বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলহাজ নূর মিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের মুহাম্মদ মহিববুল্লাহ সহকারী অধ্যাপক থেকে পদত্যাগ করেও বহাল তবিয়তে রয়েছেন। তিনি কলেজ অধ্যক্ষ শাহনাজ আক্তার লাভলীর যোগসাজসে বেতন-ভাতা উত্তোলন করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, মুহাম্মদ মহিববুল্লাহ ১৯৯৭ সালে ১ সেপ্টেম্বর প্রভাষক পদে আলহাজ নূর মিয়া ডিগ্রি কলেজে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ২০১৪ সালের ১ মে পদোন্নতি পেয়ে তিনি সহকারী অধ্যাপক হন। ২০১৫ সালে ২৩ আগস্ট কলেজের উপাধ্যক্ষ পদটি শূন্য হয় এবং ২০১৮ সালের ১৭ জানুয়ারি কলেজের অধ্যক্ষ ও পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব শাহনাজ আক্তার লাভলী একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার মাধ্যমে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। শূন্য পদে মহিবুল্লাহসহ ১৯ প্রার্থী আবেদন করেন। ওই বছরের ২২ সেপ্টেম্বর নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় মহিববুল্লাহ উপাধ্যক্ষ পদে নির্বাচিত হন। একই বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর তিনি সহকারী অধ্যাপক পদ থেকে পদত্যাগ করলে কলেজের অধ্যক্ষ শাহনাজ আক্তার লাভলী তাকে ছাড়পত্র প্রদান করেন ও সহকারী অধ্যাপক পদটি শূন্য ঘোষণা করেন। নিয়ম অনুসারে কলেজের কোন শূন্য পদ থাকলে তার জন্য এনটিআরসিএ-এর অনুমোদন লাগে। কিন্তু কলেজের অধ্যক্ষ শাহনাজ আক্তার লাভলী নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও নিয়োগ পরীক্ষা নেন। মহিববুল্লাহকে ২৩ সেপ্টেম্বর উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগপত্র প্রদান করা হয়। এরপর চার মাস পর্যন্ত মহিববুল্লাহ উপাধ্যক্ষ পদে চাকরি করে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন। এনটিআরসিএ-এর নিয়ম না মানায় এমপিও জটিলতার কারণে চার মাস পরে মহিবুল্লাহর উপাধ্যক্ষ পদটি স্থগিত হয়ে যায়। কিন্তু রহস্যজনক কারণে পরিচালনা কমিটি এনটিআরসিএ-এর অনুমোদন ছাড়াই মহিববুল্লাহকে সহকারী অধ্যাপক পদে পুনর্বহাল রাখার অভিযোগ রয়েছে অধ্যক্ষ শাহনাজ আক্তার লাভলীর বিরুদ্ধে। ফলে মহিববুল্লাহ সহকারী অধ্যাপক পদে বেতন-ভাতা উত্তোলনসহ সরকারি সকল সকল সুবিধা ভোগ অব্যাহত রয়েছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মহিববুল্লাহর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ ভালো বলতে পারবেন। এর বেশি কিছু তিনি বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
কলেজ অধ্যক্ষ শাহনাজ আক্তার লাভলী বলেন, যা কিছু করেছি-তা পরিচালনা কমিটির অনুমোদন নিয়েই করেছি।
কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর রুহুল আমিন ভুঁইয়া বলেন, এটা একটা আইনী বিষয়। আমাদের একটা আইন শাখা আছে। যদি সকল কাগজপত্র থাকতো-আমি দেখে আপনাকে ভালো ব্যাখা দিতে পারতাম। তবে যেহেতু তিনি সহকারী অধ্যাপক পদ থেকে পদত্যাগ করে উপাধ্যক্ষ পদে যোগদান করেছেন এবং এমপিও জটিলতার কারণে যদি ওনার উপাধ্যক্ষ পদটি আবারও স্থগিত হয়ে যায় সেক্ষেত্রে তিনি সহকারী অধ্যাপদ পদে পুনরায় চাকরি করতে পারেন না। সরকারি বেতন-ভাতাও উত্তোলন করতে পারেন না। তবে এ ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।