পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ক্যালেন্ডারের পাতায় দিন যতই গড়াচ্ছে ততই আমরা অন্ধকার থেকে গভীর অন্ধকারের দিকে ধাবিত হচ্ছি। আজ যেন কোনো পথ প্রদর্শকই অবশিষ্ট নেই যে পথ হারিয়ে অন্ধকার গন্তব্যে পাড়ি দেওয়া পথিককে সচেতনভাবে পথ দেখাবে। নিজেরাও ধর্ম-কর্র্ম থেকে দূরে সরে নীতি-নৈতিকতার দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে অন্ধত্ব বরণ করেছি। হাজারো পথের মোড়ে সরলপথ হারিয়ে বাঁকাপথ ধরে চলে গেছি অনেক দূরে। তাই আমরা ধর্মপ্রাণ মুসলমান হওয়া সত্তে¡ও যেন দৃশ্যপট থেকে সরলসোজা, শান্তি-শৃঙ্খলার পথের ধারণা হারিয়ে গেছে।
পত্রিকা খুললে প্রতিনিয়তই চোখে পড়ে খুন, ধর্ষণ, গণধর্ষণ, ইভটিজিং, পরকীয়া, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসীসহ নানা অপরাধের ঘটনা। ধর্ষণ-গণধর্ষণ, স্বামী-সন্তানদের বেঁধে রেখে সামনেই ধর্ষণ, উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাবা-মা-ভাই-বোন-শিক্ষককে পিটিয়ে হতাহত, পরকীয়ার জেরে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন, স্ত্রীর হাতে স্বামী খুন, তিন সন্তানের জননীর প্রেমিকের হাত ধরে উধাও, প্রেমিকের হাতে প্রেমিকা খুন-ধর্ষণের শিকার, বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, চলন্ত বাসে গণধর্ষণ, শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষক-ছাত্রীর অনৈতিক ঘটনার সংবাদ এখন প্রতিদিনের চিত্র। এটাই যেন আমাদের সমাজের বর্তমান প্রতিচ্ছবি।
সর্বশেষ স্ত্রীর বেপরোয়া পরকীয়ায় মনোমালিন্যের জেরে চট্টগ্রামের চিকিৎসক মোস্তাফা মোরশেদ আকাশের আত্মহত্যার ঘটনা যেন আমাদের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশের সামাজিক বিপর্যয়ের উপস্থিতিকে সরবে জানান দিচ্ছে। এখন শুধু আশঙ্কা কখন যেন ঘটে মহা বিপর্যয়ের ঘনঘটা। দুঃখজনক বিষয় হলো, গণমাধ্যমের এসব সামাজিক বিপর্যয় রোধে গঠনমূলক, দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে পারতো কিন্তু তারা তা রাখছে না। বরং এগুলোকে রগবগে ঢঙে উপস্থাপন করে নিজেদের পাঠক বাড়ানোর নোংরা প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছে। যা কার্যত ওইসব অপরাধকেই কোনো না কোনো ভাবে উস্কে দিচ্ছে। ফলে আমরা এক দিশেহারা জাতিতে পরিণত হয়েছি।
এখন প্রশ্ন হলো ডা. আকাশের আত্মহত্যা কি আর পাঁচটা ঘটনার মতো নিছকই একটা আত্মহত্যা? তার স্ত্রী তানজিলা চৌধুরী হক মিতুর বেপরোয়া জীবন, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক, অশ্লীলতা কি নিছকই একজন নারীর চরিত্রহীনতার ঘটনা? নাকি এ থেকে আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রের কিছু শিক্ষা নেওয়ার ও সতর্কতা হওয়ার বিষয় রয়েছে। বিশেষত এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মপ্রাণ মুসলমান সমাজের জন্য কী ভয়াবহ বার্তা দিল এই ঘটনা!
গত ৩১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ডা. আকাশ ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে ডাক্তারি বিদ্যাকে কাজে লাগিয়ে নিজের শরীরে বিষ প্রয়োগে আত্মহত্যা করেন। তার স্ট্যাটাসের প্রতিটি বর্ণে ছিল স্ত্রীর বেহায়পনার প্রতি ঘৃণা ও ধিক্কার। স্ট্যাটাসটির ভাইরাল অংশ ছিল এ রকম- ‘ভালো থেকো আমার ভালোবাসা, তোমার প্রেমিকদের নিয়ে’।
মিতু কিভাবে একজন খাঁটি ভালোবাসার মানুষের সাথে বেঈমানি করতে পারলেন সে প্রশ্ন তুলেছেন। তার বেপরোয়া জীবন, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক, একাধিক পুরুষের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলার কড়া সমালোচনা করেছেন। দাবি তুলছেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির। আবার অনেকে চিকিৎসকের মতো একটি মূল্যবান পেশার মানুষ হয়েও নিছক স্ত্রীর পরকীয়ার ঘটনায় আকাশের আত্মহুতিকে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না। যে বাবা, মা এত কষ্ট করে ছেলে মানুষ করল, খেয়ে না খেয়ে বড় করল, যাকে নিয়ে আশায় বুক বেঁধে রেখেছিল সেই মা-বাবার ভালোমন্দের কথা বিবেচনা না করে আত্মহত্যা করার কঠোর সমালোচনা করছেন। সমাজে এমন সব গর্হিত কর্মকান্ডের পেছনে ইসলামি অনুশাসন মেনে না চলাকেই মূল কারণ হিসেবে দেখছেন অনেকে।
মিতুর কুকীর্তি নিয়ে সমালোচনা করলে হয়তো পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা লেখা যাবে। কিন্তু তাতে কি কোনো সমাধান আসবে? এক কথায় আসবে না। তাই ভেবে দেখার বিষয় হলো, এধরনের সামাজিক অবক্ষয়ের পেছনে আসল কারণটা কী। সবার মন্তব্য বিশ্লেষণ করলে স্পষ্ট হয়, আমরা সবাই যেন গ্রামের হাতুড়ে ডাক্তারের মতো চিকিৎসাকেই পছন্দ করছি। কেউ শরীরে জ¦র নিয়ে আসল পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই জ¦র ভালো হওয়ার ওষুধ (নিরাময় নয় দমনমূলক) দিয়ে দিলাম। কিন্তু আসল রোগ অধরাই রয়ে গেল। ফলে বড় ধরনের রোগ যে কোনো মুহূর্তেই শরীরে বাসা বাঁধতে পারে। আমাদের সমাজের প্রগতিশীলরা আধুনিকতার দাবিদার হলেও তারা যেন সেই সেকেলে চিকিৎসাকেই বেছে নিচ্ছেন। আসল কারণকে অস্বীকার করে প্রতিরোধের নানা পথ বাতলালেও তাতে আসলে শান্তি-শৃঙ্খলা ফেলা অসম্ভব। আসল কারণ হচ্ছে সমাজের উচ্চস্তরের ইসলাম বিমুখীতা। তাই সামাজিক অবক্ষয় থেকে বাঁচতে হলে ইসলামের ছায়াতলেই ফিরে আসতে হবে।
একটি মূল্যবান পেশায় থেকে, ভালো পোশাক-আশাক, গাড়ি-বাড়ি, ব্যাংক-ব্যালেন্স, সমাজে ভালো অবস্থান থেকেও যে অন্তত সুখ-শান্তি মেলে না তাই প্রমাণ করল এই ঘটনা। এধরনের ঘটনা বারবার সেটাই প্রমাণ করছে যে, মহান আল্লাহ’র সাথে সম্পর্কহীন জীবনে মূল্যবান সবকিছু থাকলেও সুখ-শান্তি মেলে না। বিশ্ব জগতের প্রতিপালক যে মহান আল্লাহ মানব সৃষ্টি করেছেন তিনিই কেবল জানেন কিভাবে এই মানুষ তার সামগ্রিক জীবনে সুখ-শান্তি লাভ করতে পারে। এজন্যই তিনি নবী-রাসুল, আসমানি কিতাব দিয়ে পথ বাতলিয়ে দিয়েছেন। যারা সেই পথে চলবে তারা ইহকাল পরকাল পাবে অনাবিল সুখ-শান্তি। যারা চলবে না তাদের জন্য উভয়কালেই রয়েছে লাঞ্চনা আর লাঞ্চনা। আজকে ডা. আকাশ ও মিতু ব্যক্তিগত জীবনে যদি ইসলামি অনুশাসন মেনে চলতেন তাহলে কখনই তারা বিয়ের পূর্বে অবৈধ প্রেমে জড়াতেন না। ফলে একজনের আত্মহত্যা আরেকজনের পরকীয়ার ঘটনাও ঘটতো না।
ডা. আকাশ হয়তো ধর্মহীন জীবনে পার্থিব জগতের চাকচিক্যকে (গাড়ি-বাড়ি-নারী) প্রাধান্য দিয়েছেন। ফলে ভালোবাসার মানুষকে মনের মতো না পেয়ে আত্মহত্যার মতো মহাপাপের পথ বেঁচে নিয়েছেন। পরকালীন সফলতাই যদি জীবনের উদ্দেশ্য হতো তাহলে নিছক একজন চরিত্রহীনা স্ত্রীর প্রতারণায় মূল্যবান জীবন দিতেন না। বরং দ্বীনের পথে ফিরে আসতেন, সহজ সমাধান ও সত্যিকারের শান্তির পথ খুঁজে নিতেন। ডাক্তারি পেশার মতো মহান পেশাকে কাজে লাগিয়ে বাবা-মাকে নিয়ে পুনরায় সুখ-সমৃদ্ধ জীবন গড়ে তুলতেন যা আরও সমৃদ্ধময় হতে পারত।
অন্যদিকে স্ত্রী মিতুও একজন চিকিৎসক। সমাজের মূল্যবান পেশাতে থেকেও কেন তাকে বিবাহবহির্ভূত অনৈতিক জীবন বেছে নিতে হবে। কিসের অভাব ছিল তার? পরকীয়ায় জড়িয়ে কি তিনি আদো সুখ-শান্তি পেয়েছেন?
আমাদের এসব সামাজিক অবক্ষয়ের কারণ খুঁজতে হবে। আপনি সুখ-শান্তি, তৃপ্তি-অতৃপ্তিকে যদি পার্থিব মানদন্ডে মেপে থাকেন তাহলে হয়তো এসব বিবেকবর্জিত কর্মকান্ডে বারবার জড়িয়ে পড়বেন। পৃথিবীর সবকিছুতে সর্বোচ্চ অর্জনের পরেও সুখ-শান্তি সোনার হরিণের মতো অধরায় থেকে যাবে। আর যদি আপনার মানদন্ড হয় ইসলামী মূল্যবোধ তাহলে পৃথিবীর সর্বনিম্ন প্রাপ্তিতেও সুখ শান্তি শতভাগ ভোগ করতে পারবেন। এটাইতো সৃষ্টিকর্তার চূড়ান্ত বিচার।
নৈতিক অবক্ষয় ও সামাজিক বিপর্যয় থেকে আসলে মুক্তির উপায় কী? লেখার শুরুতে নিত্যদিনের যেসব অপরাধ কর্মকান্ড তুলে ধরা হয়েছে মূলত তার মূলে রয়েছে তথাকথিত প্রগতিশীলতা, পর্দাহীনতা, অশ্লীলতা, ব্যাভিচার, অবৈধ উপার্জন, সামাজিক প্রতিপত্তি, খ্যাতি, ধন-সম্পদ, ক্ষমতা অর্জনের অন্যায় প্রতিযোগিতা, অশ্লীল গান-বাজনা, কূরুচি পরিপূর্ণ সিনেমা নাটক চলচিত্র, পর্ণো আসক্তি ইত্যাদি। এসব ইসলামে মহা পাপ হিসেবে পরিগণিত।
এগুলো কেবল তখনই পাপ মনে হবে যখন জন্ম থেকে মৃত্যু অবধি আমরা ইসলামি অনুশাসনের মধ্য দিয়ে পার করব। আমাদের সমাজে ইসলামি অনুশাসন ও নীতি নৈতিকতা চর্চার যথেষ্ঠ অভাব রয়েছে।ফলে এখন অনেক গুরুতর অন্যায়, পর্দাহীনতা, ছেলেমেয়েদের অবাধ মেলামেশার বিষয়কে আমাদের কাছে পাপ মনে হয় না। যা অত্যন্ত উদ্বেগের। ইসলাম হচ্ছে পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। যার মূলে রয়েছে আকিদা-বিশ্বাস। অর্থাৎ একজন মুসলমানের সকল কর্মকান্ড আল্লাহভীতি থাকতে হবে। তখন চাইলেও আপনি অন্যায় পথে পা বাড়াতে পারবেন না।
কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ক আমাদের মুসলিম সমাজকে নানা কৌশলে ধর্মহীন করা হচ্ছে। শিশুর ভূমিষ্ট থেকে বৃদ্ধকাল পর্যন্ত প্রতিটি পর্যায় নীতি নৈতিকতাহীন অনৈসলামিক ব্যবস্থা দ্বারা পরিবেষ্টিত করা হচ্ছে। যে শিশুকালে ইসলামি বিশ্বাসের ভীত গড়ে ওঠে সেই শিশুকাল ধর্মহীন পরিবেশে অতিবাহিত করার যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শিশুর নৈতিকভিত গড়ার মক্তব শিক্ষা তো আগেই তুলে দেয়া হয়েছে।
সামাজিকীকরণের সকল মাধ্যম তথা পরিবার, বাবা-মা, খেলাধূলার সঙ্গী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যমকে ধর্ম থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোথায় ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা লাভের সুযোগ রাখা হয়নি। পাঠ্যপুস্তক, উপন্যাসে নৈতিক শিক্ষার লেশমাত্র রাখা হয়নি। স্যাটেলাইটের কল্যাণে গ্রামগঞ্জে ঘরে ঘরে টিভি সিনেমা চলছে।
সাংস্কৃতিক আগ্রাসনে পুরো জাতি বিপর্যস্ত, ইসলামি সংস্কৃতি বিলীনের পথে। সুড়সুড়িমূলক অশ্লীল নাটক সিনেমা কার্টুন প্রদর্শন করা হচ্ছে। এতে পরকীয়া, কূটনামি, পারিবারিক অশান্তির যত কূটচাল শেখানো হচ্ছে। ইন্টারনেট হাতে হাতে থাকায় শিশুরা পর্র্ণোসোক্তি হয়ে পড়ছে। এ থেকে ঘটছে প্রেমঘটিত যত অপরাধ। আবার প্রেমে বা লালসা পূরণে ব্যর্থ হয়েও নারীদের প্রতি সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। অন্যদিকে নারী স্বাধীনতার নামে নারীর সম্ভ্রম রক্ষার প্রতীক পর্দা প্রথাকে তুলে দেয়া হয়েছে।
যেসব পোশাক-আসাক, চলাফেরায় ছেলেরা আকৃষ্ট হয়ে অন্যায় কিছু করার জন্য উদ্যত হয়, মেয়েদের সেই ধরনের পোশাক-আসাক ও চলাফেরায় উৎসাহিত করা হচ্ছে। তাতে ঘিঁ ঢালছে নারী-পুরুষ সহশিক্ষা ব্যবস্থা। তাই আগে থেকেই নানা উপায়ে ছেলে-মেয়েরা অবাধ মেলামেশার সুযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই যা ঘটার তাই ঘটছে। সব মিলিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থায় ধর্মহীনতা, নীতি নৈতিকতাহীনতা, অশ্লীলতা, সাংস্কৃতিক আগ্রাসন, পর্দাহীনতা, যুবকদের বিবাহ জটিলতা, মাদকের সহজলভ্যতা, নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা- সবমিলিয়ে এমন এক ইসলামবিমুখ পরিবেশ তৈরি করেছে যা উল্লিখিত অপরাধ সংঘটন অবশ্যম্ভাবী করে তুলেছে।
এই পরিবেশে বেড়ে ওঠা একজন ডাক্তার মা-বাবার ভালোমন্দকে তুচ্ছ জ্ঞান করে আত্মহত্যা করবেন এটাই স্বাভাবিক। আবার একজন স্ত্রী স্বামী রেখেও পরকীয়ায় আসক্তি হয়ে একাধিক সম্পর্কে জড়াবেন, বেপরোয়া অশ্লীল, ভোগ বিলাসের জীবন বেছে নেবেন এটাই তো স্বাভাবিক।
তাই আমরা যারা ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী নৈতিক অবক্ষয় থেকে মুক্তি পেতে হলে ইসলামের বিধি-বিধান মেনে চলতেই হবে। শিক্ষা ব্যবস্থায় ধর্ম, নীতি-নৈতিকতা প্রাধান্য দিতে হবে। বিদেশী সাংস্কৃতিক আগ্রাসন, মাদকের ভয়াবহ ছোবল থেকে যুব সমাজকে রক্ষা করতে হবে। বেকারত্ব মোচনের পাশাপাশি বিবাহ ব্যবস্থাকে সহজ করতে হবে। অনৈতিক প্রেম ভালোবাসা অনুৎসাহিত করে বৈবাহিক জীবনে উৎসাহিত করতে হবে।
সর্বোপরি শৈশব থেকে বৃদ্ধকাল পর্যন্ত ইসলামি অনুশাসনে বেড়ে ওঠার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। সম্ভবত ডা. আকাশ মহাবিপর্যয়ের হাত থেকে সমাজ বাঁচাতে আমাদের সেই সতর্ক বার্তায় দিয়ে গেছেন। ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক সুখ-শান্তিতে ইসলামি মূল্যবোধের কোনো বিকল্প নেই সেটিই বুঝিয়ে গেলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।