Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সাড়ে ৪ বছর অনুপস্থিতিতেও পদ শূন্য হয়নি

বেলীশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

ধামরাই (ঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

ঢাকার ধামরাই উপজেলার ৪৮ নং বেলীশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস নামের একজন সহকারি মহিলা শিক্ষক ৪ বছর ৫ মাস ধরে অনুপস্থিত। শিক্ষিকার এ দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি বিদ্যালয় থেকে জানানো হলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তর কোন ব্যবস্থায় নিচ্ছে না। কর্তৃপক্ষের উদাসিনতায় আজো পদটি শূন্য করা হয়নি। অপরদিকে শিক্ষক স্বল্পতার কারনে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া বিঘ্নিত হচ্ছে।
জানা যায়, পটুয়াখালী সদর উপজেলার ৪নং তেলিখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সহকারী শিক্ষক মোসাঃ জন্নাতুল ফেরদৌসকে ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার ৪৮নং বেলীশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০১২ সালের ২৯ মার্চ বদলি করেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচলক।

যথানিয়মে পটুয়াখালী জেলা সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার ওই বিদ্যালয় থেকে ২০১২ সালের ১ এপ্রিল কার্যাব্যাহতি প্রদান করেন। পরে ৫ এপ্রিল ধামরাই উপজেলা শিক্ষা অফিসে ও ৪৮ নং বেলীশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করে। যোগদানের পর থেকেই নানা অজুহাত দেখিয়ে বেশ কিছুদিন ছুটিও ভোগ করেন। সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর থেকে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে চাকরি হতে অবসরের জন্য আবেদনও করেন। এ দীর্ঘদিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলেও ওই শিক্ষিকার আবেদন মঞ্জুর হয়েছে কিনা ধামরাই উপজেলা শিক্ষা অফিস বলতে পারছেন না।

এ ব্যাপারে উপজেলার ৪৮নং বেলীশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক রোজিনা আক্তার বলেন, জান্নাতুল ফেরদৌস দীর্ঘদিন বিদ্যালয়ে অনুপস্থিতের বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে মাধ্যম করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর আবেদন করেও কোন সুরাহা পাচ্ছি না। তিনি আরো বলেন আমার এ বিদ্যালয় এক শিপ্ট ক্লাস চলে। একজন শিক্ষক যদি এতোদিন বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকে তা হলে তার ক্লাসগুলি কিভাবে ম্যানেজ করি।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার কাজী রাশেদ মামুন বলেন, ওই শিক্ষিকার ব্যাপারে জেলা শিক্ষা অফিসারকে জাননো হয়েছে। এমনকি তার ঠিকানা ও মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে তাকে পাচ্ছি না। এব্যাপারে আবারো ওপরে জানানো হবে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখি কি করা যায়। ওই বিদ্যালয় গিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘ এক বছর ধরে অজ্ঞাত কারনে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিও নেই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ