বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিএনপি চেয়ারর্পাসন খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতির কারণে আবারও পেছানো হল নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানি। আগামী ৩ মার্চ পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত। গতকাল বুধবার পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান নতুন এ দিন ধার্য করেন। এ সময় খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা জানান আদালত থেকে অসুস্থতার কারণে মামলার অন্যতম আসামি খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হতে পারেননি। দ্রæত চিকিৎসার প্রয়োজন।
সোয়া ১২টায় মামলার কার্যক্রম শুরু হলে খালেদা জিয়ার পক্ষের আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার আদালতকে বলেন, ম্যাডাম অত্যন্ত অসুস্থ জানিয়ে গত ১২ফেব্রæয়ারি চিকিৎসার জন্য আবেদন করেছিলাম। আদালত এ বিষয়ে উচ্চ আদালতের আদেশ দাখিল করতে বলেছিলেন। আমরা দুইদিন পরে উচ্চ আদালতের আদেশ দাখিল করেছি। ম্যাডাম অসুস্থতার জন্যই আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি।
ওই সময় বিচারক আদালতে উপস্থিত ডেপুটি জেলার শাহরিয়ারকে জিজ্ঞাসা করেন, কেন খালেদা জিয়া আদালতে উপস্থিত করা হয় নাই? জবাবে তিনি বলেন, তিনি ঘুম থেকে এখনো ওঠেননি। তাই তাকে আনা সম্ভব হয় নাই।
এরপর মাসুদ আহমেদ বলেন, সুস্থ কোনো মানুষ ১২টা পর্যন্ত ঘুমিয়ে থাকতে পারে না। অসুস্থতাজনিত ঘুমের কারণেই তিনি আদালতে আসতে পারেননি। তাই দ্রæত চিকিৎসার বিষয়ে আদেশ দেয়া প্রয়োজন। এ সময় দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, তিনি অসুস্থ থাকলে আমাদের চিকিৎসার বিষয়ে কোনো আপত্তি নেই। তবে আদালত জেলকোড আইনের বাইরে যেতে পারেন না। জেল কোড অনুযায়ী আদালত আদেশ দিতে পারেন। এরপর বিএনপি নেতা এ মামলার আসামি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, খালেদা জিয়া অসুস্থ সেটা সবাই জানেন। কোনো সুস্থ মানুষ হুইল চেয়ারে করে আদালতে আসবেন না এবং দুপুর ১২ পর্যন্ত ঘুমিয়েও থাকবেন না। আদালত তাকে দেখেছেন। তিনি দিন দিন মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তার জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন। মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, কারা কর্তৃপক্ষ বলেছে যে, ওনার ঘুম ভাঙেনি, তাই আদালতে হাজির করা যায়নি। অসুস্থতার কথা একবারও বলা হয়নি।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক বলেন, যেহেতু আসামির অনুপস্থিতে চার্জ শুনানি করা যায় না। তাই পরবর্তী চার্জ শুনানির জন্য আগামী ৩ মার্চ ধার্য করা হলো। একই সঙ্গে তিনি চিকিৎসার বিষয়ে আদেশ পরে দিবেন বলে জানিয়ে এজলাস ত্যাগ করেন। ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।