নেত্রকোনা জেলা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় প্রেসক্লাবের সম্মেলন কক্ষে ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও দৈনিক সংবাদের প্রতিনিধি মুক্তিযোদ্ধা শাহ আব্দুল মোত্তালিব সুরুজ-এর স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রেসক্লাবের সভাপতি জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলামের সভাপতিত্বে মরহুম সাংবাদিক মুক্তিযোদ্ধা শাহ্ আব্দুল মোত্তালিব সুরুজের কর্মময় জীবন নিয়ে স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য রাখেন মরহুমের সহধর্মিনী আমিনা খাতুন, নেত্রকোনা ডায়াবেটিস সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক বাচ্চু, নেত্রকোনা সাহিত্য সমাজের সভাপতি অধ্যাপক কামরুজ্জামান চৌধুরী, জেলা সিপিবি’র সম্পাদক নলিনী কান্ত সরকার, স্বাবলম্বীর স্বপন পাল, সাংবাদিক ম কিবরিয়া চৌধুরী হেলিম, এ কে এম আব্দুল্লাহ, দিলওয়ার খান, আলপনা বেগম, কামাল হোসেন, ছাত্র ইউনিয়নের সম্পাদক মিঠুন প্রমুখ। স্মরণ সভায় শাহ্ আব্দুল মোত্তালিব সুরুজের জীবনী পাঠ করেন সঞ্জয় সরকার।
উল্লেখ্য, শাহ আব্দুল মোত্তালিব সুরুজ দীর্ঘদিন রোগ ভোগের পর গত ২৬ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।

 

২ চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন
নেত্রকোনার দুটি চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনের দাবি করেছে নেত্রকোনা মডেল থানার পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ ফকরুজ্জামান জুয়েল ও নেত্রকোনা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. বোরহান উদ্দিন খান গতকাল শুক্রবার সকালে তার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, পরকিয়া প্রেমের কারণে ১৯ জানুয়ারি রাতে বাংলা ইউনিয়নের দিগলা চাতালকোনা বাজারে সামছু মেম্বারের দোকানের ভেতর ফার্মেসির কর্মচারী হাদিস মিয়াকে (৪৫) কিল ঘুষি লাথি মেরে হত্যা করে অপরাধ ঢাকার জন্য দোকানের পেছনের ঢালা খুলে পানিতে পেলে দেয়।
এ ব্যাপারে নিহত হাদিস মিয়ার ছেলে মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করে। পুলিশ তদন্ত করে হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন এবং হত্যাকান্ডে জড়িত সামছু মেম্বার, লিটন, বাচ্চু, লালন, মজিদ ও রুবেলকে গ্রেফতার করেছে।
অপরদিকে ২ ফেব্রুয়ারি বাউসী বাজার সংলগ্ন কংশ নদী থেকে মিষ্টির দোকান কর্মচারি আব্দুল আলীমের (১৪) লাশ উদ্ধার ঘটনার রহস্য উদঘাটিত হয়েছে। গত ১ ফেব্রুয়ারি বিকালে মিষ্টির দোকানের কর্মচারী মোয়াটী গ্রামের হাবিবুর রহমান হবির ছেলে আলীমকে অন্যান্য মিষ্টির দোকানের কর্মচারি বাড়ি থেকে মিটিংয়ের কথা বলে ডেকে আনে। রাতে মিষ্টি দোকান কর্মচারি সমিতি গঠন নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে গ্রেফতারকৃতরা আলীমকে বাজার সংলগ্ন নদীর পাড়ে নিয়ে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করে।
এ ব্যাপারে হাবিবুর রহমান হবি ৫ জনকে আসামী করে ২ ফেব্রুয়ারি হত্যা মামলা দায়ের করে। পুলিশ তদন্ত করে হত্যা কান্ডে জড়িত মামুন, মানিক, জুয়েল ও নাবিউলকে গ্রেফতার করে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরো বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলফিকার হোসাইন রনির আদালতে গ্রেফতারকৃত আসামিরা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্ধী প্রদান করে।