পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দীর্ঘদিন পর আবারো ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল ৯টা নাগাদ বন্দরনগরীসহ বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চল হালকা ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে। রিখটার স্কেলে এ ভূকম্পনের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৯ পয়েন্ট, অর্থাৎ হালকা ধরনের।
ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল (ইপি সেন্টার) ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মিজোরামে। ভূকম্পনের মাত্রা হালকা হলেও এটির উৎপত্তিস্থল ছিল চট্টগ্রাম অঞ্চলের খুব কাছাকাছি। এরফলে ভূকম্পনের ধাক্কা অনুভূত হয়েছে মিজোরাম রাজ্যটির সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, ফেনীসহ দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল জুড়ে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ও যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্তি¡ক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানায়, গতকাল বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টা ৫৮ মিনিট ৫০ সেকেন্ডে এভূমিকম্প অনুভূত হয়। এটি স্থায়ী হয় কয়েক সেকেন্ড। সকালে আচমকা ভূকম্পন টের পেয়ে অনেকেই নড়েচড়ে বসেন। তবে কোথাও তাৎক্ষণিক কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
এ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল রাজধানী ঢাকার আগারগাঁও ভূকম্পন পর্যবেক্ষণাগার থেকে ২৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে (অক্ষাংশ ২২.৩৬ ডিগ্রি উত্তর এবং দ্রাঘিমাংশ ৯২.৭৬ পূর্ব। ইউএসজিএস জানায়, ভূমিকম্পটি মিজোরামের সাইহা জেলার ১০ কিলোমিটার দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিমে ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে আঘাত হানে। সাইহা রাঙামাটি জেলার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত।
ভূ-তত্ত্ব বিশেষজ্ঞ সূত্র জানায়, বাংলাদেশ এবং এর সংলগ্ন উত্তর-পূর্ব ভারত, মিয়ানমার, নেপাল অঞ্চলটি পৃথিবীর অন্যতম ভূকম্পন-প্রবণ জোন বা বলয়ে অবস্থিত। যদিও তা সুপ্ত। ৫০ বছর থেকে দেড়শ’ বছর অতীতে বাংলাদেশ ও আশপাশে রিখটার স্কেলে ৭ থেকে সাড়ে ৮ মাত্রার প্রচন্ড শক্তিশালী ধরনের বেশ কয়েকটি ভূমিকম্পের রেকর্ড রয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ছোট কিংবা মাঝারি ধরনের ভূমিকম্প অদূর ভবিষ্যতে এ অঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পের অশনি সঙ্কেত বহন করছে। অথচ বাংলাদেশে ভূমিকম্পের সম্ভাব্য দুর্যোগ সম্পর্কে প্রাক-প্রস্তুতি, গণসচেতনতা ও সতর্কীকরণ ব্যবস্থা সরকারি এবং বেসরকারি উভয় দিকেই এখনো দুর্বল। এ নিয়ে কর্তৃপক্ষ অনেকটা নির্বিকার, নেই সুষ্ঠু সমন্বয়। তাছাড়া রাজধানী ঢাকা, বন্দরনগরী চট্টগ্রাম, সিলেট, কক্সবাজার, রাঙামাটিসহ ভূকম্পন জোনে অনেক বাড়িঘর, বহুতল ভবন, স্থাপনা অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত। সেগুলো ভূমিকম্প-প্রতিরোধী বা সহনীয় নয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।