রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
স্বল্প সময়ে উৎপাদনশীল একটি লাভজনক রবিশষ্য হওয়ায় কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় সরিষা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। দিন দিন সরিষা চাষে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে কৃষকদের মাঝে। বৃদ্ধি পাচ্ছে কৃষকদের সংখ্যাও। আমন ফসল ঘরে তোলার পর স্বল্প সময়ে একটি লাভজনক ফসল হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে সারিষা চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। তারই অংশ হিসেবে এ উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় প্রায় ৫ হাজার ১৮০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে সরিষা।
এরই মধ্যে ঋতুর পালাবদলের সঙ্গে বদলে গেছে প্রকৃতির রূপ বৈচিত্র। সরিষা ফুলে ভরে উঠেছে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ। ফুলের তেমন গন্ধ না ছড়ালেও এর দৃশ্য যেন আকৃষ্ট করছে প্রকৃতিপ্রেমীদের। হলুদ ফুলে মৌমাছিরা মনের আনন্দে যেমন মধু সংগ্রহের নেশায় ছুটে আসে সরিষা ক্ষেতে তেমনি সরিষা চাষ লাভজনক হওয়ায় চাষীরাও মনের আনন্দে ঝুঁকে পড়ছে সরিষা চাষে। সরিষার আবাদ দ্বিগুণের আশায় কিষাণ-কিষাণীদের মুখে ফুঠেছে হাসির ঝিলিক। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুক‚লে থাকলে বাম্পার ফলনের আশাও করছে চাষিরা।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলা সদর, করিমপুর, ইউছুফনগর, রামপুর, মটকিরচর, দিলালপুর, নেয়ামুতপুর, নোয়াগাঁও, কামাল্লা, রামচন্দ্রপুর, শ্রীকাইল, রোয়াচালা, কুড়াখাল, কুড়–িন্ড, বড়িয়াচরা, মোহাম্মদপুর, দিঘিরপাড়, রঘুরামপুর, পুষ্করনিরপাড়, চৈনপুর, মোচাগড়া, দেওরাসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে টরি ৭, বারি ৯, ১৪, ১৫, ১৭ ও বিনা ৪, ৯, ১০, ১৪, ১৫, ১৭, জাতের সরিষা চাষ করেছে। হেক্টর প্রতি সরিষা উৎপাদন হবে প্রায় ৭/৮ টন। ৪ হাজার ৭’শ হেক্টর জমিতে চাষাবাধের টার্গেট থাকলেও চাষের পরিমান বৃদ্ধি পেয়ে ৫ হাজার ১৮০ হেক্টরে দাড়িয়েছে।
করিমপুর মাঠের কৃষক লতু মিয়া বলেন, কয়েক বছর আগে তাদের জমি পরিত্যক্ত থকতো, কিন্তু বর্তমানে উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে তারা এখন বোরো ধানের আগে জমিতে সরিষা চাষ করছেন। বিঘা প্রতি ৪/৫ হাজার টাকা খরচ করে বিঘা প্রতি ৯ থেকে ১০ হাজার টাকা মূল্যে সরিষা বিক্রি করা যাবে। কম খরচ ও অল্প দিনের পরিচর্যায় অধিক লাভবান হওয়ায় অন্যান্য সবজি চাষের পাশাপাশি কৃষকরা জমিতে সরিষা চাষ করছেন।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তোফায়েল আহম্মেদ বলেন, কৃষকরা এবছর সরিষার বীজ বেশি চাষ করেছেন। এছাড়া তিনি উপজেলা বিভিন্ন গ্রামে বক্ল বা ক্ষেত পরিদর্শনসহ ভালো ফলন পেতে চাষাবাদের জন্য কৃষকদের পরামর্শ দিয়েছেন। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সরিষার ভালো ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি আশাবাদী।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন রাসেল জানান, সরকারের তরফ থেকে উপজেলার সকল কৃষকদের সুযোগ-সুবিধা যা দেয়ার প্রয়োজন ছিলো সব কিছু দেয়া হয়েছে। অপর দিকে কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের প্রয়োজনীয় প্রযোক্তির পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ সেবা দিয়েছেন। সরিষা কৃষকের স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি ভোজ্য তেলের ঘাটতি পূরণেও বিশেষ ভূমিকা রাখবে। কৃষকদের পরিশ্রম আর সরকারি কৃষি অফিসের সমন্মেয়ে এ বছর সরিষার বাম্পার ফলন হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।