Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দুর্নীতির লোভের জিহ্বা কেটে ফেলা হবে

মতবিনিময় সভা করেন দুদক চেয়ারম্যান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৫ এএম

দুর্নীতির লোভের জিহ্বা কেটে ফেলা হবে বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। তিনি বলেছেন, আপনার বলছেন শাস্তি হয় না। তথ্যটি সঠিক নয়। আমরা হয়তো কাক্সিক্ষত মাত্রায় দুর্নীতি কমাতে পারিনি। কোনো একক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে দুর্নীতি দমন সম্ভব নয়। দুর্নীতি দমনের সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজন। গতকাল রোববার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের কৌশলপত্র-২০১৯-এর ওপর মতামত ও পরামর্শ গ্রহণে মতবিনিময় সভায় চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন। এতে ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীা অংশ নেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আপনারাই দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সবচেয়ে যোগ্য এবং মেধাবী সন্তান। তাই কমিশনের কর্মকৌশল প্রণয়নে সর্বপ্রথম আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে। আমরা আপনাদের কাছ থেকে দুর্নীতি প্রতিরোধে নতুন ধারণা সৃজনশীল ভাবনা এবং সর্বোপরি কর্মপন্থা গ্রহণ করতে চাই।
এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শামস আসিফ চৌধুরী বলেন, দুদক স্কুল পর্যায়ে সততা সংঘ গঠন করলেও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এ ধরনের কোনো সংগঠন নেই। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে এথিকস ক্লাব গঠনের আহ্বান জানান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তামান্না রিফাত আরা বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে এমন কোনো পদ্ধতি নেই, যার সাহায্যে দুর্নীতি করার সুযোগ বন্ধ করা হয়েছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. সাইদুর রহমান বলেন, অপরাধীদের দ্রুত বিচার করা না গেলে অপরাধ দমন করা সম্ভব নয়। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. ফারুক হোসেন বলেন, কৃষি ভর্তুকির অর্থ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কাছে পোঁছানোর আগেই বিভিন্ন স্তরে দুর্নীতি হয়। আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী মো. আশিকুর রহমান দুর্নীতিকে একটি চেইন অপরাধ হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, নিচের দিকে কমর্রত কর্মকর্তারা জানেন তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও দুর্নীতিপরায়ণ। তাই দুর্নীতি করলে কিছু হবে না। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অর্পিতা মহাজন দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ এবং ফল চান।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, একসময় বলা হতো অর্থই অনর্থের মূল। কিন্তু সব সময় নয়। অর্থ মানেই ক্ষমতা। অনেক সময় মানুষ অর্থের পেছনে ছুটে। এটাতে তারা এখন আর লজ্জা পায় না। তাই দুর্নীতিবাজদের লজ্জা ফিরিয়ে আনতে হলে প্রয়োজন মানসম্মত শিক্ষা। আপনার বলছেন শাস্তি হয় না। তথ্যটি সঠিক নয়। এবারও শতকরা ৬৩ মামলায় সাজা হয়েছে। আমরা হয়তো কাক্সিক্ষত মাত্রায় দুর্নীতি কমাতে পারিনি। এই শতকরা ৬৩ সাজা কিন্তু এমনিতে হয়নি। এটি আমাদের সবার ঐকান্তিক চেষ্টার ফসল। সভায় দুদক কমিশনার এ এফ এম আমিনুল ইসলাম ও মো. মোজাম্মেল হক খান বক্তব্য রাখেন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) সারোয়ার মাহমুদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দুদক সচিব মোহাম্মদ দিলোয়ার বখ্ত, মহাপরিচালক (প্রশাসন)মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরী, মহাপরিচালক (তদন্ত) মো.মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।#



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ