বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় বেড়ে চলেছে বখাটেদের উৎপাত। প্রতিদিনই শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার কোথাও না কোথাও প্রকাশ্যে হয়রানির শিকার হচ্ছেন নারী শ্রমিকরা। বখাটেদের ভয় আর পুলিশি ঝামেলা এড়াতে শত অভিযোগ চাপা দিয়ে রাখেন তারা। আর যারা অভিযোগ করেন তারাও স্থানীয় রাজনীতিবিদ আর প্রশাসনের সহযোগিতা না পেয়ে ক্লান্ত হয়ে আড়ালে চলে যান বলেও অভিযোগ রয়েছে। আর বখাটেদের উৎপাতের নেপথ্যেই রয়েছে মাদক।
আশুলিয়া অঞ্চলটিতে ছোট-বড় মিলে প্রায় হাজারের মতো শিল্প কারখানা রয়েছে। সেসবে কর্মরত আছেন লাখ লাখ নারী শ্রমিক। জীবন ধারণের তাগিদে দিনরাত ছুটে বেড়াতে হয় তাদের। সম্প্রতি এসব ছুটে চলা নারী শ্রমিকরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। অনেকেই মান সম¥ানের ভয়ে নীরব থাকছেন। আর এক শ্রেণির নেশাগ্রস্ত বখাটে তাদের হয়রানি করছে। শিল্পাঞ্চল জামগড়া, জিরাবো, কুরগাঁও, ভাদাইল, গাজীরচটসহ আশপাশের এলাকায় বাড়ছে এমন অপরাধ।
সম্প্রতি জিরাবো এলাকার ফাইভ-এফ অ্যাপারেলস কারখানার এক নারী শ্রমিককে হেনস্তা করেন একই এলাকার মাসুম হায়দার। একাধিকবার তার পরিবার ও স্থানীয়দের জানালেও কোন ফল মেলেনি। বরং বখাটেদের পরিবারের পক্ষ থেকে মেয়েটিকে খারাপ উল্লেখ করে ভয়ভীতি দেখিয়ে এলাকাছাড়া করা হয়েছে। এক পর্যায়ে ওই নারী শ্রমিক প্রথমে বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালেও পরে সে নিজেকে গুটিয়ে নেয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, মাসুম চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী হলেও প্রকাশ্যেই নানা অপকর্ম চালাচ্ছে দেদারসে। মাসুমসহ এমন বখাটেদের কারণে প্রতিনিয়ত চাকুরি ছেড়ে এলাকাছাড়া হচ্ছেন অসহায় অনেক নারী পোশাক শ্রমিক।
কারখানাটির ব্যবস্থাপক আশরাফ হোসেন বলেন, কারখানার সামনের একটি ভাংগাড়ি দোকানে মাদকাসক্ত বখাটেরা অবস্থান নিয়ে সন্ধ্যার পর আড্ডা দেয়। এ পথে নারী শ্রমিকরা চলাচলের সময় বখাটেরা হেনস্তা করে। বিষয়টি প্রশাসনের নানা দফতরকে জানালেও কোন সমাধান মেলেনি। বরং অভিযোগ করার কারণে কারখানার নিরাপত্তাকর্মীরা মারধরের শিকার হন। বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাংগঠনিক সম্পাদক খাইরুল আলম বলেন, যত দিন যাচ্ছে ততই আমাদের কাছে এমন অভিযোগ বাড়ছে। এখনই লাগাম না টেনে ধরতে পারলে ভবিষ্যতে ঘটতে পারে নানা অপরাধমূলক ঘটনা।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ রিয়াজুল হক দীপু বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে অবশ্যই দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হয়। অনেকেই আবার অভিযোগ দিয়ে আপোষ করে নেয়। যার ফলে তাদের শাস্তির আওতায় আনা যায় না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।