পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাগেরহাট ও জয়পুরহাটে র্যাবের সাথে পৃথক বন্দুকযুদ্ধে ৫ জন নিহত হয়েছেন। নিহতের মধ্যে ৪জন বনদস্যু ও এক মাদক ব্যবসায়ী বলে র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়। ঘটনাস্থল থেকে পিস্তল, গুলি, পিস্তলের ম্যাগাজিন, ফেনসিডিল, বেশকিছু দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র এবং গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে স্বজনদের দাবি তাদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো তথ্য নিয়ে এ প্রতিবেদন :
বাগেরহাট : বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের জোংড়ার খাল এলাকায় র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে বনদস্যু আরিফ বাহিনীর প্রধান আরিফুল ওরফে রাজুসহ চার বনদস্যু নিহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে সুন্দরবনের জোংড়ার খাল এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। বন্দুকযুদ্ধে নিহত ব্যক্তিরা হলেন, মোংলার সিগন্যাল টাওয়ারের দক্ষিণ চরের আবদুল আউয়ালের ছেলে আবদুল আলিম (২৫), আবজাল হাওলাদারের ছেলে রাজু (২২), আলতাফ হাওলাদারের ছেলে সোহেল (৩০) ও রুবেল (২৫)।
র্যাব জানায়, ঘটনাস্থল ও বনে তল্লাশি চালিয়ে দস্যুদের ব্যবহৃত বেশকিছু দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র এবং গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় দস্যুদের ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-৮ এর অধিনায়ক আতিকা ইসলাম জানান, সম্প্রতি সুন্দরবনে বনদস্যুদের তৎপরতা নতুন করে আবার দেখা দেয়ায় সেখানে র্যাব টহল জোরদার করা হয়। গোপন খবরের ভিত্তিতে র্যাব রোববার রাতে সুন্দরবনে অভিযান শুরু করে। অভিযানকারী দলটি পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের জোংড়া খাল এলাকায় টহল শুরু করলে বনদস্যু আরিফুল বাহিনী র্যাবকে উদ্যেশ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে। র্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুড়তে থাকে। এভাবে বেশ কিছু সময় বন্দুকযুদ্ধ চলার পর বনদস্যু দল পিছু হটে বনের গহীনে আত্মগোপন করে।
তিনি আরো বলেন, পরবর্তীতে র্যাব সদস্যরা সেখানে তল্লাশি চালিয়ে ৪ জনের লাশ ও দস্যুদের ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করে। এসময় আশপাশের মাছ ধরার কাজে নিয়োজিত জেলেরা নিহত ৪ জনের মধ্যে আরিফুল বাহিনীর প্রধান আরিফুল ওরফে রাজুসহ তার বাহিনীর সদস্যরা রয়েছে বলে র্যাবতে তারা জানান। এ ব্যাপারে বাগেরহাটের মংলা থানায় মামলা দায়ের করাসহ নিহতের লাশ ও গোলাবারুদ হস্তান্তর করা হবে বলেও জানায় র্যাব।
এদিকে বন্দুক যুদ্ধে নিহত রাজুর মা ফাতেমা বেগম ও বাবা আফজাল হাওলাদার বলেন, আমার ছেলে জাহাজে চাকরি করে। জাহাজ থেকে এসে রোববার রাতে ঘরে ঘুমাচ্ছিল, তখন তাকে কে বা কারা ধরে নিয়ে যায়। এখন শুনি রাজু ক্রয়ফায়ারে মারা গেছে।
আলিমের ভাবী পলি বেগম বলেন, রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ঘরে ঢুকে আলিমকে ধরে মুখ বেঁধে নিয়ে যায়। এ সময় আমরা ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার শুরু করলে তারা ৪টি ফায়ার করে ওদের টানতে টানতে নিয়ে ট্রলারে তুলে ঢাংমারীর (সুন্দরবন) দিকে চলে যায়।
জয়পুরহাট : জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তোফাজ্জল হোসেন (৩৭) নামে মাদক মামলার এক আসামি নিহত হয়েছেন। গতকাল রবিবার দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে উপজেলার তাউশারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত তোফাজ্জল ক্ষেতলাল উপজেলার উত্তর মহেশপুর সরকারপাড়া গ্রামের আব্দুল ওয়াদুদের ছেলে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, একটি গুলি, পিস্তলের ম্যাগাজিন, ১৫০ বোতল ফেনসিডিল, মুঠোফোন, সিমকার্ড, টর্চলাইট, ৮০০ টাকা ও তিন জোড়া স্যান্ডেল জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব। নিহতের বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১০ থেকে ১২টি মামলা রয়েছে বলেও তারা দাবি করেন। এসময় র্যাবের দুই সদস্য আহত হয়।
র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নিহত তোফাজ্জল হোসেনসহ একদল মাদক চোরাকারবারিরা গত রোববার দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে ক্ষেতলালের তাউশারা এলাকায় মাদক কেনাবেচা করছিল। এ খবর পেয়ে র্যাবের একটি টহল দল তাদের ধরতে যায়। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা টহল দলকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। র্যাব সদস্যরাও তাদের লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি ছুড়লে ঘটনাস্থলে তোফাজ্জল গুলিবিদ্ধ হয় এবং অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে তোফাজ্জলকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে ক্ষেতলাল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থল থেকে গুলি, ম্যাগাজিনসহ একটি বিদেশি পিস্তল ও ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে র্যাব। এ ঘটনায় র্যাবের দুইজন সদস্যও আহত হয়েছেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ক্ষেতলাল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ইসমাইল হোসেন জানান, রাত ২টা ৫৫ মিনিটে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তোফাজ্জল হোসেনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। মাথাসহ তার শরীরের বেশ কিছু জায়গায় গুলির ক্ষত দেখা গেছে।
এ ব্যাপারে জয়পুরহাট র্যাব-৫ ক্যাম্পের কমান্ডার সহকারি পুলিশ সুপার আজমল হোসেন জানান, নিহত তোফাজ্জল হোসেন এলাকার শীর্ষ মাদক কারবারি। মাদক চোরাচালানী ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে ক্ষেতলালসহ জয়পুরহাটের বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে ১২-১৩টি মামলা চলমান রয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষেতলাল থানায় মামলা করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।