পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঠাকুরগাঁওয়ে অবশেষে বিজিবির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। হরিপুর উপজেলার বহরমপুর গ্রামে বিজিবি-গ্রামবাসীর সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত ৩ জনের পরিবারের পক্ষ থেকে আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়। নিহতদের স্বজনরা থানায় মামলা করার চেষ্টা করলেও পুলিশ বিজিবির বিরুদ্ধে অভিযোগ না নেয়ায় বাধ্য হয়ে তারা আদালতের মুখাপেক্ষী হন। জেলার হরিপুর আমলি আদালতে গতকাল রোববার দুপুরে তিনটি মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন নিহতদের স্বজনরা। মামলায় আদেশের জন্য বিচারক ফারহানা খান আগামী ৬ মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন।
এসব মামলায় বিজিবি-৫০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদসহ বিজিবির ৭ সদস্যের নাম উল্লেখ ও ১০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি দেখানো হয়েছে। মামলার বাকি আসামিরা হলেন, বিজিবির বেতনা ক্যাম্পের সদস্য নায়েক হাবিবুল্লাহ (৩২), দেলোয়ার হোসেন (৩০), সিপাহি হাবিবুর রহমান (৩০), মুরসালিন (৩২), বায়রুল ইসলাম (২৮), নায়েক সুবেদার জিয়াউর রহমান (৩৫)। মামলার বাদীরা হলেন, নিহত নবাবের বাবা নজরুল ইসলাম, নিহত সাদেকের ভাই বাসেদ ও নিহত শিশু জয়নালের বাবা নুর ইসলাম। মামলার আইনজীবী নুরুল ইসলাম জানান, থানায় বাদীদের মামলা গ্রহণ না করায় আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন বাদীরা। তিনি বলেন, একমাত্র আদলতই পারে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে। এ বিষয়ে নবাবের পিতার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমার ছেলে শিক্ষক ছিল কোনো অন্যায় করেনি। সে যে ভালো মানুষ তা এলাকাবাসী সকলেই জানে। আমার মতো কোনো পিতার কোল যেন এভাবে শূন্য না হয়। তিনি আরো বলেন, বাবা হয়ে সন্তানের লাশ কাঁধে নেয়ার কষ্ট কোনো শব্দে তা ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়। কেবল সুষ্ঠু বিচারই কিছুটা যন্ত্রণা লাঘব করতে পারবে। আমরা সবাই আদালতের দিকে তাকিয়ে আছি।
উল্লেখ্য, গত ১২ ফেব্রæয়ারি ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার বহরমপুর গ্রামে গরু জব্দ করাকে কেন্দ্র করে বিজিবি ও গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সময় বিজিবির গুলিতে তিনজন নিহত হন, আহত হন ১৫ জন। এদিকে গত ১৪ বেতনা বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার নায়েক সুবেদার জিয়াউর রহমান বাদী হয়ে নিহতদের বিরুদ্ধেই হরিপুর থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন। নিহতদের মধ্যে জয়নাল এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। একটি মামলায় নিহত নবাব ও সাদেকসহ আরও একজনকে আসামি করা হয়। আর আরেকটি মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২৫০ জনকে আসামি করা হয়।
এদিকে ঘটনার পর পর বিজিবির গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও থানায় বিজিবির বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা না নেয়ায় এলাকাবাসীর ক্ষোভকে আরো বৃদ্ধি করে। তাদের অভিযোগ, বিজিবি স্বার্থ রক্ষার চেয়ে বরং আমাদেরকে ক্ষতিগ্রস্থ করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।