Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অবৈধ সীমানা প্রাচীর গুঁড়িয়ে দিল পৌর কর্তৃপক্ষ

সৈয়দপুর (নীলফামারী) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৬ এএম

নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের হাতিখানা কবরস্থান ঘেঁষে বিধি বহির্ভূতভাবে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছিল। গতকাল বিধি বহির্ভূতভাবে নির্মিত ওই সীমানা প্রাচীর বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে সৈয়দপুর পৌর কর্তৃপক্ষ। এতে করে ৫০টি পরিবারের চলাচলের রাস্তা অবমুক্ত হলো।
জানা গেছে, সৈয়দপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের হাতিখানা কবরস্থানটি অবস্থিত। আর ওই কবরস্থানের উত্তর প্রান্তÍ ঘেঁষে বিমানবন্দর পশ্চিমপাড়ার মৃত. মজিবর রহমানের ৫৫ শতক জমি রয়েছে। মৃত. মজিবর রহমানের কেনা ওই জমি দীর্ঘদিন ধরে খোলামেলা অবস্থায় পড়ে ছিল। সম্প্রতি মৃত. মজিবর রহমানের তিন ছেলে মো. মহিদুর রহমান, মো. মানিক ও মো. মাসুদ তাদের পৈত্রিক ওই জমিতে আরসিসি পিলার দিয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেন। কিন্তু জায়গাটি সৈয়দপুর পৌরসভা এলাকায় হলেও সীমানা প্রাচীর নির্মাণে পৌর কর্তৃপক্ষের কোন রকম অনুমোদন নেয়া হয়নি। যদিও বিধি অনুযায়ী পৌর এলাকায় পাকা অবকাঠোমো নির্মাণে আগে পৌর কর্তৃপক্ষের অনুমোদন লাগে। ওই সীমানা প্রাচীর নির্মাণকালে সৈয়দপুর পৌরসভার সংশ্লিষ্ট ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আল-মামুন সরকার জায়গার মালিকদের পৌরসভার বিধি মেনে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের জন্য বলেন। কিন্তু জমির মালিক পৌরসভার বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে বিধি বহির্ভূতভাবে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ শেষ করেন।

এদিকে, ওই জায়গায় সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কারণে এর পূর্ব ও উত্তর প্রান্তের বসবাসকারী প্রায় ৫০টি পরিবারের চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। ফলে ওই পরিবারগুলো অনেকটাই অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। পরিবারগুলোর পক্ষ থেকে চলাচলের রাস্তা বন্ধের বিষয়ে নীলফামারী জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি লিখিত আবেদন করা হয়।

এ অবস্থায় গতকাল পৌরসভা কর্তৃপক্ষ বিধি বহির্ভূতভাবে নির্মাণ করা ওই সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে দেন। পৌরসভার কাউন্সিলর আল মামুন সরকার, আজগার আলী, কনিকা রানী সরকারের উপস্থিতিতে প্রকৌশল শাখার লোকজন বুলডোজার দিয়ে ওই সীমানা প্রাচীর গুঁড়িয়ে দেয়।
সৈয়দপুর পৌরসভার উপ-সহকারি প্রকৌশলী মো. মনিরুল ইসলাম জানান, বিধি বর্হিভূতভাবে ওই সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করায় তা ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে।

এ নিয়ে জমির মালিক মৃত. মজিবর রহমানের ছোট ছেলে মো. মাসুদে সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হয়। তিনি জানান, পৌর বিধি মোতাবেক আমরা জমির সীমানা থেকে দেড় ফুট জায়গায় ছেড়ে দিয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেছি। তারপরও আমাদের নির্মিত সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে দিয়ে আমাদের বিশাল অংকের ক্ষতি করা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ