পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নগরীর চাক্তাইয়ে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের নেপথ্যে নাশকতা কি-না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। জেলা প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের গঠিত দু’টি তদন্ত কমিটি আগুনের কারণ অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে। অগ্নিকান্ডের পর থেকে সেখানকার বাসিন্দারা ঘটনাকে রহস্যজনক উল্লেখ করে পরিকল্পিতভাবে কেউ আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করছেন। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির সদস্যরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
এদিকে গতকাল (সোমবার) অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে ঘটনার পেছনে কোন নাশকতা ছিল না তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপমন্ত্রী নওফেল বলেন, ইতোমধ্যে নাশকতার অভিযোগ এসেছে। যেহেতু অভিযোগ এসেছে, বিষয়টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যারা এখানে মারা গেছেন, তারা নাশকতার শিকার হয়েছেন কি-না সেটি আমরা জানতে চাই। নওফেল বলেন, আমরা শুনেছি, এখানে (বস্তিতে) বেশকিছু ব্যক্তিবর্গ ভয়ভীতি দেখিয়ে নাকি কিছু মানুষকে আটকে রেখেছিল।
কেউ যদি এখানকার অসহায় মানুষদের মাধ্যমে কোনো পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তাদের ব্যবহার করে, তাহলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব। তিনি কর্ণফুলী নদীর তীরে চলমান অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রমের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, উচ্ছেদের প্রেক্ষিতে চাক্তাইয়ে এ ঘটনা ঘটেছে কি-না, সেটা খতিয়ে দেখতে হবে। কারণ ওই উচ্ছেদে অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বস্তির জমির মালিকানার বিষয়েও তদন্তের জন্য জেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা দেয়ার কথা জানিয়েছেন উপমন্ত্রী নওফেল।
রোববার ভোরে ওই বস্তিতে আগুনে পুড়ে ৮ জনের মৃত্যু হয়। বস্তির দুই শতাধিক ঘরও আগুনে পুড়ে গেছে। কর্ণফুলী নদী এবং রাজাখালী খালের মোহনায় গড়ে ওঠা খাস জমি দখল করে রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা এই বস্তি বানিয়েছিলেন বলে অভিযোগ আছে। কর্ণফুলী নদীর তীর থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরুর পর মৌখিকভাবে বস্তিবাসীদের সেখান থেকে সরে যাবার জন্য বলেছিল প্রশাসন। তবে অগ্নিকান্ডের পর বস্তিবাসীর অভিযোগ- দখলদারদের বাধায় তারা বস্তি ছাড়তে পারেননি। এদিকে বাকলিয়া থানার ওসি প্রণব কুমার চৌধুরী জানান, নাশকতার অভিযোগ তোলা হলেও এখনও থানায় কেউ কোন অভিযোগ দায়ের করেনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।