Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করেছে ৩০ ডিসেম্বর

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৩৮ এএম

আসন্ন উপজেলা পরিষদ র্নিবাচন প্রত্যাখান করে তা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি। সেই সাথে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনও তারা প্রত্যাখান করে তা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সংহতি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এ ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতৃবৃন্দ বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের অভূতপূর্ব ভোট ডাকাতি ও জালিয়াতির পর নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচনী ব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা পুরোপুরি নষ্ট করে দেয়া হয়েছে। দেশে এধরণের পরিস্থিতিতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকারের নির্বাচনও জাতীয় নির্বাচনের মত অর্থহীন ও অকার্যকরি হয়ে পড়েছে। নির্বাচনের নামে এসব তামাশায় অর্থ ব্যয় ও সময় ব্যয় অপ্রয়োজনীয় ও জাতীয় অপচয় ছাড়া আর কিছু নয়। আর এ অবস্থায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির পক্ষ থেকে আসন্ন উপজেলা পরিষদ র্নিাচন প্রত্যাখান করে তা বর্জনের ঘোষণা প্রদান করা হয়। একই সাথে জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের পাশাপাশি গণতান্ত্রিক ও ক্ষমতাসম্পন্ন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন এগিয়ে নেবার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তিনি বলেন, ভোটের মাধ্যমে নিয়মতান্ত্রিক ধারার সরকার পরিবর্তন ও ভোটাদের পছন্দের দলকে বেছে নেওয়ার সাধারণ গণতান্ত্রিক পরিসর ও সুযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি সমগ্র নির্বাচনী ব্যবস্থাকে কার্যঃত ধবংস করে দেয়া হয়েছে। সাইফুল হক বলেন, রাষ্ট্রীয় বাহিনী ও প্রতিষ্ঠানসমূহের পেশাদারি কর্তব্য ও নিরপেক্ষতা নষ্ট করে সরকারি দল ও জোটের ভোট জালিয়াতি আর ভোট ডাকাতির সহযোগিতে পরিণত করা হয়েছে। অনাকাঙ্খিতভাবে শাসকদলের ক্ষমতায় টিকে থাকার সাথে এদের অস্থিত্ব ও ক্ষমতাকে যুক্ত করে দেয়া হয়েছে। ভোটের নামে এক ধরনের প্রশাসনিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে গোটা রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানো হয়েছে। আর এজন্য পার্টি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মত আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনও প্রত্যাখান করে তা বর্জনের ঘোষণা প্রদান করছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, সরকারের অনভিপ্রেত রাজনৈতিক-প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ ও উপযুক্ত নীতিমালা না থাকায় এই পর্যন্ত স্থানীয় সরকার স্বশাসিত, গণতান্ত্রিক, জবাবদিহীমূলক ও ক্ষমতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠতে পারেনি। সংবাদ সম্মেলন থেকে জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের পাশাপাশি গণতান্ত্রিক ও ক্ষমতাসম্পন্ন স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনও এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, সজীব সরকার রতন, কেন্দ্রীয় সংগঠক ইমরান হোসেন প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ