বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
এশিয়ার বৃহত্তম বার খ্যাত ঢাকা আইনজীবী সমিতির ২০১৯-২০ মেয়াদের নির্বাচন আগামী ২৭ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি। ইতোমধ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। প্রতিবারের মতো এবারো দেশের প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের ব্যানারে (সাদা) এবং বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্যের ব্যানারে (নীল) প্যানেল প্রতিদ্ব›িদ্বতা করবেন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আদালত এলাকায় এক ধরনের নির্বাচনীয় আমেজ বিরাজ করছে। তবে কাদের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটবে তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
গত বছরের নির্বাচনে ১৪টি পদে জয়ী হয়েছিলেন সাদা প্যানেল। তবে এর আগে নীল প্যানেল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছিলেন। এবারও আওয়ামী লীগ মরিয়া তাদের অবস্থান ধরে রাখতে, হারানো ইমেজ পুনরুদ্ধার করতে আপ্রাণ চেষ্টায় বিএনপি ও তাদের মিত্ররা।
সূত্রে জানা যায়, ইতোমধ্যেই ২০১ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। অ্যাডভোকেট মোখলেসুর রহমান বাদলকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও ২০ আইনজীবীকে নির্বাচন কমিশনার হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ভোটারদের যেন হয়রানি না হয় সেই বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হবে। একই সঙ্গে নির্বাচনের দুই দিন ও নির্বাচনের আগের দিন ভোট চেয়ে কার্ড প্রদান বন্ধ থাকবে। আইনজীবী ছাড়া অন্য কোনো বহিরাগত দিয়ে কার্ড বিলি করা যাবে না এমন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে নির্বাচনের কমিশনের পক্ষ থেকে। এবার ভোটারের সংখ্যা প্রায় ১৯ হাজার ১২৯ জন। ২৭টি পদের বিপরীতে মোট ৫৪ প্রার্থী এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। মনোনয়নপত্র উত্তোলন এবং জমা ৪-৬ ফেব্রুয়ারি, বাছাই ৭ ফেব্রুয়ারি ও ১০ ফেব্রুয়ারি প্রার্থীতা প্রত্যাহার এবং চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে।
ঢাকা বার আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী পন্থী আইনজীবীদের নিয়ে গঠিত সাদা প্যানেল এবং বিএনপি ও জামায়াতপন্থী আেইনজীবীদের নিয়ে গঠিত নীল প্যানেল প্রতিদ্ব›িদ্বতা করবে। উভয় প্যানেলের নেতৃবৃন্দরা আদালত এলাকায় যাদের ইমেজ ভাল তাদেরকে মনোনয়ন দিয়েছে। তারা নিজ নিজ প্যানেলকে জয়ী করতে প্রচার-প্রচারণা নেমেছে অনেকই। এতে করে আদালত এলাকায় নির্বাচনী আমেজ বিরাজ করছে।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেল: সভাপতি পদে গাজী মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক পদে আসাদুজ্জামান খান রচি। এ ছাড়া সিনিয়র সহসভাপতি পদে মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, সহসভাপতি পদে মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, কোষাধ্যক্ষ পদে আব্দুল জলিল আফ্রেদ, সিনিয়র সহসাধারণ সম্পাদক পদে জাহাঙ্গীর হোসেন মোল্লা, সহসাধারণ সম্পাদক পদে ওমর ফারুক আসিফ, লাইব্রেরি সম্পাদক পদে আতাউর রহমান খান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে শায়লা পারভিন পিয়া, দপ্তর সম্পাদক পদে জাহিদুল ইসলাম, সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে হুমায়ুন খন্দকার টগর এবং ক্রীড়া সম্পাদক পদে উজ্জ্বল মিয়া। সদস্য পদে আয়েশা বিনতে আলী, শফিকুল ইসলাম মিয়া, হায়াত আল মাহমুদ, কাওসার হোসেন, মোহাম্মদ সাব্বির হোসেন, বাহারুল ইসলাম, হাসান আকবর, ইব্রাহিম হোসেন, জুয়েল সিকদার, মাসুম মিয়া, মাসুম মৃধা, সাইফুল ইসলাম, সোহরাব হোসেন, তানভীর আহম্মেদ ও তুষার ঘোষ।
বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেল: সভাপতি পদে গোলাম মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক পদে মো. হোসেন আলী খান হাসান। সিনিয়র সহসভাপতি পদে আবদুস সালাম দেওয়ান, সহসভাপতি হিসেবে মিজানুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ পদে লুৎফর রহমান, সিনিয়র সহসাধারণ সম্পাদক পদে নিহার হোসেন ফারুখ, সহসাধারণ সম্পাদক পদে মোহাম্মদ সাখাওয়াত, লাইব্রেরি সম্পাদক পদে জিয়াউল হক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে মোর্শেদ খাতুন শিল্পি, দপ্তর সম্পাদক পদে জুলফিকার আলী হায়দার, সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে মাহবুব হাসান রানা ও ক্রীড়া সম্পাদক মনিরুল ইসলাম আকাশ। সদস্য পদে আজহার উদ্দিন রিপন, কাজী রওশান দিল, রাসেল, বাবুল আক্তার, ইব্রাহিম খলিল, মোহাম্মদ ইকবাল মাহমুদ, মাহাদী হাসান জুয়েল, রাশেদুল ইসলাম, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল, মোহাম্মদ ইয়াসিন মিয়া, ফারহানা আক্তার, নজরুল হক শুভ, শাহিন সুলতানা ও সাদেকুল ইসলাম ভূইয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।