পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জার্মানিতে আশ্রয় নেয়া পরিবারবিহীন শিশু বা কিশোর শরণার্থীদের একটা অংশ নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছে। এদের কোনো হদিসই পাওয়া যাচ্ছে না। কোথায় যাচ্ছে এই শিশুরা? এই ঘটনাকে আতঙ্কের বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।
শরণার্থীদের গ্রহণ করার পর থেকেই জার্মানিতে কয়েক হাজার শিশু কিশোর নিখোঁজের খবর পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা আশা প্রকাশ করছেন, তারা গুরুতর কোনো বিপদে পড়েনি। তবে তাদের নিরাপদ আবাসন ও নিয়মিত খোঁজ খবরের জন্য জার্মান সরকারকে আরও সচেষ্ট হওয়ার অনুরোধ করেছেন।
জার্মানির কেন্দ্রীয় অপরাধ তদন্ত অফিসের এক জরিপে দেখা যায়, ২০১৭ সালের প্রথম দিকে নিখোঁজ শিশু-কিশোরের সংখ্যা ৮ হাজার ৪০০ ছিল। ২০১৯ সালের প্রথম মাসেই নিখোঁজ ৩ হাজার ২০০ জন।
অভিবাবকহীন শরণার্থীদের জন্য নিয়োজিত সেবামূলক সংগঠন ফেডারেল অ্যাসোশিয়েশন ফর আন-অ্যাকম্প্যানিড রিফিউজি মাইনরের কর্মকর্তা টোবিয়াস ক্লাউস বলেন, ‘নিখোঁজের সংখ্যা কমিয়ে আনা গেছে। তবে, মনে রাখতে হবে শরণার্থী প্রবেশের সংখ্যাও অধিক হারে কমেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই জরিপের জন্য ৭২০ জন সেবাদানকারী ব্যক্তি কাজ করছেন এইসব শরণার্থী শিশুদের জন্য। সেই সব কর্মীদের দাবি, শরণার্থী কিশোর নিখোঁজের সংখ্যা কমেছে, কিন্তু একেবারে বন্ধ হয়নি। প্রায়শই নিখোঁজ হচ্ছে। অনেকে একেবারে উধাও হয়ে যাচ্ছে, যাদের হদিসও পাওয়া যাচ্ছে না।’
ক্লাউস জানান, বেশিরভাগই নিখোঁজ হচ্ছে সাময়িক আশ্রয়কেন্দ্র থেকে। অর্থাৎ তারা শরণার্থী জীবনের শুরুতেই নিখোঁজ হচ্ছেন। তিনি এর কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন, নিখোঁজ শিশুদের বয়স ১৪-১৭ এর মধ্যেই বেশি। তারা প্রাথমিকভাবে জার্মানিতে আশ্রয় নিলেও পরে ইউরোপের অন্যদেশে আত্মীয় বা পরিচিত কারও পরিবারের সঙ্গে নিজেদের সিদ্ধান্তেই চলে যাচ্ছে। এটিকে নিখোঁজ না বলে অবস্থান পরিবর্তন বলা যায়। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘ধরা যাক একটি ছেলে মিউনিখে প্রবেশ করেছে, কিন্তু তার আত্মীয় থাকে হামবুর্গে। সে হামবুর্গ চলে গেলো। আনুষ্ঠানিকভাবে গেলে প্রতিষ্ঠানের পক্ষেও হিসাব রাখা সহজ হয়, দুই স্থানে শরণার্থী সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসাবও রাখতে পারে। তবে সচরাচর এমনটি ঘটে না বলেই নিখোঁজের সংখ্যা বেশি হচ্ছে।’
ক্লাউস নিখোঁজের আরেকটি সম্ভাব্য কারণ হিসেবে ‘বিতাড়িত করা’ উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘অনেক কিশোর মনে করে তাদের ইউরোপে রাখা হবে না, দেশে ফেরত পাঠানো হবে। সেই আশঙ্কা থেকে তারা পালিয়ে যান। এসব নিখোঁজ শরণার্থীদের মধ্যে আফগানদের সংখ্যা সর্বাধিক। মরোক্কো ও আলজেরিয়ানও রয়েছে।’
তবে টোবিয়াস ক্লাউস এও বলেন, ‘৮০ শতাংশ নিখোঁজ শরণার্থীর খোঁজ বের করতে পারলেও বাকি ২০ শতাংশ নিয়ে আশঙ্কা থেকেই যায়। এদের মধ্যে পাচারের শিকারও হচ্ছে কেউ কেউ।’ সেটি নিয়ে সচেতন হওয়ার সময় এসেছে বলে জানান তিনি। সূত্র : ডয়েচে ভেলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।