পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস' বইয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি অন্তভূক্ত না করায় ইতিহাস বিকৃতি সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়েছে। সোমবার বিচারপতি মো: আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চে এ ২৫ পৃষ্টার এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
প্রতিবেদনটি দাখিল করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আল আমিন সরকার। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন। পরে আদালত এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামীকাল দিন ধার্য করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস' বইয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি অন্তভূক্ত না করায় ইতিহাস বিকৃতি হয়েছে। এ সংক্রান্ত তদন্ত কমিটি বলেছে, বইটি প্রণয়নের সংশ্লিষ্ট নথিপত্র, তথ্য উপাও ও সংযোজিত ছবি ইত্যাদি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সম্পাদনা কমিটির কাজের মধ্যে অসংগতি ছিলো। এ কমিটির কাজে ধারাবাহিকতা ছিলো না। নিয়মিত সভাও হত না। তাছাড়া গবেষনা কমিটি ও সম্পাদনা কমিটির মধ্যে সমন্বয়ের অভাব ছিলো মর্মে প্রতীয়মান হয়।
কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট আদেশমূলে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি এই বইয়ে অন্তর্ভৃক্ত করা অত্যাবশ্যক ছিলো। জাতির জনকের ঘোষিত স্বাধীনতায় সাড়া দিয়ে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত এবং ২ লাখ মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে এদেশ স্বাধীন হয়। বইটির দ্বিতীয় অধ্যায়ে 'বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও বাংলাদেশ ব্যাংক' এর ইতিহাস বর্ণনা করা হয়েছে। বিধায় স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান এর মুক্তিযুদ্ধ সংশ্লিষ্ট অথবা বঙ্গবন্ধুর অন্য যে কোন ছবি বইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা যেত। কাজেই বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে সংশ্লিষ্ট বঙ্গবন্ধুর ছবি খুজে না পাওয়ার যে যুক্তি উত্থাপন করা হয়েছে তা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। এর আগে গত ০২ অক্টোবর বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস নামক বইয়ে ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠনের নির্দেশদেন হাইকোর্ট। ঘটনা তদন্ত করে ৩০ দিনের মধ্যে অর্থ সচিবকে এ বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলও করতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এবিএম আলতাফ হোসেন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী অর্পণ চক্রবর্তী,কামরুজ্জামান কাকন ও শুভজিৎ ব্যানার্জী। পরে আইনজীবী অর্পণ চক্রবর্তী জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই বইয়ে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান, পূর্ব পাকিস্তানের গভণর্র মোনায়েম খানের ছবি অন্তর্ভূক্ত করা হলেও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি। এ নিয়ে আলোচনা সমালোচনা ওঠার গণমাধ্যমেও সংবাদ প্রকাশিত হয়। এসব প্রতিবেদন নিয়ে আদালতে মঙ্গলবার রিট আবেদনটি দায়ের করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।