Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

চাটমোহরে ফসলি জমিতে পুকুর খনন

চাটমোহর (পাবনা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৬ এএম

পাবনার চাটমাহরে নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে ফসলি জমিতে গণহারে চলছে পুকুর খনন। প্রতিদিনই উপজেলার বেশিরভাগ ইউনিয়নে খনন যন্ত্র এস্কেভেটর (ভেকু) মেশিনের মাধ্যমে পুকুর খননের উৎসব চলছে। প্রতি বছর বাড়ছে পুকুর খননের আকার-আয়তন। কমে আসছে ফসলি জমি। উপজেলা জুড়ে প্রকাশ্যে ফসলি জমিতে পুকুর খনন চললেও যাদের দেখভাল করার কথা সেই সংশ্লিষ্ট বিভাগ রয়েছেন নিশ্চুপ। তবে বিভিন্ন মাধ্যমে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে দু-একটি পুকুর খনন বন্ধ করলেও পুনরায় আবার খনন করছেন। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এস্কেভেটর (ভেকু) মেশিনের মাধ্যমে ফসলি জমিতে পুকুর খনন চলছে। আর খননের পর বেশিরভাগ মাটি শ্যালো ইঞ্জিন চালিত ট্রলি ও ট্রাক্টরে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ইট ভাটায়। জমি মালিকরা নাম মাত্র টাকা ব্যায়ে পুকুর খনন করিয়ে নিচ্ছেন। আর প্রতি ট্রলি মাটি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায়। উপজেলার ছাইকোলা, হান্ডিয়াল, গুনাইগাছা, নিমাইচড়া, পার্শ্বডাঙ্গা ইউনিয়নে পুকুর খননের প্রবণতা সবচেয়ে বেশি লক্ষ্য করা গেছে। আর এই পুকুর খননের ফলে আস্তে আস্তে কমে আসছে ফসলি জমির পরিমাণ। উপজেলা কৃষি অফিসার হাসান রশীদ হোসাইনী বলেন, ‘পুকুর খননের বিষয়টি উদ্বেগজনক। এতে মাছের চাষ বৃদ্ধি হলেও আশঙ্কাজনকভাবে ধানি জমির পরিমাণ কমে আসছে। এতে বছর বছর ধান বা সবজি উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে। এ ব্যাপারে সবার সচেতন হওয়া উচিত।’
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. ইকতেখারুল ইসলাম বলেন, ‘অনুমতি ছাড়া যে কোনো ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন করা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। ইউনিয়ন ভূমি অফিসগুলোকে এ ব্যাপারে সজাগ থাকতে বলা হয়েছে এবং ফসলি জমিতে পুকুর খননকারীদের তালিকা করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ