Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দুদকের প্রতি জনগণের আস্থা জাগে নাই

মতবিনিময় সভায় নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা বলেছেন,দেশের প্রধান দুঃখ দুর্নীতি। দুর্নীতির বিষয়ে হতাশা বিশাল। আর দুদকের কাছে মানুষের গগনচুম্বী প্রত্যাশা। দুদকের প্রতি জনগণের আস্থা জাগে নাই। দুদক অনেক কাজ করছে, কিন্তু ভাবমূর্তির উন্নয়ন হচ্ছে না। কাজের মধ্যে স্বচ্ছতার দৃশ্যমান মানদন্ড থাকবে। দুদকের ভাবমূর্তি বাড়াতে বড় দুর্নীতির বিরুদ্ধে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে হবে। একইসঙ্গে বড় দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে দুদকের কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে বলে মনে করেন তারা। সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। ২০১৯ সালের কৌশলপত্র প্রণয়ন করার জন্য মতামত নিতে এ মতবিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দুদক।
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বলেন, বাংলাদেশের প্রধান দুঃখ দুর্নীতি। দুর্নীতির বিষয়ে হতাশা বিশাল। আর দুদকের কাছে মানুষের গগনচুম্বী প্রত্যাশা। দুদকের প্রতি জনগণের আস্থা জাগে নাই। তাই দুদককে অবিলম্বে দৃশ্যমান কিছু ঘটনা ঘটিয়ে দেখাতে হবে। তবে জনগণকে আস্থায় আনতে অন্তত ২০টি ঘটনা ঘটিয়ে একটি ম্যাসেজ দিতে হবে, যাতে মানুষ মনে করে অপরাধ করলে শাস্তি পেতে হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফরাসউদ্দিন বলেন, কাজের মধ্যে স্বচ্ছতার দৃশ্যমান মানদন্ড থাকবে। কমিশনের প্রতি মানুষের ভয় ও শ্রদ্ধা থাকলে দুর্নীতি প্রতিরোধ কিছুটা সহজ হবে। দুদকের ভাবমূর্তি বাড়াতে বড় দুর্নীতির বিরুদ্ধে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে যদি সীমাবদ্ধতা থাকে, সেগুলো কাটানোর জন্য উদ্যোগ নিতে হবে।সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, রাজনীতিতে দুর্নীতিবাজদের ক্ষমতায়ন দৃশ্যমান থাকলে দুর্নীতি দমন সম্ভব নয়। রাজনৈতিক পর্যায়ে আলোচিত দুর্নীতিপরায়ণ ব্যক্তিরা মুক্ত থাকলে দুর্নীতি দমন হবে অবাস্তব চেষ্টা। সাবেক তত্ত¡াবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, স্থানীয় সরকারের পাশাপাশি ব্যাংকিং খাতে দুদকের তৎপরতা আরও বাড়াতে হবে। ব্যাংকিং খাত নিয়ে দুদকের তৎপরতা নিয়ে এরই মধ্যে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে।সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার বলেন, বড় দুর্নীতি আগে ধরার ওপর গুরুত্ব দেন। নাগরিক সংগঠন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, দুদকের উচিত মেগা খাতের দুর্নীতি দমনে বেশি মনোযোগ দেয়া। তিনি দুদকের মতো সার্বিকভাবে সরকারের একটি কৌশলপত্র প্রণয়নের সুপারিশ করেন।
দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুর্নীতি দমনে সরকারপ্রধান জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন। দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরার ঘোষণা দিয়েছেন। আমরাও শিগগির নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করব। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার মো. জমির, সাবেক মন্ত্রী মীজানূর রহমান শেলী, গণমাধ্যম বিশ্লেষক মো. জাহাঙ্গীর, সিপিডির সাবেক নির্বাহী পরিচালক, অর্থনীতিবিদ মোস্তাফিজুর রহমান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ, বেসরকারি সংগঠন এমআরডিআইয়ের নির্বাহী পরিচালক হাসিবুর রহমান, দুদক কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক খান, অধ্যাপক গিয়াসউদ্দীন আহমেদ, সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির, আবদুর রশীদ, কণ্ঠশিল্পী হায়দার হোসেন প্রমুখ।#



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ