পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকারি চিকিৎসকদের জন্য প্র্যাকটিসিং গাইডলাইন তৈরি করতে বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি স্বাধীন মেডিকেল কমিশন গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে সরকারি চিকিৎসকদের বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে প্রাইভেট প্র্যাকটিসের অনুমতি দিয়ে করা আইনটি কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের বেঞ্চ এই নির্দেশনা দেন। এসময় আদালত বলছেন, জীবন নিয়ে কেউ বাণিজ্য করুক এটা আমরা চাই না।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আবদুল সাত্তার পালোয়ান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ (বাশার)। রিটের শুনানিতে আদালত বলেন, জীবন নিয়ে কেউ বাণিজ্য করুক, এটা আমরা চাই না। যদি চিকিৎসকরা রাত এক-দুইটা পর্যন্ত জেগে প্রাইভেট হাসপাতালে অপারেশন করেন, তাহলে দিনে এসে স্বাভাবিক থাকতে পারেন না। তাহলে কীভাবে তারা সকালে এসে সরকারি হাসপাতালে প্র্যাকটিস করেন, এটা তো প্রাকৃতিক পদ্ধতিরও পরিপন্থী। এরপর আদালত সরকারি চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিসের অনুমতি দেয়া ধারাটি কেন অসাংবিধানিক, বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতি এবং বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিকে এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
পরে আইনজীবী আবদুস সাত্তার জানান, গত ৪ ফেব্রুয়ারি সরকারি চিকিৎসকদের প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছিল। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত এ আদেশ দিয়েছেন। তিনি জানান, সারাদেশে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যে চিকিৎসা ব্যবস্থা আছে সেটি কলাপ্স হয়ে গেছে। আমরা আদালতে বলেছি, সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থা এভাবে চলতে পারে না। মানুষের জীবন নিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য হচ্ছে। এর মূল কারণ হলো সরকারি চিকিৎসকেরা প্রাইভেট প্র্যাকটিস করেন। প্রাইভেট প্র্যাকটিস যদি বন্ধ করা যায়, তাহলে সরকারি চিকিৎসায় একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। আদালত আমাদের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছেন এবং নির্দেশনা দিয়েছেন।
ডাক্তার ব্যক্তিগত চেম্বারে, হাসপাতালে রোগীর মৃত্যু শিরোনামে গত ২৯ জানুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্ট বিভাগে রিট আবেদন করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।