প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
চলচ্চিত্রের প্রধান সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির নির্বাচন গত ৮ বছর ধরে আটকে আছে। সংগঠনটি এখন প্রায় অকার্যকর হয়ে আছে। প্রযোজকদের মধ্যে দ্ব›েদ্বর কারণে নির্বাচন না হওয়ায় সরকারি প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে চলছে সংগঠনটির কার্যক্রম। এখন সংগঠনটির নির্বাচন করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। সম্প্রতি এ ব্যাপারে বিএফডিসি কর্তৃপক্ষের বৈঠক হয়েছে। সেখানে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১ মার্চ বিএফডিসির বার্ষিক সভাতে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে। তার আগে সমিতির গঠনতন্ত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আনার বিষয়টি চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। সংগঠনটি দেশের ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) অন্তর্ভুক্ত। ৮ বছর আগে দ্ব›েদ্বর শুরু হয় প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির গঠনতন্ত্রের ৯ (গ) ধারা নিয়ে। ধারায় আছে, একটানা তিনবার নির্বাচিত প্রার্থীরা এক মেয়াদ বাদ দিয়ে আবার নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। খোরশেদ আলম খসরু, শামসুল আলম, শরিফুদ্দীন খান দীপু ও মনতাজুর রহমান আকবর পরপর তিনবার নির্বাচিত হন। ২০১৪-১৬ মেয়াদের নির্বাচন আয়োজনের শুরুতেই নির্বাচন বোর্ড এ নিয়ম অনুযায়ী চার প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করে দেয়। এছাড়া ৪ বছর সংগঠন থেকে দূরে থাকলে সদস্য থেকে সহযোগী সদস্যতে নেমে আসার নিয়ম নিয়েও জটিলতা শুরু হয় একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থীর বিষয়ে। এসব কারণে এতদিন নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি। এদিকে এফবিসিসিআই থেকে জানানো হয়েছে, বিএফডিসির বার্ষিক সভাতে অনুমোদন হলে গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করে নির্বাচন সম্ভব। তাই আগামী সভার ওপরই নির্ভর করছে নির্বাচনের সবকিছু। এ নিয়ে এক প্রযোজক জানান, দুই পক্ষই একমত হয়েছেন, নিয়মে কিছু পরিবর্তন এনে নির্বাচন করার। আমরা কিছু খসড়া প্রস্তাবনা বিএফডিসিতে দেব। এগুলো সরকারিভাবে পাশ হয়ে এলে নির্বাচন সম্ভব। তিনি বলেন, গঠনতন্ত্রের পরিবর্তিত নিয়মের মধ্যে থাকছে প্রযোজকরা একাধিকবার নির্বাচন করতে পারবেন এবং যে একবার সমিতির সদস্য হবে, সে সারাজীবন সেটাতে বহাল থাকবেন; অবনতি হবে না। আশা করি, এ দুটি সংশোধন হলে নির্বাচনে আর কারও আপত্তি থাকবে না। জানা যায়, আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি মধ্যে খসড়া জমা দেয়া হবে এফডিসিতে। ১ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য বার্ষিক সভাতে নির্বাচনের তারিখ ও কমিশন ঘোষণা করা হবে। নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় হিসেবে মে-জুন মাসের কথা ভাবছেন সংশ্লিষ্টরা। এদিকে দীর্ঘদিন সমিতির নির্বাচন আটকে রেখে নতুন করে গঠনতন্ত্রে পরিবর্তন আনাটাকে ভালো দৃষ্টিতে দেখছেন না অনেক সদস্যই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সদস্য বললেন, গঠনতন্ত্রে এই পরিবর্তন আনা খুবই বিব্রতকর বিষয়। এটা হাতেগোনা কয়েকজন নেতার স্বার্থরক্ষার জন্যই করা হচ্ছে। যারা সারাজীবন নির্বাচনই করতে চান, ক্ষমতায় আটকে থাকতে চান। সমিতি অথবা চলচ্চিত্রের উন্নয়নে এই পরিবর্তন কোনও কাজেই আসবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।