ব্র্যান্ড, মেসার্স ক্রিস্টাল ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সিএফবি ব্র্যান্ড, মেসার্স ইউরোটেক ট্রেড অ্যান্ড টেকনোলজির ওসমা ব্র্যান্ড, ইউনিটি এগ্রো বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রিজের এপিক ব্র্যান্ড এবং ফ্রুটস অ্যান্ড ফ্লেভার্সের ইয়াম্মী ইয়াম্মী ব্র্যান্ড।
গত বছরের ২২ মে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতারণার নাম বোতলজাত পানি শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে ২৭ মে হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট আবেদন করেন আইনজীবী শাম্মী আক্তার। পরে রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরের ৩ ডিসেম্বর আদালত বাজারে থাকা অবৈধ-অনিরাপদ জার ও বোতলের পানির সরবরাহ বন্ধের নির্দেশ দেন। বিএসটিআই ও আইন শৃঙ্খলাবাহিনীকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।
আদালতে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোখলেছুর রহমান খোকন। রিটকারীর পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মো. জে আর খাঁন রবিন। মোখলেছুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, পরীক্ষার জন্য বাজার থেকে ২৮টি পানির নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে ২২টির প্রতিবেদনের মধ্যে ১২টি মানসম্মত এবং ১০টি নিম্নমানের। এ ১০টিকে শোকজের পর ৩টি কোম্পানি জবাব দেয়নি। তাই তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। বাকী ৭টি শোকজের জবাব দিয়ে মান উন্নয়নের জন্য সময় চেয়েছে। এ কারণে তাদের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া লাইসেন্স না থাকায় ৩৬ কারখানার উৎপাদন বন্ধ করা হয়েছে। পরে রিটকারী পক্ষে আইনজীবী মো. জে আর খাঁন রবিন বলেন, বিএসটিআই আগের প্রতিবেদনে যে পাঁচটি ব্র্যান্ডের পানি মানহীন বলে জানিয়েছিল, সেগুলোর মধ্যে চারটি ব্র্যান্ডের লাইসেন্স বিভিন্ন মেয়াদে স্থগিত করা হয়েছে। আদালতে এই প্রতিবেদন উপস্থাপনের পর নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে এ মামলায় পক্ষভুক্ত করতে আবেদন করেন আইনজীবী মুহম্মদ ফরিদুল ইসলাম তখন একজন বিচারপতি আইনজীবীর কাছে জানতে চান, আপনারা কি সিডিউলভূক্ত? জবাবে আইনজীবী ফরিদ বলেন, সাধারণ যে কেউ চাইলে এ আইনের অধীনে মামলা করতে পারেন। তখন আদালত বিশুদ্ধ পানির বিষয়ে তাদের সব কার্যক্রম এবং নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সার্বিক কার্যক্রম তুলে ধরে প্রতিবেদন দিতে বলে। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ পক্ষভুক্ত হয়েছে। এরপর আদালত পানি নিয়ে আমাদের কার্যক্রম জানতে চেয়েছেন। আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।