রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ঝিনাইগাতীতে সেচ মূল্য বৃদ্ধিতে চরম সঙ্কটে পড়েছেন বোরো চাষিরা। বোরো ধানের এই সময়ে বাড়তি সেচ খরচ যোগাতে হিমসিম খাচ্ছেন বেশীরভাগ ইরি-বোরো চাষি। এ অবস্থায় যত বেশী মূল্যই হোক না কেন, সেচ দিতেই হবে ক্ষেতে। নচেৎ মাঠে মারা যাবে বোরো আবাদ। সেচ কল (গভীর/অগভীর নলকূপ) মালিকদের উচ্চ মূল্যে পানি বিক্রির যাঁতাকলে পড়ে চলতি মৌসুমে অতিরিক্ত সেচ খরচ গুনতে হিমসিম খাচ্ছে কৃষক। ব্যক্তি মালিকানাধীন সেচ মালিকদের খেয়ালখুশি মোতাবেক সেচ মূল্য বৃদ্ধি এবং আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দড়িকালিনগর গ্রামের আদর্শও প্রবীণ কৃষক আলহাজ শরিফ উদ্দিন সরকার, প্রতাব নগরের আলহাজ রেজাউর রহমান মাস্টার, মো. আব্দুস ছাত্তার সাদা মিয়া জানান, গত বছর যেখানে প্রতি একরে সেচ খরচ ছিল সাড়ে তিন হাজার টাকা, সে ক্ষেত্রে এবার আদায় করা হচ্ছে ছয় হাজার টাকা প্রতি একরে। তাছাড়া প্রতি একরে ধান চাষ থেকে শুরু করে সেচ, কাটা মাড়াই পর্যন্ত খরচ পড়ছে একরে মোট ৩২ হাজার টাকা। এ ভাবে কৃষক বাঁচবে ক্যামনে? এভাবেই প্রশ্ন করেন উল্লিখিত কৃষকগণ।
তারা আরো জানান, প্রতি একরে যদি ৫০ মন ধান উৎপন্ন হয় এবং তা বিক্রি করা হয় ৬৫০ টাকা মন দরে তবে উৎপাদিত ধানের দাম দাঁড়ায় ৩২ হাজার ৫০০টাকা। অর্থৎ কৃষকের প্রতি একরে লোকসান গুনতে হবে কমপক্ষে ৫০০ টাকা।
খবর নিয়ে জানা যায়, বিদ্যুৎ চালিত পাম্প মালিকগণ সিন্ডিকেট করে, বিদ্যুতের দাম আরেক দফা বৃদ্ধির অজুহাতে কৃষকদের নিকট এভাবেই গলাকাটা দামে পানি বিক্রি করলেও তা দেখার কেউ নেই বলে জানান, ক’জন ভুক্তভোগি কৃষক। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ক’জন ব্যক্তি মালিকানা গভীর নলকূপের মালিক জানান, ট্রান্সফরমার ওঠানো-নামানো খরচ এবং বিদ্যুতের বিল বাড়ানো হয়েছে। সুতরাং সেচ খরচতো বাড়বেই। তা ছাড়া বেশীর ভাগ কৃষক বাকিতে জমিতে সেচ নেন। ফসল তোলার পর পাওনা টাকা আদায় করতে গিয়ে অনেক পাওনা আদায়ও হয়না। সমস্যা আছে ভাই, সমস্যা আছে। অপর দিকে অনুরূপভাবেই বৃদ্ধি করা হয়েছে ডিজেল চালিত পাম্প ভাড়া। ফলে চরম বিপাকে পড়েছে কৃষক। এ দিকে দফায় দফায় বিদ্যুৎ ও ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধি ছাড়াও কৃষি উপকরণের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় এবং উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় মণের দুঃখে চলতি মৌসুমে অনেক কৃষক তাদের ইরি-বোরো ক্ষেত পতিত ফেলে রেখেছেন বলে জানা গেছে। প্রবীণ কৃষক আলহাজ শরিফ উদ্দিন সরকার ও আলহাজ রেজাউর মাস্টার জানান, উপজেলায় এ সব দেখা শোনার জন্য একটি সেচ কমিটি রয়েছে, তাদের কাজটা কি? সেচ মূল্য নির্ধারণ করে দেবেতো তারা- অথচ যার যে ভাবে ইচ্ছা সেচ মূল্য নির্ধারণ করছে এবং টাকা আদায় করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।