পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
সরকারের নির্দেশনা পেলে পুরান ঢাকার ঠিকানায় কেমিক্যাল আমদানি বন্ধ করতে চায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
গতকাল মঙ্গলবার এনবিআরের কনফারেন্স রুমে মাসব্যাপী অনুষ্ঠিত ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সেরা ভ্যাট দাতা ১০ প্রতিষ্ঠানকে ভ্যাট সম্মাননা সনদ ও ক্রেস্ট প্রদান অনুষ্ঠানে একথা বলেন এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভ‚ঁইয়া ।
মোশাররফ হোসেন ভ‚ঁইয়া বলেন, আমি শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব থাকার সময় পুরান ঢাকার কেমিক্যাল সরাতে মুন্সিগঞ্জে একটি শিল্পনগরী করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। বিসিকের উদ্যোগে সেখানে শিল্পনগরীর প্লট তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। সরকার চাইলে আমরা পুরান ঢাকার ঠিকানায় কেমিক্যাল আমদানি বন্ধ করতে পারি। ব্যাংকগুলো ওই ঠিকানায় এলসি বন্ধ করলে এবং এনবিআর আমদানির অনুমোদন না দিলে তারা সরে যেতে বাধ্য হবে।
পুরান ঢাকার কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন লাগার ঘটনাকে হৃদয় বিদারক উল্লেখ করে এনবিআর চেয়ারম্যান আরও বলেন, পুরান ঢাকায় অগ্নিকান্ড ঘটেছে। এর আগেও নানা ঘটনা ঘটেছে। এবার ৭০ জনের উপরে মারা গিয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেক। এর মধ্যে কেও মারা যাবে না সেটাও বলা যাবে না। সরকার যদি সিদ্ধান্ত নেয় পুরান ঢাকার কোনো ঠিকানায় কেমিক্যাল আমদানি হবে না। তাহলে সেটা দ্রæত কাজ হবে। আমরাও বিষয়টি নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছি। আশা করছি দ্রæতই আমরা একটা সমাধানে পৌছাতে পারব।
এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভ‚ঁইয়া আরও বলেন, বাণিজ্য মেলায় ভ্যাট আদায় নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো। রাজস্ব আহরণে ভ্যাটের অবদান ৩৫ ভাগ। এই সম্মাননা ব্যবসায়ীদের ভ্যাট প্রদানে উৎসাহ দেবে। এবার রাজস্ব আহরণে যে টার্গেট দেওয়া হয়েছে সেটা সম্পন্ন করা অবশ্যই আমাদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ।
অনুষ্ঠানে ১০ প্রতিষ্ঠানকে ভ্যাট সম্মাননা ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে, হাতিল কমপ্লেক্স, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ, এসকোয়ার ইলেক্ট্রনিক্স, র্যাংগস ইলেক্ট্রনিক্স, বাটার ফ্লাই মার্কেটিং, আর এফএল ইলেক্ট্রনিক্স, ফেয়ার ইলেক্ট্রনিক্স, ডিউরেবল প্লাস্টিক, নাভানা ফার্নিচার এবং রংপুর মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। এবারের বাণিজ্য মেলায় দেশি-বিদেশি মিলে ৫৬৯টি প্রতিষ্ঠানের স্টল অংশগ্রহণ করে। মেলা থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ৭ কোটি ১ লাখ টাকা। লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৬ কোটি টাকা। এর আগের বছর আয় হয়েছিলো ৫ কোটি টাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।