Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দেশসেরায় হ্যাটট্রিক করলো রাজশাহী কলেজ

রাজশাহী ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় দেশসেরা হিসেবে হ্যাটট্রিক করলো রাজশাহী কলেজ। ৩১টি সূচকে এবার মোট ৭২ দশমিক ৯৬ পয়েন্ট পেয়ে দেশসেরার খেতাব অক্ষুন্ন রাখলো ঐতিহ্যবাহী এই কলেজটি। এর আগে ২০১৫ এবং ২০১৬ সালের র‌্যাংকিংয়েও রাজশাহী কলেজ ছিল প্রথম স্থানে।

গত সোমবার দুপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ সংবাদ সম্মেলন করে ২০১৭ সালের র‌্যাংকিং ঘোষণা করেন। সেখানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজসমূহের জাতীয় ও আঞ্চলিক পর্যায়ে র‌্যাংকিং এর বিস্তারিত ফলাফল তুলে ধরা হয়।
এদিকে র‌্যাংকিং ঘোষণার প্রচলন শুরু হওয়ার পর থেকেই রাজশাহী কলেজ প্রথম স্থান ধরে রাখায় ভীষন খুশী কলেজটির শিক্ষক-শিক্ষার্থী, প্রাক্তন ছাত্র, নগরীর সুধি সমাজ। প্রিন্সিপাল বলেন, সম্মিলিত প্রচেষ্টার কারনেই এমন সম্মান। তারা গতানুগতিক শিক্ষার চেয়ে আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষার প্রতি বেশি জোর দিয়েছেন। এ জন্য তারা প্রতিটি শ্রেণিকক্ষ মাল্টিমিডিয়া করেছেন। শিক্ষার্থীদের তথ্য-প্রযুক্তির শিক্ষা দেয়া হচ্ছে।
প্রিন্সিপাল বলেন, এই অর্জন আমরা অবশ্যই উদযাপন করব। বুধবার আনন্দর‌্যালি বের করা হবে। ১৮৭৩ সালের ১ এপ্রিল মাত্র ৬ জন ছাত্র নিয়ে পদ্মা নদী পাড়ের ৩৫ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয় রাজশাহী কলেজ। পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু, খ্যাতিমান চলচ্চিত্র পরিচালক ঋত্বিক ঘটক, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য স্যার যদুনাথ সরকার, বৈজ্ঞানিক প্রথায় ইতিহাস চর্চার পথিকৃত অক্ষয় কুমার মৈত্র, সাবেক প্রধান বিচারপতি হাবিবুর রহমান, পরমাণু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ আলী মিয়া, শিক্ষানুরাগী মাদার বখশ, জাতীয় চার নেতার একজন এএইচএম কামারুজ্জামানের মতো বরেণ্য ব্যক্তিত্ব এ কলেজের ছাত্র ছিলেন।
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ২০১৩ ও ২০১৪ সালে রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডে প্রথম স্থান অর্জন করে রাজশাহী কলেজ। ২০১৪ সালে কলেজটি সারাদেশের সরকারি কলেজের মধ্যে শ্রেষ্ঠ স্থান অর্জন করে। ২০১৫ সাল থেকে সরকারি-বেসরকারি সব র‌্যাংকিংয়েই সেরা স্থান ধরে রেখেছে রাজশাহী কলেজ। বর্তমানে এ কলেজে ১৯টি বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পড়ানো হয়। বর্তমানে উচ্চ মাধ্যমিক থেকে স্নাতক পর্যন্ত এ কলেজের শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ