Inqilab Logo

সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

মেননের স্ত্রীকে এমপি করায় ওয়ার্কার্স পার্টি ভাঙ্গনের মুখে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী হিসেবে দলীয় সভাপতি রাশেদ খান মেননের স্ত্রী লুৎফুন্নেসা খান বিউটির নাম জমা দেওয়ায় দলের অভ্যন্তরে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। দলের নেতারা চাচ্ছিলেন বিগত দশম সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি দলের পলিটব্যুরোর সদস্য হাজেরা সুলতানা, কেন্দ্রীয় নেত্রী সালেহা সুলতানা, অ্যাডভোকেট জুবাইদা পারভীন, বীনা রানী সরকার, ইন্দ্রানী সেন শম্পা ও আফরোজা খাতুনের মতো নেত্রীদের মধ্যে থেকে একজনকে এমপি করতে। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে সাবেক মন্ত্রী মেনন নিজের স্ত্রীকে এমপি করার সিদ্ধান্ত নেন। উল্লেখ সংরক্ষিত ৫০ আসনের একটি আসন পেয়েছে ওয়ার্কার্স পার্টি।

অতিরিক্ত প্রার্থী না থাকায় আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময়সীমা পার হওয়ার পর অন্য ৪৮ জনের রাশেদ খান মেননের স্ত্রী বিউটি এমপি নির্বাচিত হবেন। সুত্র জানায়, একক ভাবে সিদ্ধান্ত নেয়ার কারণে গত দুই দশকে ওয়ার্কার্স পার্টি খন্ডবিখন্ড হয়েছে। দলের প্রবীণ নেতা হায়দার আকবর খান রনো ওয়ার্কার্স পার্টি ত্যাগ করে সিপিবিতে যোগদান করেছেন।

দলীয় কোনো ফোরামে না থেকেও শুধু সভাপতির স্ত্রী হওয়ার কারণে লুৎফেন্নসা খান বিউটির সংসদ সদস্য হওয়া মেনে নিতে পারছেন না দলের নেত্রীরা। একাধিক নেত্রী মিডিয়াকে জানান, দলীয় ফোরামে অনুমোদন ছাড়াই স্ত্রীকে দলের সংসদ সদস্য করছেন রাশেদ খান মেনন, যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়ার মতো নয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন নেত্রী বলেছেন, সভাপতির এই সিদ্ধান্তে দলীয় নেতাদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এই ইস্যু দলকে আবারও ভাঙ্গনের মুখোমুখি করতে পারে। ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সালেহা সুলতানা বলছেন, স্ত্রীকে এমপি বানিয়ে তাদের সঙ্গে অন্যায় করছেন দলীয় সভাপতি রাশেদ খান মেনন। দলীয় ফোরামের অনুমোদন ছাড়াই লুৎফুন্নেসা বিউটিকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে অভিযোগ করে সালেহা সুলতানা বলেন, দলের মনোনয়ন কাকে দেওয়া হবে তা পলিটব্যুরো, কেন্দ্রীয় কমিটি ঠিক করবে। কিন্তু তা না করে সভাপতি নিজের মর্জি মতো করেছেন। আমি না হলেও দলের অন্য কাউকে দেওয়া হলেও হত। এ এ প্রসঙ্গে দলের সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশাকে ফোন করেও তার মতামত পাওয়া যায়নি। তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ