Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন দলীয় প্রতীক প্রত্যাশা প্রার্থীদের

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ইসি ব্যস্ত উপজেলা নির্বাচন নিয়ে। ইতোমধ্যে প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়ে গেছে। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কোন ৩ প্রার্থী নৌকা প্রতীক পাচ্ছেন এ জল্পনা-কল্পনা শেষে সবাই এখন তাকিয়ে আছেন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার দিকে। নির্বাচন কমিশন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার পর থেকে সরগরম হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক অঙ্গন। নড়েচড়ে উঠেছে প্রার্থীরা। দলীয় প্রতীকের প্রত্যাশায় আ.লীগ প্রার্থীরা দলীয় ফরম সংগ্রহ করে জমা দিয়েছেন। এদিকে কাপ্তাই ইউপি হতে প্রার্থী না দেওয়ায় আ.লীগ নেতাকর্মীদেও মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে। রাণীশংকৈলে উপজেলা পরিষদের সম্ভাব্য প্রার্থীরা গণসংযোগ অব্যাহত রয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো প্রতিবেদন-
কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) থেকে কামরুল হাসান জানান, কোটালীপাড়ার আ.লীগ প্রার্থীদের তালিকা যাচাই বাছাই শেষে কেন্দ্রে পাঠিয়েছেন। এখন তাদের শেষ ভরসা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রার্থীরা বলেছেন, আমাদের অভিভাবক আ.লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তিনি যে ৩ জনকে যোগ্য মনে করে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দিবেন আমরা তাদের পক্ষে কাজ করবো। এ নির্বাচনকে ঘিরে ১৬ জন চেয়ারম্যান ১২ ভাইস চেয়ারম্যান ও ১১ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক চেয়ে দলীয় ফরম সংগ্রহ করে জমা দিয়ে মনোনয়ন পেতে নেতা কর্মীদের মাধ্যমে জোর তদবীর চালিয়ে যাচ্ছেন। এরা সবাই আ.লীগের প্রার্থী। নৌকা চেয়ে যারা মনোনয়ন প্রত্যাশা করেছেন তারা হলেন- চেয়ারম্যান পদে উপজেলা চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস, আ.লীগ সভাপতি এ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র জয়ধর, সাবেক মেয়র এইচ এম অহিদুল ইসলাম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও আ.লীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন খান, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ভীম চন্দ্র বাকচী, আ.লীগ নেতা কমল চন্দ্র সেন, জেলা পরিষদ সদস্য ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক দেবদুলাল বসু পল্টু, ভাইস-চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান হাজরা, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কৃষ্ণ প্রসাদ মজুমদার, ফজলুল হক মনির চৌধুরী, এ্যাডঃ দেলোয়ার হোসেন সরদার, নিখিল চন্দ্র দত্ত, অধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ বাড়ৈ, বিমলেন্দু সরকার, তাপস হালদার।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে-সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হাজী মো. আমিনুজ্জামান খান মিলন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আ. খালেক হাওলাদার, উপজেলা আ.লীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক রুহুল আমিন খান, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বাবুল হাজরা, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রফিকুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রনেতা মাসুদ রানা, স্বেচ্ছাসেবকলীগ আহবায়ক নারায়ন চন্দ্র দাম, সামিম মোল্লা, অরুন মল্লিক, নাহিদ হোসেন, মৃনাল কান্তি বিশ্বাস।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে- রাফেজা বেগম, লক্ষী রানী সরকার, গুলশান আরা রানী, বেবী রহমান, জেসমিন বেগম, সাবিনা শারমিন, লিমা আজিজ, রেনুকা বিশ্বাস, অঞ্জলী রায়, মিনা বাকচী, সুনীতি কর্মকার। এসব প্রার্থীদের ভাগ্য মনোনয়ন বোর্ডে নির্ধারণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সে পর্যন্ত কোটালীপাড়াবাসীকে অপেক্ষা করতে হবে।
কাপ্তাই (রাঙামাটি) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কাপ্তাই ইউনিয়ন থেকে আ.লীগের কোন প্রার্থী না দেয়ায় ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে দলীয় নেতৃবৃন্দ। গত বুধবার বিকালে কাপ্তাই উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে ৪নং ইউপি আ.লীগের উদ্যোগে উত্তেজিত নেতাকর্মীদের উপস্থিতে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন, কাপ্তাই ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি সাগর চক্রবর্ত্তী। ক্ষুব্দ নেতাকর্মীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এম নূর উদ্দিন সুমন, উপজেলা যুববলীগ সভাপতি মোঃ নাছির উদ্দিন, মালেক ফকির, ইউপি আ.লীগ সিনিয়র সহ-সভাপতি হাজী কবির আহমেদ, জাতীয় বিদ্যুৎ শ্রমিক লীগ নেতা মোশাররফ হোসেন,বদরুল আলম জিপু, যুব মহিলা লীগ আহবায়ক আয়শা, ইউনিয়ন আ.লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক আকতার আলম, জাতীয় বিদ্যুৎ শ্রমিক লীগ কাপ্তাই শাখার সাধারন সম্পাদক আব্দুল ওহাব, উপজেলা আ.লীগ শ্রম সম্পাদক আবুল কাশেম, উপজেলা আ.লীগ সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ, জাতীয় বিদ্যুৎ আঞ্চলিক সভাপতি মির মহসিন উল-হক, উপজেলা সিনিয়র আ.লীগ সহ-সভাপতি খালেকুন নুর সিকদার, কাপ্তাই ইউনিয়ন আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিন পাটোয়ারী বাদল, মোঃ ইলিয়াছ, মাহমুদ উল্লাহ, আব্দুল মান্নান, মোঃ সুলতান, তারেক, মোঃ ফরিদ, সৈকত, শাহিন বুলবুলসহ বিপুল পরিমান নেতাকর্মীরা। উপজেলা আ.লীগ সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকে ইঙ্গিত করে ইউপি আ.লীগের ক্ষুব্দ নেতাকর্মীরা বলেন, তাদের সাথে কোন প্রকার সমন্বয় অথবা যোগাযোগ ছাড়াই এককভাবে প্রার্থী বাছাই করা হয়। তাই তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বক্তারা আরো বলেন, কাপ্তাই ইউনিয়ন থেকে আসন্ন উপজেলে নির্বাচনে যদি কোন প্রার্থীর মনোনয়ন দেয়া না হয় তাহলে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে এই ইউনিয়নের আ.লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের কোন নেতাকর্মী নির্বাচনে কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকাসহ এক যোগে পদত্যাগের হুঁসিয়ারী প্রদান করেন। তারা এও বলেন, সর্বশেষ প্রয়োজনে বিদ্রোহী প্রাথী দাঁড় করিয়ে তার পক্ষে কাজ করবেন। সভাপতি বক্তব্যে সাগর চক্রবর্ত্তী বলেন, ইউনিয়নে আ.লীগ নেতৃবৃন্দরা রাঙামাটি জেলা আ.লীগের নেতাদের সাথে কথা বলে পরবর্তী সিদ্বান্ত নিবে বলে জানান।
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে আসন্ন উপজেলাকে সামনে রেখে উপজেলা পরিষদের সম্ভাব্য প্রার্থীরা দলীয় প্রতীকের আশায় উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে, গ্রামগঞ্জে ও শহরের চায়ের দোকানগুলোতেও গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছে।
সুত্রমতে জানা গেছে, আ.লীগের সম্ভাভাব্য প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে সাত জনের নামের তালিকা ইতোমধ্যে পাঠানো হয়েছে। তারা হলেন উপজেলা আ.লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ সইদুল হক, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি শাহারিয়ার আজম মুন্না, আ.লীগের বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক আ: কাদের, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহম্মেদ, পৌর আ.লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম সরকার, এ্যাড: অতুল ও সহকারী শিক্ষক সাধন বসাক।
এদিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮জন প্রার্থী পাটি অফিস থেকে দলীয় ফরম ক্রয় করেছেন। তারা হলেন আ.লীগের ইউনিয়ন সভাপতি রওশন আলী, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা, যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাবর আলী, শ্রমিকলীগের সভাপতি আইয়ুব আলী, সাবেক ছাত্রনেতা মটর শ্রমিকের সাধারণ সম্পাদক রুস্তম আলী, দিগেন্দ্র নাথ রায়, তোফাজ্জজ হোসেন ও খোকন সরকার।
এছাড়াও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন ফরম ক্রয় করেছেন তারা হলেন-মহিলা আ.লীগের সম্পাদিকা ফরিদা ইয়াসমিন, বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহফুজা বেগম পুতুল, আওমী পরিবারের সদস্য আইরিন ও লিলি।
প্রার্থীরা ছুটে বেড়াচ্ছেন সাধারণ ভোটারদের কাছে। বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে সমর্থক সৃষ্টি করছেন তারা। কে পাবে দলীয় মনোনয়ন পত্র? এনিয়ে প্রার্থীরা কেন্দ্রে লোভিং গ্ররুপিং শুরু করেছেন। এমন তথ্য বিশেষ সুত্র মতে জানা গেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ