Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে বিধিমালা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

আইন পাস হওয়ার সাত বছর পর ও সংশোধিত আকারে কার্যকর হওয়ার প্রায় চার বছর পর মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর বিধিমালা প্রণয়ন হলো। মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা ২০১৯ নামে অভিহিত হবে। বিধিমালায় ১২টি অধ্যায় ও ৫৭ ধারা রয়েছে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম সই করা প্রজ্ঞাপন সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। যা ৩১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর ধরা হয়েছে।
জানা গেছে, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি পাস হয়। যা ওই বছরের ১৬ জানুয়ারি থেকে কার্যকর ধরা হয়। তখন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইনে একমাত্র ক্ষমতাপ্রাপ্ত সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে। এরপর ২০১৫ সালের ৫ অক্টোবর প্রেসিডেন্টের আদেশক্রমে এক অধ্যাদেশের মাধ্যমে আইনটি সংশোধন হয়। কিন্ত এতোদিনও বিধিমালা প্রণয়ন হয়নি। বিধিমালা ১২টি অধ্যায় ও ৫৭ ধারা দ্বারা সাজানো হয়েছে। এই বিধিমালায় অপরাধের ২৭টি ধরণ অনুসারে ক্ষমতাপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর বিবরণ তফসিলের ‘তালিকা-১’ এ উল্লেখ করা হয়েছে। মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে বর্ণিত অপরাধ অনুসন্ধান ও তদন্তের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্ধারিত সংস্থাগুলো হলো-দুর্নীতি ও ঘুষ-দুর্নীতি দমন কমিশন, মুদ্রা জালকরণ-বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ, দলিল দস্তাবেজ জালকরণ-বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ, চাঁদাবাজি-বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ, প্রতারণা- বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ, জালিয়াতি-বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ, অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসা-বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ, অবৈধ মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের ব্যবসা-মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ। চোরাই ও অন্যান্য দ্রব্যের অবৈধ ব্যবসা-বাংলাদেশ কাস্টমস ও বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ, অপহরণ। অবৈধভাবে আটকে রাখা ও পণবন্দী করা-বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ। খুন, মারাত্মক শারীরিক ক্ষতি-বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ। নারী ও শিশু পাচার- বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ। চোরাকারবার-জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ। দেশি ও বিদেশি মুদ্রা পাচার-জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ। চুরি বা ডাকাতি বা দস্যুতা বা জলদস্যুতা বা বিমান দস্যুতা- বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ। মানব পাচার-বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ। যৌতুক-বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ। চোরাচালানী ও শুল্ক সংক্রান্ত অপরাধ-জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ। কর সংক্রান্ত অপরাধ-জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। মেধাস্বত্ব লংঘন-বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ। সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থ যোগান-বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ। ভেজাল বা স্বত্ব লংঘন করে পণ্য উৎপাদন-বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ। পরিবেশগত অপরাধ পরিবেশ অধিদপ্তর-বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ। যৌন নিপীড়ন (সেক্সুয়াল এক্সপ্লয়টেশন)- বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ। পুঁজিবাজার সংক্রান্ত অপরাধ (ইনসাইডার ট্রেডিং এন্ড মার্কেট ম্যানিপুলেশন)- বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ডএক্সচেঞ্জ কমিশন। সংঘবদ্ধ অপরাধ-বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ এবং ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে অর্থ আদায়- বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ