Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিএসএমএমইউ’র ১ হাজার শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের কনক্রিট ঢালাই শুরু

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দক্ষিণ কোরিয়ার ই ডি সি এফ-এর অর্থায়নে নির্মাণাধীন সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল ভবন নির্মাণের জন্য ফাউন্ডেশনসহ কনক্রিট ঢালাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া নিজ হাতে পিলারে কনক্রিট ঢেলে দেয়ার মধ্য দিয়ে এই কার্যক্রম শুরু হয়। নির্মাণাধীন ১৩ তলা বিশিষ্ট ১০০০ শয্যার সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালটির আয়তন প্রায় ৫০ হাজার স্কয়ার মিটার। ২০১৮ সালের জুলাই থেকে ৩০ মাসের মধ্যে এই নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভিসি প্রফেসর ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার, প্রো-ভিসি প্রফেসর ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক প্রফেসর ডা. জুলফিকার রহমান খান, রেজিস্ট্রার প্রফেসর ডা. এ বি এম আব্দুল হান্নান, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান হুন্দাই ডেভেলপমেন্ট কোম্পানীর ম্যানেজার ডে ইয়ং লী, পরামর্শক প্রতিষ্ঠান সানজিন এর পরামর্শক জাংগ হো বিন, প্রকল্পের উপ-পরিচালক সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. নূর ই এলাহী প্রমুখ।

ডা. কনক কান্তি বড়–য়া জানান, গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দক্ষিণ কোরিয়ার ই.ডি.সি.এফ-এর অর্থায়নে নির্মানাধীন সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল স্থাপন প্রকল্পের ভিত্তিরপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উন্নত ও আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসাসেবার প্রতি মানুষের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এই বাস্তবতায় সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ যথার্থ ও অত্যন্ত সময়পোযোগী। বাংলাদেশে এ ধরণের হাসপাতাল এই প্রথম। ১৩তলা হাসপাতাল ভবনটিতে থাকবে ১০০০ শয্যা। দেশে প্রথম সেন্টার বেইজড চিকিৎসাসেবা চালু হবে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালটিতে। বর্তমানে বিশ্বের অধিকাংশ উন্নত দেশে সেন্টার বেইজড চিকিৎসা সেবা পদ্ধতির মাধ্যমে এ ধরণের বিশেষায়িত চিকিৎসা প্রদান করা হয়। নব নির্মিত হাসপাতাল ভবনের প্রথম ফেইজ এ থাকবে স্পেশালাইজড অটিজম সেন্টারসহ ম্যাটারনাল এন্ড চাইল্ড হেলথ কেয়ার সেন্টার, ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল কেয়ার সেন্টারসহ অন্যান্য সেন্টারসমূহ। দ্বিতীয় ফেইজ এ থাকবে জেনারেল সার্জারি, অফথালমোলজি/ডেন্টিস্ট্রি/ডার্মাটোলজি সেন্টারসহ অন্যান্য সেন্টারসমূহ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে রাখা হয়েছে রোগী বান্ধব সুবজ আরোগ্য উদ্যানসহ অন্যান্য আনুষাঙ্গিক সুবিধা। সুপরিসর হাসপাতালে বর্হিবিভাগ ও ইনফো ডেস্ক থাকবে রোগীদের যথাযথ নির্দেশনা প্রদানের জন্য। হসপিটাল ইনফরমেশন সেন্টার চালু করার মাধ্যমে রোগী ও হাসপাতাল পরিচালনা হবে সম্পূর্ণ ডিজিটাল। রোগ নির্ণয়ের সর্বাধুনিক সুবিধাসহ থাকবে লিভার ও কিডনী ট্রান্সপ্লান্ট সুবিধা। সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালটি স্বাস্থ্য সেবার এক নতুন দিগন্ত উম্মোচন করবে। এখানে প্রতিদিন বর্হিবিভাগে সেবা গ্রহণ করবে ২০০০-৪০০০ রোগী। হাসপাতালের অন্তঃবিভাগে প্রতিবছর প্রায় ২২ হাজার রোগী স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণ করবে। প্রতিবছর দেশের বাইরে চলে যাওয়া ৩০০-৪০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে প্রতিষ্ঠিত সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালটি ‘বিদেশ নয়, দেশেই সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসেবার নিশ্চয়তা’-এর যথাযথ বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। চিকিৎসাসেবা মানুষের মৌলিক অধিকার সংবিধানের এই স্বীকৃত বাণী বাস্তবায়নে বাংলাদেশ আরো এক ধাপ এগিয়ে যাবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ