Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জলাধার রক্ষায় আইনের বাস্তবায়ন প্রয়োজন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

নানা আয়োজনে পালিত হলো বিশ্ব জলাধার দিবস। প্রতি বছরের মত এবারও পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং জনসংখ্যার চাপে জলাভূমি ও এর জীববৈচিত্র্যের প্রতি হুমকি বৃদ্ধির দিকে মনোযোগ আকর্ষণ করে এ দিবসটি পালন করা হয়েছে। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে জলাধার এবং জলবায়ু পরিবর্তন। সর্বপ্রথম ক্যাস্পিয়ান সাগরের তীরে ইরানের শহর রামসারে ১৯৭১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি রামসার কনভেনশন নামে জলাভূমির কনভেনশন স্বাক্ষরিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৯৭ সাল থেকে, রামসার সচিবালয় জলাভূমির গুরুত্ব ও মূল্য সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিবছর এ দিবসটি উদযাপন করে আসছে।
গতকাল শনিবার বিশ্ব জলাধার দিবস-২০১৯ উপলক্ষে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা (এসডিজি)’ এর ১, ২, ৫, ৬, ৮, ১১, ১৩, ১৪ ও ১৫নং লক্ষ্যের প্রায় সবগুলোই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পানিসম্পদ সংরক্ষণের প্রতি আলোকপাত করে। ক্ষুধা নিবারণ, দারিদ্র্য বিমোচন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সুপেয় পানির সরবরাহকরন ও পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষার অন্যতম নিয়ামক হলো পানিসম্পদের পরিকল্পিত ব্যবহার। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দেশের জলাধার রক্ষা জরুরি। পরিবেশ, কৃষি, শিল্প, খাদ্য, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য, নগরায়ন ও নারীর ক্ষমতায়নে পানি অপরিহার্য। এছাড়াও বন্যা, খরা এবং ঘূর্ণিঝড়ের মত চরম আবহাওয়ার ঘটনাগুলোর প্রভাব হ্রাসে জলাভূমি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সুপরিচালিত, স্বাস্থ্যকর জলাভূমি অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতকে শোষণ করে এবং শুষ্ক মৌসুমের জন্য সংরক্ষণ করে, যা জনসাধারণকে খরা বা অনাবৃষ্টির মতো বিপর্যয় থেকে রক্ষা করে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জলাধার সংরক্ষণে দেশের সকল এলাকায় বিদ্যমান খাল ও জলাশয় দখল-ভরাটের কবল থেকে রক্ষা করতে হবে এবং যেগুলো এরই মধ্যে অবৈধভাবে ভরাট হয়ে গেছে, সেগুলো পুনরুদ্ধার করতে হবে। খাল, জলাধার দখল ও দুষণমুক্ত করার নাগরিক সমাজের সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি সমন্বিত মহাপরিকল্পনা নেয়া ও তা কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা জরুরি বলে বি আই পি মনে করে।
এছাড়াও জলাধার রক্ষায় একটি পৃথক বিধিমালা প্রণয়ন করে সিএস এর আলোকে জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সিস্টেম (জিআইএস) প্রযুক্তির মাধ্যমে সিএস অনুসারে নদী, খাল, হাওড়, বাওড়, পুকুরসমূহের সীমানা চিহ্নিত করে প্রকাশ করা, জলাধার রক্ষার আইনের বাস্তবায়নে পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাজেট বরাদ্দ; জলাধার রক্ষায় উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিশন গঠন করে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের জবাবদিহীতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে এ সমস্যা থেকে উত্তরণ সম্ভব বলে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স বিশ্বাস করে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ