স্বাধীনতা দিবসের আগেই মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের চেষ্টা থাকবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনের প্রথম অধিবেশনে কুষ্টিয়া-৪ আসনের এমপি সেলিম আলতাফ জর্জের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। তার পক্ষে জাতীয় পাটির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু প্রশ্নটি উত্থাপন করেন।
মন্ত্রী বলেন, বিগত পাঁচ বছর আগে আমি যখন মন্ত্রী ছিলাম তখন দুই লাখের বেশি মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পেতেন। প্রায় ২০ হাজারের অধিক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে বাদ দিয়েছি। বর্তমানে ১ লাখ ৮২ হাজার মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পাচ্ছেন। এখনও সেই কাজ চলমান আছে। তবে মুক্তিযোদ্ধাদের দাবির প্রেক্ষিতে যে সব তালিকার বিরুদ্ধে কোনো আপত্তি নেই, যেমন ভারতীয় তালিকা, লাল মুক্তি বার্তা। মুজিবনগর সরকারের যারা কর্মকর্তা কর্মচারি ছিলেন, যারা বিভিন্ন সশস্ত্র বাহিনীতে থেকে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন, এ ছাড়া নার্স, শিল্পী-কলাকুশলী যাদের ব্যাপারে কোনো আপত্তি নেই তাদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিক্রমে আমরা মার্চ মাসের মধ্যে প্রকাশ করার জন্য চেষ্টা করব।
মন্ত্রী জানান, যাদের ব্যাপারে আপত্তি আছে তাদের বিষয়ে যাচাই-বাছাই চলমান থাকবে। যাচাই-বাছাইয়ে যারা টিকবে তাদের তালিকা পরে প্রকাশ করব। কিছু ভূয়া মুক্তিযোদ্ধার জন্য যারা মুক্তিযোদ্ধা তারা নিজেদের পরিচয়পত্র বুকে নিয়ে ঘুরবে, সেটি পারছে না। এটা তাদের দীর্ঘদিনের দাবি। আমাদের সামনে স্বাধীনতা দিবসের আগেই প্রকাশের চেষ্টা থাকবে।
মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বৃদ্ধির বিষয়ে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ওপরেই গত নির্বাচনে জাতি আমাদেরকে ম্যান্ডেট দিয়েছে। তাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তৃণমূল পর্যন্ত পৌঁছে দিতে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। একইসঙ্গে আগামী অর্থ বছরে মুক্তিযোদ্ধদের ভাতা যাতে আরও সম্মানজনক হারে বাড়ানো যায় সেই চিন্তা আমাদের মন্ত্রণালয়ের রয়েছে। দেশের স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার এবং পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ‘ঘৃণা স্তম্ভ’ নির্মাণের জন্য জায়গা নির্বাচনের কাজ চলমান রয়েছে।