পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ বলেছেন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রতিটি খাতে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারাকে অব্যাহত রাখতে সঠিক ও যোগ্য নেতৃত্বের বিকল্প নেই। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, আর তারই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। নেতৃত্ব বিকাশের আদর্শ স্থান হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়। তাই শিক্ষকদের নিয়মিত পাঠদানের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মাঝে নেতৃত্বের গুণাবলী জাগিয়ে তুলতে হবে। ছাত্র রাজনীতি হবে আদর্শভিত্তিক। দল বা ব্যক্তি নির্ভরশীলতা পরিহার করে শিক্ষার্থীদের স্বতন্ত্র ও আদর্শিক রাজনীতির সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। তা হলে দেশে গড়ে ওঠবে ত্যাগী, দক্ষ ও সুযোগ্য নেতৃত্ব। তা ছাড়াও অসামাজিক কর্মকাÐসহ চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী, মাদক ও জঙ্গি কার্যক্রমে শিক্ষার্থীরা যাতে কোনোভাবে নিজেদেরকে সম্পৃক্ত করতে না পারে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। এ জন্য লেখাপড়ার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রম ও মুক্তবুদ্ধি চর্চার ওপর গুরুত্ব রাখার আহŸান জানান তিনি।
গতকাল রোববার বিকালে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তন উপলক্ষে আয়োজিত সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির ভাষণে প্রেসিডেন্ট ও নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর আব্দুল হামিদ এসব কথা বলেন।
প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, বর্তমান সরকার ইতোমধ্যে ডেল্টা প্লান-২১০০ গ্রহণ করেছে। ডেল্টা প্ল্যানের আওতায় উপক‚লীয় অঞ্চলে সুপেয় পানির ব্যবস্থাপনা, সমুদ্রসম্পদ আহরণ ও এর সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে অর্জিত বিশাল সমুদ্রসীমার বিপুল সম্পদ কাজে লাগাতে হলে এ বিশ্ববিদ্যালয়কে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করারও আহŸান জানান তিনি।
সমাবর্তনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নোবিপ্রবি ভিসি অধ্যাপক ড. এম অহিদুজ্জামান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনি। বক্তব্য রাখেন একুশে পদকপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী ড. অনুপম সেন। নোবিপ্রবি’র কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফারুক উদ্দিন ধন্যবাদ বক্তব্য প্রদান করেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. মমিনুল হক।
নোবিপ্রবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফারুক উদ্দিন অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১০টি স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়। সমাবর্তনে স্নাতক পর্যায়ের ৬ জনকে চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল ও স্নাতকোত্তর ৪ জনকে ভাইস চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল প্রদান করা হয়। প্রকৌশল ও প্রযুক্তি, বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান ও মানবিক এবং ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের সর্বাধিক ২২৬৩ জন গ্র্যাজুয়েটকে স্নাতক ডিগ্রি, ৪৪৫ জনকে স্নাতকোত্তর ও ২১৮ জনকে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এরআগে প্রেসিডেন্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের উদ্বোধন করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত ও একাডেমিক কর্মকাÐের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।