Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জিনে নেয়নি : পালিয়েছেন এক সন্তানের জননী!

রাউজান (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

রাউজানের হলদিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের আদমশাহর বাড়ির জাফরের স্ত্রীকে অপহরণ কিংবা জিনে নেয়নি বরং নিজেই একজন পরপুরুষের সাথে চলে গিয়েছিল। গত শুক্রবার রাউজান থানায় রাত ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ওসি কেপায়েত উল্লাহর জেরার মুখে আসল রহস্য বের হয়ে আসে। বিকাল থেকে এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে জানাজানি হতে থাকে জিনে নিয়ে যাওয়া গৃহবধূ এখন থানায়? চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা নিয়ে উৎসুক জনতার ঘটনার রহস্য জানার আগ্রহ বেড়ে যায়। রাত ৮টা থেকে শুরু হয় ওসি কেফায়েত উল্লাহর তথ্য উদঘাটন।

প্রথমে গৃহবধূ জানালেন তাকে ৩/৪জন পুরুষ অপহরণ করেছে, তিনি তাদের চিনতে পারেন নি। ওসি গৃহবধূর কথা মানতে নারাজ। ওসি বলেন আসল ঘটনাই বলতে হবে, কি হয়েছিল সেদিন রাতে। মিথ্যা কথা বলে লাভ নেই। ওসির নরম-গরম কথায় দীর্ঘ ৩ ঘন্টার চেষ্টায় আসল ঘটনা বলতে থাকে গৃহবধূ। সে জানায় ফটিকছড়ির বক্তপুরের তার খালাত বোন (বিবাহিতা) ঝর্না আকতারের প্ররোচনা ও পরামর্শে আবুল কালাম নামের এক সিএনজি অটো ড্রাইভারের সাথে সেদিন নানুপুরে চলে যায়। তিনি বলেন তাকে কেউ অপহরন করেনি কিংবা জিনেও নেয়নি।
১৫ দিন আগে গৃহবধূ খালাত বোন ঝর্নার বাড়িতে ২৮ দিন থেকে আসছিল। সে সময় ওই গৃহবধূর সাথে কালামকে বিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করে ঝর্না আকতার। তার স্বামী থাকে বিদেশে। পরিকল্পনা অনুুযায়ী ১৩ ফেব্রুয়ারি বুধবার রাতে পালিয়ে যায় কালামের সাথে। তার ৬ বছরের একটি সন্তান রয়েছে। পরে সামাজিক বৈঠকে উভয় সমাজের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে সমস্যার সমাধান করা হবে। সামাজিক বৈঠক না হওয়া পর্যন্ত গৃহবধূকে মায়ের জিম্মায় দেয়া হয়েছে। এসআই মেহের পুরো ঘটনাটি তদন্ত করেন।

প্রসঙ্গত, এর আগে ১৩ ফেব্রুয়ারি রাতে জাফরের স্ত্রী গৃহবধু রাজিয়া সুলতানা রুপা (২৪) রহস্যজনকভাবে নিখোঁজের ঘটনা ঘটে। এরপর পুলিশ তদন্ত শুরু করে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ