পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রশ্নফাঁস, ভুল প্রশ্ন বিতরণসহ সব অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, প্রশ্নফাঁস বন্ধে যত ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তার সব পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে। কোনোভাবেই যেন প্রশ্নফাঁস হতে না পারে সেই বিষয়ে আমাদের কঠোর নজরদারি থাকবে। পরীক্ষার প্রথম দিনে কয়েকটি কেন্দ্রে ভুল প্রশ্নপত্র বিতরণ ও পরীক্ষা নেয়ার বিষয়টিসহ সব অভিযোগই খতিয়ে দেখছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরীক্ষার দিনে ভুল ও অসঙ্গতির কারণে যেখানে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া দরকার ছিল, তাও নেয়া হয়েছে।
গতকাল (রোববার) সকালে রাজধানীর বকশীবাজারে সরকারি মাদরাসা-ই-আলিয়ায় দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে কঠোর নজরদারি চলছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, পরীক্ষা শেষ হওয়া পর্যন্ত এটি বহাল থাকবে। এ ক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকেও গভীর পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রশ্নফাঁস রোধে যা যা করা প্রয়োজন সব করা হচ্ছে। আশা করি, আর প্রশ্নফাঁস হবে না।
প্রশ্নফাঁস রোধে মিডিয়া ও অভিভাবকদের সহযোগিতা চান এবং ভুল-ত্রæটি এড়িয়ে আরও সুন্দরভাবে পরীক্ষা গ্রহণের জন্য মন্ত্রী সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি অনুরোধ জানান। পরীক্ষা শুরুর পরে ফেসবুকসহ অনলাইনে প্রশ্ন পাওয়া যাচ্ছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে দীপু মনি বলেন, কোনো পরীক্ষার্থী ইচ্ছা করলে পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা পর বের হয়ে যেতে পারবে, তবে সেক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীকে প্রশ্নপত্র দায়িত্বরত শিক্ষকের কাছে প্রশ্নপত্র জমা দিয়ে কেন্দ্র থেকে বের হতে হবে। ফলে, প্রশ্নপত্র ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়তে পারবে না।
এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে শনিবার চট্টগ্রাম, জামালপুর, নওগাঁ, শেরপুর, সাতক্ষীরা, মুন্সিগঞ্জ, গাইবান্ধা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বাগেরহাট ও মাদারীপুরে মোট ১৮টি কেন্দ্রে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের ভুল প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়। এ ঘটনায় কোথাও কোথাও প্রশ্নপত্র পরিবর্তন করে পরীক্ষা নেওয়া হলেও কোথাও কোথাও ভুল প্রশ্নপত্রেই পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে কোথাও কোথাও বিক্ষোভ করেছে ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থীরা
এ বিষয়ে দীপু মনি বলেন, শনিবার বিভিন্ন জেলায় এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রশ্ন বিতরণে ভুল ধরা পরেছে। ২০১৮ সালের প্রশ্ন বিতরণ করা হয়েছে বলেও জানা গেছে। বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বোর্ড চেয়ারম্যানের কাছে কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে। আমাদের নজরদারি যেভাবে চলছিল তা অব্যাহত থাকবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রশ্নপত্র ছাপার ক্ষেত্রে যে ভুল, সেটি কীভাবে হলো তা দেখা হচ্ছে। বিতরণের ক্ষেত্রে যে ভুলটি হয়েছে, সেই ভুলগুলোর ক্ষেত্রে আমরা প্রতিবেদন চেয়েছি। যেখানে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে, সেখানে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আর যেখানে আমরা প্রতিবেদন চেয়েছি, সেখানে প্রতিবেদন পাওয়ার পরে আমরা ব্যবস্থা নেব।
এসময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সফিউদ্দিন আহমদ ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এ কে এম ছায়েফ উল্যাহ।
এর আগে সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে বকশিবাজারে মাদরাসা-ই-আলিয়া পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ অন্য কর্মকর্তারা। সবাই কেন্দ্র পরিদর্শনের পর শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের সামনে পরীক্ষা-সংক্রান্ত সার্বিক দিক তুলে ধরেন।####
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।