অর্থনৈতিক রিপোর্টার : কাঁচাবাজার ভরপুর সবজিতে। উৎপাদনের সঙ্গে সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকায় বাজারে মাত্র ১০ থেকে ২০ টাকায় মিলছে বেশির ভাগ সবজি। তবে রাজধানীর সাধারণ মানুষকে ভোগাচ্ছে ডিম-মাছ আর মুরগির দাম। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর সেগুনবাগিচা, শান্তিনগর এবং কাপ্তান বাজার ঘুরে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
এ সময় বিক্রেতাদের মুখে হাসি থাকলেও ক্রেতাদের দেখা গেছে মলিন মুখে। ৯০ টাকা ডজনের ডিম এখন ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগির কেজি কেনা যাচ্ছে ১৫০ থেকে ৬০ টাকা। পাকিস্তানি মুরগির কেজি ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা। শান্তিনগন বাজারের বিক্রেতা রফিক জানান, কয়েকদিন আগেও মাঝারি আকারের একটি রোস্ট তৈরির কক মুরগি ২০০ টাকায় বিক্রি করেছেন। এখন তা কেনাই পড়ছে ২০০ টাকার উপরে। বিক্রি করেছেন ২২০-২৩০ টাকা দরে। তিনি বলেন, আকারভেদে কক মুরগির দর প্রতিটিতে ২০-৩০ টাকা বাড়তি। রফিক জানান, ডিমের দামও বাড়তি। চাহিদাও বেশি হওয়ায়ই দাম বেড়েছে। ফার্মের মুরগির লাল ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০৫-১১০ টাকা দরে, যা আগের চেয়ে ১০ টাকা বেশি। কারওয়ান বাজারের ডিমের পাইকারি দোকানেই প্রতি ১০০ ডিম ৮৫০ টাকা চান বিক্রেতা। এতে হালি পড়ে ৩৪ টাকা। অন্যদিকে হাঁসের ডিম প্রতি হালি ৫৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে খুচরা দোকানে, যা সাধারণত ৪০-৪৫ টাকার মধ্যে থাকে।
বাজারগুলোতে গরুর ও খাসির গোশতের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। গরুর মাংস আগের মতোই ৫০০ টাকা কেজি, খাসির মাংস ৬৫০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি। মাছ ও মাংসের দাম চড়া হলেও শাক-সবজির বাজার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ভালো জাতের পেঁয়াজ ২০ টাকা এবং নতুন আলুর দাম ১৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
গত কয়েক মাস ধরে বাজারে সব থেকে দামি সবজি তালিকায় রয়েছে ছোট আকৃতির উস্তা। এক কেজি উস্তা বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকায়। বাজার ও মানভেদে বড় করলার কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
বেগুন কেজি ১৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে, শালগম, মুলা ও পেঁপের দামও ১৫ টাকা। বিচিবিহীন শিম বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজি। ফুলকপি ১৫ থেকে ২০টাকা পিস এবং বাঁধাকপি ১৫ থেকে ২০ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে এ সবজি দুটির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
পালং শাক বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকা আটি, লাল ও সবুজ শাকের দাম একই। লাউশাক পাওয়া যাচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকায় আটি।
কাপ্তান বাজারের সবজি ব্যবসায়ী জামাল বলেন, চাহিদা সরবরাহ দু-ই ভালো। যে কারণে সবজির দাম নাগালের মধ্যে। আগামী দু-এক মাস সবজির বাজার এমনটিই থাকবে বলে মনে করছেন এই ব্যবসায়ী।