রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
নীলফামারীর সৈয়দপুরে মেধাবী স্কুল ছাত্র সিরাজুম মনির খাঁন সাকিব হত্যাকারীর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। গতকাল সকালে সৈয়দপুর প্রেস ক্লাবের সামনে ওই মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে সর্বস্তরের শিক্ষার্থীরা।
শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক সড়কে সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপী ওই মানববন্ধনে নিহত সাকিরের প্রিয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সৈয়দপুর সরকারি কারিগরি মহাবিদ্যালয়ের ছাড়াও শহরের বিভিন্নস্তরের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী মানববন্ধনে অংশ নেয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা স্কুল ছাত্র সাকিব হত্যায় জড়িতদের শাস্তি দাবি সম্বলিত বিভিন্ন শ্লোগান লেখা ব্যানার, ফেস্টুন, প্লাকার্ড ও পোস্টার হাতে নিয়ে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধন চলাকালে সেখানে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন সৈয়দপুর সরকারি কারিগরি মহাবিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী লাবিব শাহ্, শিক্ষার্থী খন্দকার আবিদা সুলতানা, আবরাত জাওয়াদ, মো. শাকিল, শাহ্ ফারদিন, শাহিন শাহ্, খুরশীদ জাহান কাকন, তাকি হাসান চৌধুরী, কাজী তানজিললুল হক তানজিল, তৌফিক আজিজ রাফি, ছাত্রমৈত্রীর নেতা মাহ্মুদুল হাসান তনুজ, সাংবাদিক এম ওমর ফারুক প্রমুখ।
বক্তারা মেধাবী শিক্ষার্থী সাকিব হত্যাকায় জড়িতদের অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। অন্যথায় আগামীতে সৈয়দপুর শহরের সকল স্তরের শিক্ষার্থীদের নিয়ে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
প্রসঙ্গত, নীলফামারী সৈয়দপুর সরকারি কারিগরী মহাবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্র সিরাজুম মুনির খাঁন সাকিব (১৪)। গত ২০১৫ সালের ১৩ জুন রাতে শহরের টেকনিক্যাল কলেজপাড়ার ভাড়া বাসা থেকে হাত-পা বাধা অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই সময় তাঁর বাবা নীলফামারী ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিক্রয় সহকারি হাবিবুর রহমান খান অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির নামে সৈয়দপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই হত্যা মামলাটি প্রথমে সৈয়দপুর থানা পুলিশ এবং পরে সিআইডি পুলিশের ওপর তদন্তভার দেওয়া হয়। সিআইডি মামলার প্রায় সাড়ে তিন বছর পর গত মঙ্গলবার হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে সেনাবাহিনী অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট মো. মোতাহার হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে দুইদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।