পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পি এইচ পি কুরআনের আলো ও বাংলাদেশ ক্বারী সমিতির যৌথ উদ্যোগে গতকাল শুক্রবার রাজধানীর মাহখালীস্থ বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন ও মসজিদে গাউছুল আজম কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সম্মেলন ছিল দেশী-বিদেশী সকল গুরুত্বপূর্ণ ক্বারীদের মিলনমেলা। বাংলাদেশের সকল নবীন এবং প্রবীণ ক্বারীদের উপস্থিতিতে এ ক্বিরাত সম্মেলনের মাধ্যমে শুরু হলো বিশুদ্ধ কোরআন তিলাওয়াতের নতুন যাত্রা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, বাংলাদেশ জামিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক, আলহাজ্ব এ এম এম বাহাউদ্দীন। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সাবেক সভাপতি বজলুল হক হারুন এমপি, বিজিএমই-এর সাবেক সভাপতি আতিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ জামিয়াতুল মোদার্রেছীনের মহাসচিব প্রিন্সিপাল শাব্বীর আহমদ মোমতাজী।
ক্বিরাত সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে আলহাজ্ব এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেন, দেশি-বিদেশি ক্বারীগণের উপস্থিতিতে ক্বিরাত সম্মেলন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গাউছুল আজম ময়দান আজ ধন্য। দেশের নবীন-প্রবীণ সকল ক্বারীর উপস্থিতিতে এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নতুন দিগন্তের সূচনা হলো। তিনি বলেন, বাংলাদেশের কিশোর ক্বারীরা কোন অর্থ ব্যয় ছাড়াই ট্রফি এনে বাংলাদেশকে সম্মানীত করছে। ক্রিকেটাররা ট্রফি এনে বাংলাদেশকে সম্মানীত করে বিপুল অর্থ ব্যয়ের মাধ্যমে।
তিনি বলেন, ইসলাম চর্চার ক্ষেত্রে বাংলাদেশসহ বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ মুসলিম দেশগুলোর অবস্থা ভয়াবহ। এ দেশগুলোর অবস্থা এমন হতে পারে, ইমাম খতিবের জন্য বাংলাদেশের উপর তাদের নির্ভর করতে হবে। তাই যারা নতুন ক্বারী তৈরী করছেন, তাদের দায়িত্ব হলো নবীন ক্বারীদের বিদেশী ভাষাসহ পরিপূর্ণ ইসলামী শিক্ষা দিয়ে তাদের তৈরি করা। যাতে তারা বিভিন্ন দেশে গিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। যারা আজ নতুন ক্বারী তৈরি করছেন, তারা পি এইচ পি গ্রুপের সাথে থেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছেন। তাদেরকে আরো মনোযোগী হতে হবে। গাউছুল আজম মসজিদ যেকোন প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকবে ইনশা আল্লাহ।
পি এইচ পি কুরআনের আলো’র চেয়ারম্যান ক্বারী মাওলানা আবু ইউসুফ বলেন, গাউছুল আজম মসজিদ কমপ্লেক্সে আজকের এই ক্বিরাত সম্মেলন এক ব্যাতিক্রমি অনুষ্ঠান। কারণ এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের নবীন-প্রবীণ সকল আলেম উপস্থিত আছেন। এর পূর্বে এরূপ উপস্থিতি ছিল না। পি এইচ পি কুরআনের আলো হাফেয ও ক্বারীদের নিয়ে বিগত ১১ বছর যাবৎ কাজ করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বিদেশী ক্বারীগণের মধ্যে ক্বিরাত পেশ করেন, শায়েখ ক্বারী রেজা আইয়ুব (তাঞ্জানিয়া), শায়েখ ক্বারী ইয়াহইয়া শারকাভী (মিসর), শায়েখ ক্বারী জামাল শিহাব (মিসর), শায়েখ ক্বারী তৈয়ব জামাল (ভারত), শায়েখ ক্বারী ওসামা আল হাওয়ারী (মিসর), শায়েখ ক্বারী আহমদ শাকের নেযাদ (ইরান), শায়েখ ক্বারী আইয়ুব আসিফ (লন্ডন), শায়েখ ক্বারী সালমান আমিরুল্লাহ (ইন্দোনেশিয়া)।
বাংলাদেশী ক্বারীগণের মধ্যে ক্বিরাত পেশ করেন, হাফেয ক্বারী মো. আব্দুল হক, হাফেয ক্বারী হাবিবুল্লাহ বেলালী, হাফেয, ক্বারী মো. আনোয়ার হোসাইন, ক্বারী মো. গেলাম মোস্তফা, হাফেয ক্বারী আবুল হোসেন, হাফেয ক্বারী আবু রায়হান, হাফেয ক্বারী ইকবাল হোসেন ও কিশোর ক্বারী জাকারিয়া প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।