Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাড়ছে পোশাক রফতানি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

একক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্রে দুই বছর পর আবারো রফতানি প্রবৃদ্ধি বাড়ছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির পর ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দুই শতাংশের কিছু বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছিল, সেখানে চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৭ শতাংশেরও বেশি। তবে, পঞ্জিকা বর্ষ অনুযায়ী ২০১৮ সালে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড কমিশনের (ইউএসআইটিসি) পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে এ চিত্র পাওয়া গেছে। উদ্যোক্তারা বলেন, যে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে সেটা দুই বছর আগের তুলনায় খুব বেশি বেড়েছে তা কিন্ত নয়। তবে, নেতিবাচক অবস্থান থেকে বেরিয়ে এসেছে এটাই ইতিবাচক দিক।

জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র মন্দা কাটিয়ে ওঠার পাশাপাশি বাংলাদেশের পোশাক খাতের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ায় এই প্রবৃদ্ধি সম্ভব হয়েছে। মন্দার কবলে পড়ে ২০১৫-১৬ সালে সারাবিশ্ব থেকে পণ্য আমদানি কমে গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের। ২০১৬ সালে তাদের মোট আমদানি ছিল আগের বছরের তুলনায় কম।

এটি কাটিয়ে উঠে ২০১৭ সালে তাদের আমদানি বেড়েছে ৭ শতাংশ। আর ২০১৮ সালে তা আরো বেড়ে হয়েছে ৯ শতাংশ। এই হিসেবে বাংলাদেশ থেকে তাদের আমদানির প্রবৃদ্ধি অন্যান্য দেশের তুলনায় কম। কারণ তাদের মোট আমদানির প্রবৃদ্ধি ৯ শতাংশ হলেও বাংলাদেশ থেকে প্রবৃদ্ধি হয়েছে সাড়ে ৬ শতাংশ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে কম প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। সেই তুলনায় এবার আমাদের প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। তবে, আমাদের প্রতিযোগীরা আরো বেশি জোরে এগিয়ে যাচ্ছে। কম্বোডিয়ার প্রবৃদ্ধি ২৫ শতাংশের ওপরে। রফতানিকারকরা বলছেন, পোশাক খাতে বিভিন্ন সংস্কারের কারণে ক্রেতাদের আস্থা বেড়েছে। এ জন্যই আমাদের রফতানি বাড়ছে। একক দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাজার। চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে বাংলাদেশের মোট রফতানি আয় এসেছে ২৪১৭ কোটি ৯৫ লাখ ডলার। এর মধ্যে শুধু যুক্তরাষ্ট্র থেকেই এসেছে ৪০৪ কোটি ৪২ লাখ ডলার। যা মোট রফতানির ৬ শতাংশ। এ বাজারে বাংলাদেশের প্রধান পণ্য তৈরি পোশাক। ইপিবির পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৬-১৭ অর্থবছরে দেশটিতে বাংলাদেশ থেকে পণ্য রফতানি হয়েছিল ৫৮৪ কোটি ৬৬ লাখ ডলারের। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে দুই শতাংশ বেড়ে রপ্তানি হয় ৫৯৮ কোটি ৩৩ লাখ ডলার। এরপর চলতি অর্থবছরের প্রথম ৭ মাস তথা জানুয়ারি পর্যন্ত রফতানি হয়েছে ৪০৪ কোটি ৪২ লাখ ডলারের। আগের অর্থবছরের একই সময়ে রফতানি আয় হয়েছিল ৩৪৪ কোটি ৩৪ লাখ ডলার। অর্থাৎ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

বিজিএমইএ সহসভাপতি ফারুক হাসান বলেন, আমরা কারখানাগুলোর সংস্কার করেছি। ফলে আস্থা অর্জন করতে পেরেছি। উচ্চমূল্যের পণ্য তৈরি করছি। যার ফল আমরা পেতে শুরু করেছি।

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ইউএসআইটিসির তথ্য অনুযায়ী ২০১৮ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ১১ মাসে তারা বাংলাদেশ থেকে আমদানি করেছে ৫৬৬ কোটি ৮ লাখ ডলারের পণ্য। আগের বছর একই সময়ে এটি ছিল ৫৩০ কোটি ৮০ লাখ ডলার। অর্থাৎ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ। বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক হলেও প্রতিযোগী দেশগুলোর অবস্থান আরো উপরে। যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানিতে কম্বোডিয়ার প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৫ শতাংশ। ভারতের প্রবৃদ্ধি ১২ দশমিক ১১ শতাংশ। চীনের পণ্য রফতানি বেড়েছে ৭ শতাংশ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ