পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আজ সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে পুলিশ সপ্তাহ- ২০১৯। সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজারবাগ পুলিশ লাইনস্ মাঠে বার্ষিক পুলিশ প্যারেডের মধ্য দিয়ে পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন। তিনি সারাদেশের বিভিন্ন পুলিশ ইউনিটের সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত ১১টি কন্টিনজেন্ট এবং পতাকাবাহীদলের নয়নাভিরাম প্যারেড পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করবেন। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে পুলিশ সপ্তাহ। ২০১৮ সালে সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ অবদান রাখায় বাংলাদেশ পুলিশের ৩শ’ ৪৯ জন কর্মকর্তা ও সদস্যকে পদক দেয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী পদকপ্রাপ্তদের হাতে এ পদক তুলে দেবেন।
পুলিশ সদরদফতর সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ সপ্তাহে দেশের প্রতিটি জেলার পুলিশ সুপারই পুরস্কৃত হচ্ছেন। এই ঘটনাটি ইতিহাসের প্রথমবারের মতো ঘটতে যাচ্ছে। দেশের ১৪টি র্যাব ব্যাটালিয়নের অধিনায়করাও পাচ্ছেন পুরস্কার।
জানা গেছে, এবারের পুলিশ সপ্তাহে প্যারেড অধিনায়ক হিসেবে নেতৃত্ব দিবেন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এআইজি আবিদা সুলতানা। তার নেতৃত্বে পরিচালিত প্যারেডে অংশ নিচ্ছেন সহস্রাধিক পুলিশ সদস্য। পুলিশ সপ্তাহের মূল প্রতিপাদ্য-‘পুলিশ জনতা ঐক্য গড়ি, মাদক-জঙ্গি নির্মূল করি’। বিগত ২০১৮ সালে পুলিশ সদস্যদের অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ৪০ জন পুলিশ সদস্যকে বিপিএম, ৬২ জনকে পিপিএম, গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদ্ঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ১০৪ জন পুলিশ সদস্যকে বিপিএম (সেবা) এবং ১৪৩ জনকে পিপিএম (সেবা) প্রদান করা হবে। ইন্সপেক্টর জালাল উদ্দিন এবং কনস্টবল শামীম মিয়াকে বিপিএম-মরণোত্তর পদক প্রদান করা হবে। পরিবারের সদস্যরা তাদের পদক গ্রহণ করবেন। পরে প্রধানমন্ত্রী পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির (পুনাক) ষ্টল পরিদর্শন এবং পুলিশ সদস্যদের সাথে কল্যাণ প্যারেডে অংশগ্রহণ করবেন।
পুলিশ সদর দপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, রীতি অনুযায়ী প্রতিবছর পুলিশ সপ্তাহে বিপিএম ও বিপিএম পদকপ্রাপ্তদের প্রধানমন্ত্রী নিজ হাতে ব্যাচ পরিয়ে দেন। কিন্তু এবার পদকপ্রাপ্ত পুলিশের সংখ্যা ৩৪৯ জন। এত অধিক সংখ্যক সদস্যকে পদক পরিয়ে দেয়া অনেক সময়ের ব্যাপার। এই কারণে গত সোমবার আইজিপির সভাপতিত্বে পুলিশ সপ্তাহের সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় পদক প্রদান অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য পদক প্রাপ্তদের বুকে আগে থেকেই পদক লাগিয়ে পুলিশ সপ্তাহের অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
তিনি আরো বলেন, সুপার নিউমারারি পদ সংখ্যা বৃদ্ধি, আইজিপির ফোরস্টার পদের মর্যাদা দেয়া, নতুন আরও এক লাখ পুলিশ নিয়োগ, সব সদস্যের জন্য বিশেষ ভাতা চালু, পুলিশ মেডিকেল কলেজ চালু, অ্যাভিয়েশন ইউনিটসহ দুটি ইউনিট দ্রুত চালু করা, উন্নত অস্ত্রসহ অত্যাধুনিক সরঞ্জাম সরবরাহ করা, ক্যাডার কর্মকর্তাদের ঝুঁকিভাতা দেওয়া ও ভাতা প্রচলন, গাড়ির সংখ্যা বাড়ানো, আবাসন সংকট সমাধানের প্রস্তাব করা হবে। তাছাড়া পুলিশ সপ্তাহে বিগত এক বছরের কার্যক্রম পর্যালোচনা করে পরবর্তী বছরের কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে। পুলিশ সপ্তাহের বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের উদ্দেশ্যে প্রেসিডেন্ট-এর ভাষণ, ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের সাথে প্রধানমন্ত্রীর সম্মেলন, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মেলন, ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারদের সাথে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীদের সম্মেলন, আইজি’জ ব্যাজ, শিল্ড প্যারেড, অস্ত্র/মাদক উদ্ধার প্রভৃতি পুরস্কার বিতরণ, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসারদের সাথে কর্মরত পুলিশ অফিসারদের পুনর্মিলনী, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণের সাথে আইজিপির সম্মেলন এবং বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভা ইত্যাদি। আগামী শুক্রবার আইন-শৃঙ্খলা ও অপরাধ সংক্রান্ত মতবিনিময় সভার মধ্য দিয়ে সমাপ্তি ঘটবে। পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব এবং পুলিশের মহাপরিদর্শক পৃথক বাণী দিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।